বৃষ্টি ঝড়ের গল্প বলে।
আমার শুধুই আনমনা মন
ভিজবো কখন ! ভিজবো কখন?
হিসেবি আর পাগল আমি'র মনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে।-
৩
চাল এর পর, আবার পালটা চালে
ভেঙে পড়ে প্রতিরোধের দেওয়াল।
খেলার শেষে কিস্তিমাতের কালে
'রাজার দেখি সবই অক্ষত'- হতেই পারে পাগল মনের খেয়াল।
তফাৎ আছে দেশ ও দাবায় কোন?
মাথার মধ্যে বুনতে থাকি জাল।
উল্টো দিকে দান দিয়েছে সখা,
ভাবনা ছেড়ে এবার দেব চাল।-
২
হস্তি কেবল কর্ণ চেনে পথে
মন্ত্রী -উজির যেদিক যত খুশি।
একটা ঘরই মাপা রাজার রথে
জেতার মন্ত্র মনের মাঝে পুষি।
ফিরতে পারে যে যার ঘরে ফের
বোড়ের শুধু ফিরতে আজও মানা।
কাঁটাতারে ভাগ হয়ে যায় জমি
মুহূর্তে সব পাল্টায় ঠিকানা।
যুদ্ধ চলে -বোমা,বারুদ, গুলি।
হাতি,ঘোড়া, নৌকোর আজ ছুটি।
আঁকছে ছবি রক্ত এবং তুলি,
বোড়ের হাতে শুধুই শুকনো রুটি।-
১
বর্গ আটেক খুপরি করা ঘর,
ফারাক শুধু দোস্ত আর দুশমনে।
সাদা কালোয় তফাৎ করা আপন এবং পর,
একে একে নড়ছি সবাই অঙ্গুলি হেলনে।
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হলে পরে
রক্ত আবির প্রথম বোড়ের গায়ে
নৌকো আজও নেয় না কোন বাঁক
ঘোড়ার শুধুই আড়াই-টা চাল পায়ে।-
এইখানে স্থাণু হও
এসো , নতজানু হও ৷
সাদা-কালো , উঁচু-নীচু
জাত-পাত ছেড়ে পিছু
হাতে হাত ধরে সব জনপরমাণু হও ৷-
এতদিন পরে ফের ভয় হয়।
আবার উঠবে ঝড়, ওপড়াবে গাছ ; ভুলে যাবে শিকড়ের টান।
শেষমেশ দেখি কার জয় হয়! হাসি নাকি রাগ-অভিমান?
এতদিন পরে ফের ভয় হয়।
আবার বাড়বে রোদ ; খরা সব শুষে নেবে জল।
ছেড়ে দেবে নাকি, বলো বুঝে নেবে-থেকে যাওয়া শেষ সম্বল?
এতদিন পরে ফের ভয় হয়।
জলে ভেসে গিয়ে আজ হারাতেই পারি নদীকূল।
আমি? না, উত্তাল ঢেউ? বলে দিও এটা কার ভুল ৷
এতদিন পরে ফের ভয় হয়৷
রাত যেন বড়ো হয় , আমি শুধু ডেকে চলি -'ভোর'!
কা'র সুখে চোখে আসে চিক্ ? খুঁজে নিও তার উত্তর ৷-
কাকে তুমি সুখ বলো,
হে কবি?
দুজন। দুদেশ।
একই সাথে দেখতে থাকা অস্ত দিনের রবি।
-
পরি'র মোরা মুণ্ডু কাটি,
কেউ বা ছিঁড়ি 'ইচ্ছেডানা'।
'পরি'র এটা করতে মানা,
পরি'র ওটা করতে মানা।'
ক'টা পরি উড়তে পারে?
সাক্ষী থাকে কবরখানা।-
মনের মধ্যে জমতে থাকা সমস্ত রাগ
জমিয়ে রেখে উড়িয়ে দিও আকাশ-'ফানুস'।
শাসন ছেড়ে এবার থেকে আলতো সোহাগ ;
জপতে থাকো 'মানুষ। মানুষ। মানুষ। মানুষ।'-
আমরা সবাই 'ঘর' বানাতেই চাই ,
ভুল করে সব 'ঘর' হয়ে যায় বাড়ি।
খিড়কি-কপাট্ কোথাও কিছু নাই,
আমরা শুধুই দেওয়াল তুলতে পারি৷-