চারিদিকে স্বাধীনতা সংগীত
মুখরিত ভোরের আকাশ,
রক্ত দিলে স্বাধীনতা আসে
বলে ইতিহাস গড়লে সুভাষ ।
অজ্ঞাত রহস্যে হারালে প্রাণ
হে বীর তুমি অসময়ে,
বাঙালি শুধু তোমার অপেক্ষায়
দীর্ঘশ্বাস বুকে দাঁড়িয়ে ।
জীবন্ত তুমি সবার মনে
রচিত কবির কবিতা,
হৃদমাঝারে তোমার উপস্থিতি
জাগায় মনে উষ্ণতা ।।-
পরজন্মে বটবৃক্ষ রূপে
শৈত্য ছায়ায় দিও ঠাঁই,
বাস্তবে নয়, নিশিত স্বপ্নে
আপন করে তোমায় পাই ।
এ জন্মের প্রেমের ভাষা
চোখের জলে থামায় গতি,
অন্ধকারে অসুখ বাড়ায়
তোমার অভাব তোমার স্মৃতি ।
কুঞ্চিত হলে তোমার আশায়
সামনে এনো তোমার স্নিগ্ধ লতা ,
পোস্টমর্টেম হলে বুকের খাঁজে
তোমার দেওয়া লক্ষ্য ব্যথা ।।-
অসীম সীমান্তে দিবো পাড়ি
থাকবে আমার সাথে,
ঘুরবে চাকা দুর্দিগন্তে
পার হয়ে তেপান্তরের মাঠে ।
থাকবো দুজন একইসাথে
উপরে আকাশ ভরা তারা,
দুজন একা হয়ে নীলসীমান্তে
হবো পথহারা ।।
হাসবে তুমি আমায় দেখে
চাইবো তোমার পানে ,
আলতো ছোয়ায় সরিয়ে দেব
পড়ন্ত চুল কানে ।
আকাশ বাতাস হইবে সাথী
বিশ্ব ঘোরার পথে,
নিশিরাতে চাঁদের আলোয়
রাখবে হাত হাতে ।।-
মনের আজ বেড়েছে বয়স
অনুভূতিরা তাই মৃত,
তোমার জন্য ভালোবাসা
আজ অশ্রুজলে মিশ্রিত ।
তোমার স্মৃতি আমার জগৎ
তোমার ছবি দেখেই শান্ত,
আবার কখনো তোমার কথা
আমি রাত্রিজেগে ক্লান্ত ।
তোমার অতীত থাকুক সাথে
ভুলতে কেও দিবে না তাড়া ,
আমার কোনো চাহিদা নেই
একসাথে বৃদ্ধ হওয়া ছাড়া ।।-
আমায় ঘিরে শুধু নীরবতা
বাকি সবই গেছে মিটে,
ধমনীতে প্রেমের শিহরণ
এই পৌষের প্রথম শীতে ।।
স্বপ্নে প্রতিদিন হয়ই দেখা
বসে ভাবি তোমায় একা একা,
ব্যস্ত তুমি অন্য কোথাও
দারুন চলে তোমার জীবনচাকা ।
তুমি নাহয় কাশফুল হয়ো
দক্ষিণবায়ুর মিষ্টতায়,
আমার চোখে মুশলধারা
তোমার স্মৃতির স্নিগ্ধতায় ।।-
কালো শার্টে প্রথম দেখা
পড়লো নীল ড্রেসেতে প্রেমে,
পিঙ্ক টিশার্টতে আবার দেখা
শাড়ীতে দেখে বন্দি মনের ফ্রেমে ।
রাস্তার ধারে ফুচকা স্টলে
দেখেছে দূর থেকে আড়ালে,
নতুন রূপে সামনে এসে
তাকে ভালোবাসায় জড়ালে ।
বললো যখন মনের কথা
ভালো করে শুনলে তুমি সবই ,
দুদিন পরেই চিন্তা করে
বললে, অন্য কারোর আমি ।
চাইবেনা আর এমন ভাবে
মনে শুধু প্রেম থাকবে ঘিরে ,
মৃত্যু থাকবে দোরগোড়ায়
হয়তো দেখবেও না তুমি ফিরে ।।-
ভূমিটা মোদের সবার হবে
ধর্ম থাকুক অন্তরে ,
মসজিদেই আজান উঠুক
ঘণ্টা বাজুক মন্দিরে ।
বেড়াতারের অপর পাশে
মূর্তি ভাঙে কাফের এসে ,
আগুন লাগিয়ে অবশেষে
অষ্টমীতে মা জলে ভাসে ।
হিন্দু তোমরা জাগবে কবে
জ্বালাও আগুন বুকের মাঝে ,
করতে রক্ষা ধর্ম নিজের
অস্ত্র তুলো হাতের ভাঁজে ।
কবি তোমার দুবৃন্তে দুটি কুসুম
হিন্দু-মুসলমান আর ,
স্লোগান উঠুক কণ্ঠে সবার
"ধর্ম যার , উৎসবও তার" ।।-
কিসের ভেদাভেদ জাতি ও ধর্ম নিয়ে
ঈশ্বর তো অভিন্ন ও এক বিভিন্ন অবতারে,
দেখো কারো বাড়ি মাতোয়ারা খুশির মহরমে
কারোর বাড়িতে শঙ্খধ্বনি শ্রাবনের সোমবারে ।-
হয়তো আবার হবে দেখা
কোনো অচেনা গলির মোড়ে ,
তুমি চলে যাবে পাশ কাটিয়ে
অপরিচিত হওয়ার ভান করে ।
স্মৃতিতে তোমার মৃত আমি
তুমি আমার মনে জীবন্ত ,
থেকে যাবে হৃদান্তরে
আদি থেকে অন্ত ।
গল্পগুলো জীবনের একই থাকে
স্মৃতির ধুলোমাখা খামে ,
শুধু চরিত্রগুলো বদলে যায়
অন্য কোনো নামে ।।-
হাজার গোলাপ আড়ালে শোকায়
ভালোবাসা জমে অপ্রকাশ্যে,
নীরবে বাঁচে একতরফা প্রেম
ব্যর্থ নামের উপন্যাসে ।
তোমার জীবনে নীরব আমি
সত্যতানির্ণয়ে অব্যক্ত ,
আমার জীবনে গল্প তোমার
আজও বর্ণনে অসমাপ্ত ।
কোথায় গেলে মিলবে শান্তি
পাই নাকো তার খোঁজ,
দিনের শেষে চোখের ভাঁজে
বৃষ্টি নামে রোজ ।।
-