প্রিয়তমা,
হ্যাঁ, প্রিয়তমাই বলব তোমাকে, কারণ আর পাঁচজনের মতো কোনো দিনই তোমাকে ভয় পাইনি, তোমার কাছ থেকে পালানোর চেষ্টা ও করিনি। হয়তো বা ভালোবেসেছি, কিন্তু প্রেমে পড়িনি। প্রেম আর ভালোবাসার তফাৎ টা আগে বুঝিনি, তুমিইতো বুঝিয়েছ। মানুষ জেনে প্রেমে পড়ে, কিন্তু ভালোবাসাটা কেমন করে যেন হয়ে যায়।
জন্মের পর যখন মা আমাকে ছেড়ে চলে গেল তোমার সাথে, সবার কাছে কত না কথা শুনেছি। ওফ! আমি নাকি আমার মা কে খেয়েছি! আচ্ছা, নিজের মা কে খাবে? কেন খাবে? শুধু কি এই? আরো কতো গালমন্দ শুনেছি, অর্ধেকটা তো মনেই নেই।
থাক সে কথা, সেই গালিগালাজ গুলো শিশু মনে প্রভাব ফেলে ছিল বৈকি। অনেক বয়স পর্যন্ত তোমার উপর খুব রাগ ছিল, ভাবতাম, কোনো রকমে বড় হয়েই মা কে তোমার কাছ থেকে নিয়ে আসব আর দেখিয়ে দেব আমি মা কে খাইনি।
বাবার সঙ্গে খুব একটা সখ্যতা ছিলনা। বাড়ির একমাত্র পুত্র সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তার আদরণীয়া স্ত্রীর মৃত্যুর কারণও হওয়া তে তিনি আমাকে খুব একটা পছন্দ করতেন না। কাকিমার কাছে শুনেছি, তিনি মা কে খুব ভালোবাসতেন, দ্বিতীয় বার বিয়ে পর্যন্ত করেননি। ইস্! হিংসে হচ্ছে বুঝি।তা করতেই পারো, আমি জানি তুমি মা কে অনেক ভালোবাসতে, খুব রোগে ভুগত আমার মা, তবু বাবা হাল ছাড়েননি কোনো দিন। কিন্তু আমার বেলায় বুঝি শিকে ছিঁড়ল না। মা যেতে চায়নি, নিয়ে গেছ, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আর তার বদলে ছেড়ে গেলে আমায়
(ক্যাপশনে)
-