এক টুকরো চুষে খাওয়া নোংরা-নিথর দেহ। সহস্র-কোটি আঁচড় তাতে। এক টুকরো মেঘ জমেছে কালো চোখের তলায়।
এ জন্ম তো নিষ্ঠুর-বর্ণহীন। জেনে রেখো আত্মা অবিনশ্বর। অর্থ আজও পারেনি নিঃসঙ্গতা মেটাতে।
-
Love to be lonely...
No commitments ....
No resolutions...
Still happy...
c... read more
প্রায় দেখা হয়,
লজ্জায় চোখ ফিরিয়ে নিই,
মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয়—পলক না ফেলে তাকিয়ে থাকি।
স্পর্শের মর্ম তো বর্তমান খুলিগুলো বোঝেনা,
তুমি তো জানো — বোঝো।
জানো তো প্রিয়, ওরা বারবার আমায় ভাঙে,
ভাঙা টুকরোগুলো গুছিয়ে নিয়ে জোড়া লাগাই প্রতিবার।
তোমার থেকেই শেখা, ভেঙেও বেঁচে থাকা,
সহস্রবার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেও, আমি তোমার।-
কথা, না চাইতেও বলতে হয়
শত শত মান - অভিমান শেষে,
উড়ে বেড়াই বিজন দেশে,
আঘাত হানি অসম্ভবরকম।
যত দেখি অভিভূত হই,
হে নারী তুমি শত যুগ প্রাচীন - প্রস্তর,
তোমার অন্ত নেই,ক্ষান্ত নেই,
তুমি অক্লান্ত পরিশ্রমেও নিরলস।-
মেয়েরা যত্ন জানে, রুখতে জানে, শাসন জানে।
মন খারাপ হয়, আস্তানা খুঁজি। কোলে মাথা ঠেকাই শেষমেষ,পরম শান্তির খোঁজে।
হয়ত মেয়েরা অনেক সফল,
মস্ত কোনো অট্টালিকায়,
কোনো এক সন্ধায়,
এক-একটা গ্লাস উড়িয়ে দিচ্ছে। ধোঁয়া বেরোয় গোল গোল, কালো চিমনি দিয়ে।
চেনা কিছু খুলি হেঁটে বেড়ায় মান্ধাতার আমলের মত।
'ভিড় এড়িয়ে দেখতে এসো'- চেনা স্বর ভেসে আসে দুর থেকে। মুহূর্তে মিলিয়ে যায় আবার, নোংরা বাতাসে। অক্লান্ত পরিশ্রম বৃথা হয়েও হয়নি তার। যে স্বপ্ন সে এতদিন দেখেছে, আজ তা সফল। মৃদু হাসি, দেহে বল, আর ভাঙাচোরা স্বপ্ন নিয়ে আবার এলোমেলো পথের দিকে পা বাড়ায় সে।
হয়ত আবার দেখা হবে—শিউলি ফোঁটা ভোরে, সূর্যের প্রথম আলোয়, শিহরণ খেলা বাতাসে, কাশের ক্ষেতে নিজখেয়ালে, অযাচিত-অপ্রত্যাশিত ঠোঁটের চাওয়া - পাওয়ায়।
ধন্যি মেয়ে তোমরা, ছেলেদের কোনোদিন বুঝলে না...-
কিছু স্মৃতির রং হয় না, রয়ে যায় স্মরণে,
তাই স্থান দিয়েছি শূন্য মনের গহীনে।
ভালোবাসা তো চিরদিন বর্তমান,
ঠোঁটে-গালে লেগে থাকে বসন্তের মত।
তোমার - আমার শেষটাও এমন,
শেষবেলায় একরাশ ঝড়ে পড়া পলাশ যেমন।
হঠাৎ করে বুকের মাঝে ভীষণভাবে জাপটে ধরে,
রঙিন সুতোয় বোনা ভালোবাসা,
শীতল হাতে স্নেহের পরশ চিরদিনই,
পড়ন্ত বিকেল-রোদে তবুও, লেপটে রইবে তুমিই...-
পরিস্থিতির পদপৃষ্ঠ হয়ে কত তরতাজা ভালোবাসা মিলিয়ে যায়, শহরের হাওয়ায়-হাওয়ায় সে খবর রেখেছ প্রিয়? নেশাতুর প্রেমিক তৃষ্ণা মেটায় লোডশেডিংয়ের আড়ালে,
কত অন্ধকার, সাক্ষী কবেকার, জমানো আবেগ।
চুন খসে পড়া দেওয়ালের গায়ে কান পেতে রই,
সুগন্ধির উগ্রতায় প্রেম মেতে ওঠে, আমি স্থির হয়ে যাই।
বাঁধানো ঘাটগুলো বরাবর পড়ে থাকে প্রেমের উচ্ছিষ্ট,
জরাজীর্ণ এ শহরে, এটুকুই অবশিষ্ট।
পলাশ - কৃষ্ণচূড়া ছড়ানো থাকে কখনও খালি আঙিনায়,
রৌদ্রোজ্জ্বল ভূমির তপ্ত লেলিহান শিখায়।
কখনও বা শীতল বাতাসে পাইনের গা ঘেঁষে,
শত কাটাকুটির শেষে, অন্ধকারে মেশে,
বিন্দু বিন্দু ভালোবাসা।
বৃথা যায়...-
চুন - বালি খসে পড়ছে, ফ্যাকাশে দেওয়াল,
একটা আস্ত কালের নিয়ম যেনো গিলছে বাড়িটাকে।
বাইরে খোলা বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে দুটো মস্ত মাথা,
আগলে রয়েছে,প্রাচীন প্রহরীর মত।
চিতার আগুনটা বহুদূরের মানুষকে টেনে এনেছে কাছে।
আক্ষেপ - অভিযোগ সব নিয়ে গেল,
ফেলে গেল কিছু উজ্জ্বল - ভাসমান স্মৃতি।
রাস্তাটা পার করার মত কেউ রইল না বুবাইয়ের।
বটগাছটা আর নেই যে...-
He said
'HER EYES ARE LIKE DEEP OCEAN'
A stranger said
'MAY BE HE LOVES YOU'
She said
'I LOVE HIM TOO'.-
মরার খাটে রোজ দিন কাটাই,
নিত্যনতুন পোশাক - পরিচ্ছদের বাহার,
দিনের শেষে হেরে যাওয়া একলা মানুষ সে।
কত কত দুঃখ - যন্ত্রণার গভীরতা মাপে এ শরীর,
ক্ষত - বিক্ষত কত শত টুকরো, মৃতপ্রায় সত্তা আমার,
মনে রাখে অতীতের জীবন।
একটা ছোট্ট কিনারা দেখি রোজ,
তখন আমার জাহাজে তোলপাড় হয়,
সমুদ্র ফুলে - ফেঁপে ওঠে,
আর মিলিয়ে যায় স্বপ্ন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার।
রোজ স্বপ্নে দেখি,
হাতের মুঠোয় আদরের ছাপ ফুটে উঠেছে।
হাতের নাগালেও পাই তোমায়,
বুকে জাপটে ধরে ভালোবাসার সুযোগ পাই।
কেউ তো মনে রাখেনি,কথাও রাখেনি,
তুমি রেখো...-
সে এক ধুলোময় অবিচ্ছিন্ন পথে বিচ্ছিন্ন প্রেম এসেছিল মনে,
এজন্মে তো কাঙাল হলাম,পরজন্মে ভবঘুরে হব।
তীব্র গরমের উষ্ণ ওলিগলিতে খুঁজে যাবো তোমায়।
কত কথা রয়ে যায়...
সব তো আর হয় না বলা এক জন্মে।
আবার ফিরব শতকোটির টানে,
উজ্জ্বল আলোকের মাঝে,
তারার মত রাতের আকাশে ফুটে উঠব।
অপেক্ষা করবো আবার,
যদি ভূমিষ্ঠ হও অবিচ্ছেদ্য ৯৫ - র কোনো এক বর্ষায়।-