অপেক্ষার আয়ু শেষে, চুপিসারে শরৎ আসে;
ভুলিয়ে মনের বিষণ্ণতা
অনেক পাওয়া, কিছুটা চাওয়া;
শিশিরে ভেজা গল্পগাথা
জমজমাটি, পুজোর ছুটি;
ঢাকের বাদ্যি শুভ্র শরতে
অতীত ভুলে,বিষাদ ঠেলে
শারদীয়া আসে "আশ্বিনের শারদ প্রাতে"

-

প্রহরগুলো প্রহর গুনে শুধু, নিখুঁত অভিনয়ে কাটে বছর,মাস
একের পর এক আঘাত সয়ে সয়ে, অপেক্ষারা সাজায় উপন্যাস।
ভীষণভাবে জড়িয়ে ফেলার সময়,বুকের মাঝে বেড়েই চলে দহন
ভেতর থেকে আমরা সবাই একা,স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয় জীবন।

এখন তবে নিজেই বুঝতে পারি,নেই তাই হারিয়ে ফেলার ভয়;
বন্ধুর মত সবাই থাকে পাশে , সত্যিকারের বন্ধু কজন হয়?
অভিমান হয় না আর প্রিয় ! কষ্টগুলো লুকিয়ে নেই হেঁসে
আয়ুরেখার ক্ষয়ের সাথে সাথে,প্রিয় মানুষের সংখ্যা কমে আসে।

-

ফুল,বেলপাতা হাতে নিয়ে,
ভক্তিভরে চরণে নমি
রঙ্গিন সাজে শীত সাজে আজ,
এলো বসন্ত পঞ্চমী।
হলদে আভায় সোহাগী মন,
সূর্যমুখীর গান
ভীড়ের মাঝে চকিত চাহনি,
পলাশ প্রিয়ার টান।
মায়ের বীণার ওই তারে বাজে,
কত অতীতের হাতছানি
পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রে আজও অপেক্ষা,
তবুও জীবন অগ্রগামী ।

-

স্বাধীনতা মানে, আকাশ জুড়ে ত্রিবর্নার বেশ
দেশমাতার জয়গানে ধ্বনিত ধরা,মুগ্ধতার রেশ।

স্বাধীনতা মানে বীর বিপ্লবী,রক্তে রাঙানো ভূমি
গভীর আত্মীয়তায় অভীষ্টে আরোহণ;সত্য অন্বেষণ তুমি।

স্বাধীনতা মানে, মৃত্যু উপত্যকায় নতুন সূর্যদয়
ভেদাভেদ ভুলে সংহতির পথ;মিথ্যে কভু না হয়।

স্বাধীনতা মানে অধীন 'স্ব' এর; চেতনা পরিণত
আত্মানুশীলনের নতুন পদক্ষেপে গড়বে,তোমার আমার ভারত।

-

সকল বিপদ যায় যে দূরে,পবিত্র বন্ধনের টানে
বেঁধে রাখা কাকে বলে,তা রেশমী সুতো জানে।

-

অক্ষয় হোক আজানের সুর,মঙ্গলগীত- শঙ্খনিনাদ
খুশির ঈদে জোৎস্না ছড়ায় ,তৃতীয়া তিথির শুভ্র চাঁদ।

-

ফেলে আসা দিন, সময়ের ঋণ; থাক সবই স্মৃতিকথা হয়ে
মুছে সব গ্লানি, দ্বেষ হানাহানি; নূতন আসুক খুশির ঝঙ্কার নিয়ে।
ফাল্গুনী কথা, কিছু অযাচিত স্তব্ধতা; থেকে যায় কৃষ্ণচূড়ার ঘরে
তবু আজ মন, পুরাতনকে করে প্রাক্তন; মাথা রাখে নূতনের দ্বারে।

নব উচ্ছলিত প্রাণ, নবীনের জয়গান; বৈশাখ আসে নব দিশা নিয়ে
ভূলে সব ভূল, ফোটে কিছু ফুল; কিছু হাঁসি আজও আসে কিশলয়ে।
মহামারী করে নাশ, থাকুক জীবন আশ; সামাজিক দূরত্ব মিটিয়ে
স্বপ্নশিশুর মায়ায়, বৈশাখের ছোঁয়ায়; নূতন আসুক ভরসা হয়ে।

সময় জুড়ে শুরুর গল্প,জমানো বিষাদ অল্প;হাত ছুঁয়ে থাক আপনজনে
তবু কিছু পহেলা, রয়ে যায় আজও ১লা; জীবন স্রোতের গানে।

-

কত অভিসার আজও রয়ে যায়, বেহিসেবি ছদ্মনামে
তবুও বিষাদ,খোঁজে মুক্তির স্বাদ,সুগন্ধি ডাকবাক্সের কোনে।
মায়াহীন শেষের পাতায় আজও, প্রাচীন কোনো মুদ্রাদোষে
অকাল শ্রাবণ, চোখের কোনে; রোজ আসে ভালোবেসে।

-

ফিরতি পথে অপেক্ষারা
ছুঁয়ে যায় বিষাদ রেখা
অর্ধমৃত রোজনামচায়
অভিমানী আলোর দেখা।
ব্যাক্তিগত জল্পনাতে
অতীত জুড়ে ইচ্ছে উড়ান
শালিক জোড়ার বিরহতে
দুঃখ লিখে বিরহী বাগান।
যোগ-বিয়োগের হিসেব নিকেশ
থমকে থাকে স্মৃতির পাতা
ঘুম না আসা রাত্রি জুড়ে
ডিসেম্বর দেখায় বাস্তবতা।

-

ভোরের আলোয় শঙ্খধ্বনি,
এলো দ্বিতীয়ার তিথী
ধান দূর্বা চন্দনে,বাড়ালো
ভাইয়ের আয়ুর জ্যোতি।
চিরদিন জুড়ে থাকুক
পবিত্র বন্ধনের অমোঘ টান
কড়ে আঙুলে চন্দনের ফোঁটা,
সুরক্ষিত রাখবে ভাইয়ার প্রাণ।
ভাই বোনের জীবন হোক
প্রদীপের মতো উজ্জ্বল
ভাই বোন হয়ে উঠুক,
একে অপরের ছায়াতল।

-