সেই চিরাচরিত ফর্ম্যালিটি
ঘটা করে ফেয়ারওয়েল দেবে মন
আর,
লিপস্টিকের আঁকিবুকি সেঁটে দেবে
অবিন্যস্ত না কামানো দাড়ি ভর্তি গালে।
নাতিশীতোষ্ণ স্রোত বয়ে যাবে -
অলিন্দ থেকে নিলয়ে;
কিংবা,
অভিমানী কপাটিকা আটকে দেবে স্রোত।-
📌 কম্পিউটার এর জগতের ছাত্র হয়েও বাংলার প্রতি টান সেই ছোট্... read more
আমি মুখোশ বেচি না,
ছন্দ কিনে ছন্দ বিলিয়ে দিই।
কলমের সাথে সওদা করি রোজ
তবে লেনদেন করি না।
কবিতা আমার প্রেমিকা,
আর আমি অপ্রেমিকের ভিড়ে;
খুঁজে ফিরি স্বার্থহীন ভালোবাসা।
মুখোশের আড়ালে রাজসুহ যজ্ঞ,
কামনার চাই চাপা আগুনে
হোমের কাঠ জ্বলে পুড়ে ছাই।
আজকে যারা মুখোশ পরে
ঘোমটার আড়ালে খ্যামটা নাচে,
তারাই নাকি স্বদেশীয় কবি !
আমি মুখোশ পরি না ,
কবিতা পড়ে ভাবনা মাখি;
কাগজের বুকে আঁচড় কাটি
আর মানুষের গান গাই।-
হাবুডুবু খাওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও -
জিভ কেটে "ধ্যাৎ" বলে অতৃপ্ত ইচ্ছেরা।
সোহাগে আপাদমস্তক ভিজিয়ে নিলেই
অমর হতে চায় নস্টালজিক মন।
আর, সজোরে চিমটি কেটে খিল্লি করে
যুবতী রাতের অভিমানী প্রেমিকা।।-
বিস্ময় মাখা দুচোখে লেপ্টে নাও প্রহেলিকা
রুগ্ন হৃৎপিণ্ড এপিঠ ওপিঠ সেঁকে নিয়ে -
খামচে ধরো নিমজ্জিত আত্মগ্লানি।
আর কপালে সাদা চন্দনের তিলক এঁকে
প্রেমিকার মুখে ছুঁড়ে দাও -
নধর বিকেলে উতলে ওঠা টগবগে অতীত।।-
তোলা আছে মনি কোঠায়
আদরমাখা স্নেহের পরশ
আজও ধ্রুবক ভালোবাসায়।
শিক্ষা গুরু মা'গো আমার
তোমার কোলেই শান্তি খুঁজি
দুধে ভাতে আছি মা'গো
বলতে জগৎ তোমায় বুঝি।।-
ইদানিং অভিমান ঘনীভূত হলেই
এপিঠ ওপিঠ সেঁকে নিই অবহেলা
রোদেলা দুপুরে আলসেমি করেও
হজম হয় না সোহাগী ভালোবাসা।
নধর বিকেল খামচে ধরে অজুহাত
আদরমাখা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলি
ধ্রুপদী ইচ্ছের আপোষহীন ষড়যন্ত্র।-
বলিরেখা সুস্পষ্ট হলেই
জলকেলি করে অভিজ্ঞতা,
আর
বিনা নোটিশে ইস্তফা দেয় প্রেম।
ক্রমাগত নির্দয় সাঁড়াশির মতো -
চেপে ধরে সাংসারিক দায়বদ্ধতা।
অনিচ্ছের দাওয়ায় বসে
মুঠো মুঠো গিলতে হয় অপমান
অথবা
পান থেকে চুন খসলেই -
এলোপাথাড়ি বর্ষিত হয় অসম্মান।
অতএব,
পাল্টে গেছে সহনশীলতার সংজ্ঞা
আর ধৈর্যের ব্যাকরন।
অশ্রুবিন্দু উবে গেলেও -
দিনের শেষে থাপ্পড় কষিয়ে দেয় আত্মগ্লানি।-
জাপটে ধরুক এলোকেশী রাত -
থমকে যাক নির্লজ্জ কালবৈশাখী,
স্তব্ধ হোক অভিযোগের রোজনামচা
উদ্বেল ঠোঁটে ঝরে পড়ুক সোহাগ:
সত্বর বন্ধ হোক অভিমানের কারফিউ।।-