কখনো ঝোড়ো সোঁ সোঁ শব্দ,
বুকের মধ্যে যেন অকালবৈশাখী
কখনো বা পাঁজরের কাদামাটিতে
বুদবুদের নিরন্তর আস্ফালন ।
কোন প্রাগৈতিহাসিক ক্ষতের
পুনরুজ্জীবিত আর্তনাদ
অথবা বামপন্থীর যুগ্ম পরিবারে
তৃতীয় বা চতুর্থের অনধিকার আগমন,
অষ্টম ইন্দ্রিয়ে বিদ্রোহ করতে ভোলে না।
হৃদয় মস্তিষ্কের কলরোষের শেষে
বিনিদ্র রাত্রির গভীরতায়,
অক্লান্ত জীবন্ত মৃতদেহদের -
স্টেথোস্কোপ তবু প্রেমের শব্দ চেনে না।
-
"একখান বুকের ছবি করে দেবে গা?
ছোঁড়াটা নাকি আমার দিলদরিয়া হইসে ।"
সত্যি জীবনের কি উলটপুরাণ !
যে বুকে বাসা বাঁধে যৌবনের রঙিন প্রেম,
তার চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে সাদাকালোয়।
বিলাসিতার নিজস্বী ও ফিল্টারের লড়াইয়ে,
এই মানুষগুলোর ভরসা তখনও -
জলে ভেজা এক্সি রে আর তেল বোলানো ছবি ।
ফ্রি অপটিমিস্টিক পজিটিভিটির ভিড়েও
দু চোখে তাদের নেগেটিভের আশা,
তাদের ছায়াছবিতে ভাগ্যই খলনায়ক -
বিরতিতেই সমাপ্তি -
জীবনের পরাকাষ্ঠায় তারা প্রশ্ন করে,
" বাবু, তোমরা যে বললে দিল বড়, ছোট কেনে তা বাঁচার সময়? "
"রক্ত যতই লাল হোক বাবু, এই রং কিন্তু আমার লয় ।"
-
আবার সকালে ঘুম ভেঙে গেল,
ওইসব কাক মুরগী এখানে ডাকে না
অ্যামবাসেডরের আওয়াজ-ই কাফি
এক লাফে বিছানা ছেড়ে উঠি
প্রচন্ড রকম একা সকাল।
অগোছালো চাদর পিছু ডাকে না,
ডাকলেও কি ফিরতাম?
সে তো আর কোনো অতৃপ্ত রাতের প্রেমিকার
জানু বক্ষের লজ্জা ঢেকে নেই,
যার টানে আরও একবার -
নির্লজ্জ আকাঙ্ক্ষা হবে,
চাদর সরিয়ে প্রেমিকার শরীর দিয়ে
নিজেকে ঢেকে দেওয়ার।
এই সকাল কর্মমুখর ব্যস্ত জীবনের কুয়াশা মোড়া,
ঘুম ভাঙে নিয়ত,
তবু জড়িয়ে থাকে অতীত স্বপ্নভোরের শারীরিক উষ্ণতা।
-
তখনও ছিল সম্বল, আস্তানা ছিল খাপছাড়া আবেগে
তখনও ছিল মুক্তি, পিছুটান থেকে যেত অযথা স্বভাবে
সময় দিয়েছে হাঁটা,
তুই কি হোঁচটে একটু থামিস-
একটু খামখেয়ালে
কখনো কি বলে ফেলিস-
" ওই... ভালো থাকিস। "-