গল্প কিনা জানিনা ঠিক, মায়াজাল বেড়েছিল সে রাতের,
শুনেছিলাম ঢেউয়ের ছন্দের সাথে
পাথরে হেলিয়ে শরীরটুকুর ভার।
বলে চলে এক পাথরের সহস্রকালের পথ
এগিয়েছে; সহ্য করেছে; পরিবেশের বিভেদ,
ভাবছি আমিও, এহেন ছোটো জীবনে
কত তামাশা করি আমরা; আকি শত ছেদ।

রাতের আকাশে কুয়াশার আলিঙ্গন
গল্পকার ডুবেছে আমারই মতো; হয়তো চিন্তার ভারে,
কেন রাস্তার খোঁজ রেখেছো গোপনে,
অন্ধকার যে নিস্তার দেয় - শুধু কিছুক্ষণ।

-

নিজের গল্প শোনায় ঢেউয়ের ছন্দ বোনা ভাষায়,
মায়াজাল যখন জড়িয়ে ফেলেছে শহর
আমি শুনছি সেসব, এক অদ্ভুত নিরালায়।

-

বন্ধুত্ব অতীত, বর্তমানে শুধু ধোঁয়ার মাদকতা
বিষের সুখে অপার নীলিমা দেখি, বাঁধি মনকে
কিন্তু, বিষ বলি কাকে?

-

Thanks...many many thank you...
And a Happy New year 2k19 in advance...

-

।।হেমন্তের ভালোবাসা।।

হেমন্ত জাগে নন্দনের দক্ষিণদ্বারে ;
উতলা, উন্মত্ত প্রাচীন বাতাস
শান্ত-স্নিগ্ধ হাতে নতুন প্রেমের গুপ্ত কথা লিখে।

যুগান্তরের যৌবন উন্মাদ নৃত্যে দেয় চুম্বন,
পশ্চিমাকাশ সাজায় একটি চাঁদ ও নক্ষত্র যোগে
তুলসী মঞ্চের দীপ্তশিখা সম্ভাবনায় কম্পমান ।

অমাবস‍্যার স্তব্ধ নিবিড় রাতে জোনাকির উজ্জ্বল আগমন
যেন 'বসন্ত' আনে নিবিড় ভাবে ; ঠিক তোমার মত ;
এ হেমন্তে উষ্ণতার মৃদু স্বনন ।

কচি ঘাসের শিশিরভেজা বিছানায় ;
সাজানো আকাশ আর নরম দুই হাত
গীত-ছন্দ ভরা জীবন দিয়েছে আমায় ।

নীলাঞ্জনা ; তোমার হাসিখানি নিয়ে আসে ভোর
স্নিগ্ধ প্রশান্ত ভালোবাসায় দিলে
আশার নতুন কিরণ - বিষাক্ত নিখিলের ।

স্ব-হত্যা আজ তিক্ত
পেয়েছি একটা কারণ, তোমার মতন ; যার -
স্বপ্ন -আকাশ জোনাকির আলোয় সিক্ত।

- অর্ঘ্য

-

জেগে উঠে ভোর
হিমেল পরশ মনে করায়
শুষ্ক বিষণ্ণ চাপানউতোর ।
ফুটে উঠে আলো, আমার বন্ধ জানালার খাঁজে
চাদর হয়ে তখনও জড়িয়ে তুমি ,
হোকনা আলো-ছায়া কিংবা নীরব মিশরীয় মমি
কিবা যায় আসে ?
গন্তব্য যখন সুরক্ষিত আমারই বক্ষে মাঝে ।

-

রাত গভীর , সাথে নিশ্চুপ স্পন্দন রাস্তা দেখায়
বুকের খাঁজে আছে অবয়ব
রাত গভীর , তারাগুলো হাসি ভুলে মুখ লুকোয়
মেঘের আস্তাকুড়ে ডুবে যাচ্ছে সব ।

আরো গভীর আমার চোখে তোমার স্মৃতি কিংবা যৌবন
আটকে পড়েছে সময়ের ট্রেনটির সঙ্গে ,
নগ্ন রাতে চাঁদও কলঙ্ক মুখ ঢেকেছে
আকাঙ্খিত বাহুবন্ধে দুজন যাত্রী , শুভ মিলনক্ষণ ।

-

মেলেছে ডানা আবছা জলছবি , তাতে পালক আঁকলো তেপান্তরের ঘরবন্দী কবি

-

অণুবীক্ষণযন্ত্রের সীমানা পাড়ে দেখা মিলে
রক্তিম শীতলতার ,একাকী সেই ধূ ধূ প্রান্তরে
হিমশীতল ডিসেম্বরে পরশ পাথর তুলে আনো
সেই সাদা ধূসর গুহা থেকে !
মিলতে পারে পার্থিব সর্বস্ব অসুখের নিরামক -
ঝড় আনবে বাদামী থেকে সবুজের , ধরে ফেলবে ব্যতিক্রমকে ।

আগুনের ছেঁকা আদিম অনুভূতি
তবে , আগুনের রহস্য বিজ্ঞানেরও উপরে
রক্তিম শীতলতা আজ আগুনের মতো
ছড়িয়ে পড়ে আমার প্রতি রন্ধ্রে ।
তোমাকে এক ঠিকানা দিচ্ছি , আজ সত্যিটা জানবে
অণুবীক্ষণযন্ত্রের সীমানা পাড়ের রক্তিম শীতলতার সত্যিটা
সেটা আজ লুকিয়ে রাখলাম প্রবীণতম আগুনের গভীরে ,
প্রিয়তমা তুমি খুঁজে নিয়ো ,
সেই আগুনে আমি শীতলতা পেয়েছিলাম ।
ডিসেম্বরে কাকভেজা হয়ে কুয়াশাতে
উষ্ণতা খুঁজতে থাকা শরীরে , আমি শীতলতা পেয়েছিলাম ।

-

অপূর্ণ কবিতা ( ২ )

দম চাপা অনুভূতি নিমেষে লুটিয়ে পড়ল
কল্পিত দ্বিধাগ্রস্ত মুখচ্ছবি আঁধার আনলো ,
তবে আজীবন নিরর্থক অশ্রুফোটায় থেকে যাবে
থাকবে সে বিরহ মনের গোঙানির সুরে ,
অনুভূতিগুলি মহাশ্মশানে চিরতরে পুড়িয়ে
ভস্মটুকু রেখে দিল মন , বৃদ্ধ সিংহাসনে ।

উষ্ণতার উৎস হারানোর শোক জ্ঞাপনে
উন্মত্ত , ক্লান্ত পেশী একটুখানি শক্তি কুড়িয়ে নিলো -
দূরে , সেই ছোঁয়া ক্ষমতার ওপাড়ে - দেখি হ্যালোজেন
তীব্র আলো নিয়ে ভোর আনতে ছুটলো ।

দম চাপা অনুভূতি নিমেষে লুটিয়ে পড়ল
কল্পনা জগতের অন্ধকারে নক্ষত্র চিনিয়ে দিল ।

-