আমার "হঠাৎ" তুমি, আদরে অবাক তুমি !
চেয়ে থাকা মাঠ তুমি, আশ্বিন ধান তুমি...
বুকের ভিতরে বাজা বাউলের তান তুমি ।
পাতায় পাতায় জ্বলা, অস্ফুটে কথা বলা...
কীর্তন, কাওয়ালীর মিশ্রিত রাগ তুমি !
অবুঝ আমার বুকে সব অনুরাগ তুমি ।-
এ মন ঝলসে গেছে তোর ছোঁয়া পেয়ে...
পলাশ আগুন রাঙা শরম পেরিয়ে !
আজ দু হাত ভর্তি লেগে কয়লার ছাই -
তোর প্রেমের ভরম দিল আমায় হারিয়ে ।
-
চারিদিক ডুবে গেছে...
ছাদ মেঝে একাকার
ঘরে তবু জল নেই !
জল নেই চোখে
অভিমান নেই, নেই অভিযোগ ।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাও দেখি
যাও, যাও...
তুমি সে নয়, তুমি অন্য কেউ
তুমি অন্য লোক ।
-
তুমি আজও আছো ছায়াপথ জুড়ে...
নীলচে তারার মতো নিভু নিভু আলো !
তোমার বাড়ি খুঁজি, মায়ার নগরে
ভুল করে আজও রোজ বেসে ফেলি ভালো ।
ভুল করে যদি চোখে চোখ রাখো...
দেখো, চোখের পাতায় লেখা তোমারই তো নাম
দেখি, হাসিটা তোমার সেই একই থেকে গেছে
ঐ প্রাণভরা হাসিটাকে, বুক ভরে জানাই সেলাম ।-
। লেন দেন ।
লুকিয়ে দেখা দুপুরগুলো..
পথের প্রান্তে, আলগা ধুলো !
আমায় ছেড়ে...তোমায় পেলো আমার বিষন্নতা !
কংক্রিটের এক টুকরো ঘরে
হৃদয় যখন গুমরে মরে,
আজও আমার ঠোঁটে আদর করে
তোমার চোখের পাতা ।-
আমি জল রঙেতে কাঁচা, আমায় প্যাস্টেলেতে এঁকো
আর ওই উৎসর্গে নয়, পারলে প্রচ্ছদেতে রেখো ।
অংশীদারি আধা আধা, তুমি আমার - আমি তোমার
তাই ধার বাকিতে নয়, আমায় ইকুইটিতে রেখো ।
-
সতর্ক তো সবাই থাকে, তবুও ঠকে লোকে
চেনা ছন্দে, চেনা শব্দে ঘুম এসে যায় চোখে...
ঘুমের মধ্যে কাঠের গায়ে বাড়তে থাকে ঘুন
তাই, চেনা হাতেই হচ্ছে আজও নৃশংস সব খুন ।-
সত্যি লিখলে বদনাম হতে...
প্রকাশে কলম খুব পরিমিত ।
মিথ্যে লিখলে নাম হতো খুব
আমি অনামী, আজও তোমাতে সীমিত ।
— % &-
স্রোত বয়ে যায়, স্রোত বয়ে যায় !
বিষন্নতার স্রোত
ফুটছে "চা" সেই কখন থেকে -
ওরে এবার, দুঃখ থেকে ওঠ !
— % &-
শীতেতে এসব আকছার হয় - দূরত্ব বাড়ে, খুব জ্বর হয় !
ফতেহ আলী খাঁর কাওয়ালির সুরে - শ্যাম আর রাধিকা এক স্বর হয় ।
শীতেতে এসব আকছার হয়, ভিতগুলো সব নড়বড় হয়,
পশ্চিমী এক ঝঞ্ঝার ঘাতে উত্তরে খুব তোলপাড় হয় ।
উত্তর আর দক্ষিণ কি! সবই তো সমান শীতের চোখে
নিরক্ষরেখা বুঝবে কিভাবে কেন যে মানুষে কবিতা লেখে ।
কেন যে মানুষে কবিতা লেখে, কেন বা মানুষ কবিতা পড়ে !
অকারণে কিছু অন্ধ গলিতে, কেন যে অকালে বৃষ্টি ঝরে ।-