ভূস্বর্গের ধূসর বাতাসে নপুংসক বারুদের গন্ধ
মৃত্যুর শীতল বিছানায় ঘুমায় নীরিহ শব।-
"বৃষ্টি তুমি এলে"
বসন্তের দুয়ারে মেঘলা-চাদর গায়ে।
কোলাহল নেই, নিস্তব্ধ নিথর প্রান্তর
ঘুমিয়ে আছে অক্লান্ত শ্রমের পর,
ঘুমন্ত চোখে জন্মান্তরের নতুন স্বপ্ন...
হয়তো ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতি-মধুর
ভেসে ভেসে ওঠে ফের.....
সমুদ্র-ঝিনুকের মত নিবিড়।
অতন্দ্র রাতের প্রহরী
আমি একা জেগে আছি
বাইরে বসন্তের মর্মর ধ্বণি
পাতায় পাতায় হটাৎ বৃষ্টি
যেন অফুরান কান্না
আমি শুনছি একা।
অকস্মাৎ তুমি এলে
বসন্তের মাতাল হাওয়া থমকে যেন বৃষ্টি কান্নায়
ঝরছে বৃষ্টি নিবিড় ছন্দে
জল শহরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
বিনিদ্র চোখের পাতায় সারা রাত
জ্বলে যাচ্ছে একটি নক্ষত্র
যার পরিচয়
হয়তো তুমি ভুলে যাবে
আগামীকালের রোদ্দুরের ভাষায়।
-
শারদীয়া দুর্গার আরাধনার পর
কার্তিকের অমাবস্যার রাতে
আরাধ্যা মাগো কালীপূজা হয়।
আবার আলোকে ফিরে পাবার উৎসব সাধনা
কালী তাই কালো নয়, আলোকেরই দেবী।
শহর থেকে দূরে গ্রামে গ্রামান্তরে
সুদূর পল্লীর নিভৃত অঞ্চলে
দূর বনানীর প্রান্তরে প্রান্তরে
গৃহবধূ প্রদীপ জ্বালিয়ে
গৃহস্থের কল্যান কামনা করে।
মহানিশা আর দীপান্বিতা, একই রাতে দুটি নাম
আলোর আলিঙ্গনেই মহানিশার ঘোর কাটে
দীপের অস্ফুট আভাস সম্পূর্ণ হয়--দীপাবলিতে।
-
ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত মন একফালি মেঘ খোঁজে
রিক্ত ধূসর বিষন্ন দুপুরে অপেক্ষার পারদ --
বৃষ্টিরেণুর সন্ধানে আকাশ পাণে চায়।
মন বালিয়াড়ি আজ উষ্ন মরুভূমি
ক্যাকটাসের কাঁটায় বিদ্ধ হৃদয়
রুক্ষ পাথর-পাথর পথে হোঁচট খায়।
চারিদিকে ছড়িয়ে স্মৃতির পাথর
বারে বারে আঘাতের ক্ষত ছড়ায়!
-
পুরাতন বরষের সাথে ফুরিয়ে আসে মোমবাতির শিখা,
বর্ষবরণের ভালবাসা নিংড়ে শুভকামনায় উজ্জ্বল এই সন্ধ্যা।
অ--পর্ণা-
বৃষ্টিভেজা সবুজ ঘাসে বৃষ্টিরেণু ভাসে ;
টাপুরটুপুর বৃষ্টি ঝরে
আকাশবীণার তারে তারে
রিমঝিম সুরের মেঘমল্লারে।-
সম্পর্কের মায়াজালে আবদ্ধ মুহূর্তেরা জানে
তোকে ভালোবেসে জড়িয়েছিলাম স্নেহের আঁচলে;
আগল সরিয়ে চলে গেলি দূরে ----
কাচের-গ্লাসে ছোঁয়াচটুকু রেখে!-
অবিরত বর্ষায় ঘুনপোকার বাঁধগুলো আলগা হোয়ে
নদীবক্ষের গভীরে তলিয়ে যায়।-