বিবেকের কাছে যদি পরাজিত হও
যদি পরাজিত হও নতশিরে
মাথা উঁচু করে রাজপথ দিয়ে ফিরো
অহংবিজয়ের কেতন উড়বে সিংহদুয়ারে।।
২১.০৪.২০২৩-
২০শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ জীবনের প্রথম চাকরি... read more
আমি জ্যোৎস্না মাখি মোম রঙের আলোকে
বিচ্ছিন্ন দ্বীপে কত স্বপ্ন খসে টুপটাপ !
কথা ফোটে নিঃসাড়ে, নির্বাক গাছে গাছে
বৃষ্টি জমালে শুধু, বোঝোনিতো মেঘেদের উত্তাপ।।
৩০.০৫.২০২১-
মৃত্যুর কাছে স্থির হয়ে বসি বহুক্ষণ
মূহুর্তরা নিষ্পলক চেয়ে থাকে।
নতজানু শরীরটা কুড়িয়ে-বাড়িয়ে
একটু সময় আর স্পর্ধা জোগাড় করে।
অনন্ত মহাকালের কাছে ধিকিধিকি আগুন জ্বলে
প্রশ্নের আগুন,
তাকে দাবানলের রূপ দিতে
ঠিক যতটা সময় আর স্পর্ধা প্রয়োজন।
তারপরেই দে ছুট,
আত্মার বাসনা তৃপ্ত হয়
শরীরের আগল খোলে
অশরীরী ছায়ারা পাড়ি জমায়
মহাজাগতিক শূণ্যতার উর্দ্ধে।।
- ২৪.০৪.২০২১-
যে ছেলেটা
নোলক পরা একরত্তি মেয়েটার সাথে
বাসা বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলো
তার আর সীমান্ত থেকে ফেরা হয়নি কোনোদিন।
নোলক কিন্তু থেমে থাকেনি
কখন সে দুহাত ঘুরে
ভাঙা নীড়ে এখন জবুথবু হয়ে বসে থাকে সারাটা বেলা।
ঊষর প্রান্তরে উজানের হাওয়া বয়
পলাশ-শিমূল-কৃষ্ণচূড়ায় আগুন লাগে,
শরীরে কালশিটের ক্ষত নিয়ে
প্রতিরাতে ঝিকিয়ে ওঠে অঙ্কশায়িনী।
ছেলেটার দেওয়া কথারা থাকেনি সাথে
থেকে গেছে শরীর-মনের রুক্ষ বালুতট জুড়ে
একমুঠো লাল মাটির স্নিগ্ধ সোঁদা গন্ধ।।
০২.০৪.২০২১
-
পৃথিবীও একদিন শান্ত হবে
থেমে যাবে তার বুকের সব দোলাচল,
ঈশ্বর তুমি কি বড় একা হয়ে যাবে?
যদি মূক-বধির হয়ে যায় সব কোলাহল।
অভিমানী কান্নায় নিথর হবে তোমার ব্রহ্মান্ড?
প্রগলভতা ভেবো না, নিছকই কৌতূহল।।
২৭.১২.২০২০-
যোগের পরেই বিয়োগ করো
ভোরের আলোয় পূর্বরাগ,
ঘাড়ের পাশে চুল সরালেই
তুই যে আমার জন্মদাগ।
মুখচোরাদের মিথ্যে ভিড়ে
উপড়ে দিলাম লজ্জাশিকড়,
জন্মান্তর মিথ্যে হোক
বাঁচুক শুধু জাতিস্মর।।
২৪.১২.২০২০-
নির্নিমেষ তাকানো ওই চোখ দুটোয়
এক সমুদ্র গভীরতা ছিল,
তাই মনের তল পাইনি কোনো দিনও।
আকন্ঠ মদ্যপানের পরেও
ঋজু শরীরটা একটুও বেসামাল না হয়ে
বাড়ি ফিরে গেছে,
আমি অঙ্কটা মেলাতে পারিনি আজও।
কিছু থাকা আর না থাকার মধ্যে
অনন্ত ব্যবধান ঢুকে গিয়েছিলো কখন!
আমি সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি তত দ্রুত।
সে বোধহয় সবটা বুঝতে পেরেই
পিছু ডেকে বলেছিলো
"একটা মালা গাঁথবো, আমার বকুল ফুল হবি?"
২২.১২.২০২০-
ইউনিভার্সিটির ক্লাস সেরে
যেই কৃষ্ণচূড়া বিছানো পথে
তুমি ফিরে যেতে গন্তব্যে,
আমার "শেষের কবিতা" -র
তেরো নম্বর পাতায়
সেই কৃষ্ণচূড়া সাজানো আছে।
তোমার সান্নিধ্য পেতে
ব্যস্ত থাকা অনন্যাদের ভিড়ে,
আমি নিবিড় হয়েছি
তোমার কবিতাদের কাছে।
তোমার প্রেমের
সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে নিয়ে,
আমি তুষারপাত দেখে গেছি
একটা গোটা বসন্ত জুড়ে।
'আমার সমাধিতে
একমুঠো কৃষ্ণচূড়া রেখে এসো একদিন'
যমদুয়ার থেকে এই চিঠি লিখলাম,
পরিচয়ে এক আলোকবর্ষ ধরে
ভালোবেসে যাওয়া
তোমারই অপ্রেমিকা।।
২২.১২.২০২০
-
গ্রাম্য মেঠো আলপথ ধরে
আমার গৌরি ছেড়ে গেছে তার মেয়েবেলা ।
শোনরে কন্যা, পৃথিবী দেখার স্বপ্ন নিয়ে
আবার ফিরিস ভেঙে দিয়ে ঠুনকো সংসারখেলা।।
২২.১২.২০২০-
রাত নামে চরাচর জুড়ে
শরীর জুড়ে বিচ্ছিন্নতার অন্ধকার,
মুখোশেরও একটা আড়াল লাগে
ভুলে যেতে না কাঁদার অঙ্গীকার ।।
২১.১২.২০২০
- অন্বেষা ঘোষ (অস্মি)-