শহরের প্রাণহীন যান্ত্রিক খর্পরে ;
অবচেতন গুমরে গুমরে মরে বাস্তবতার সীমাবদ্ধ ঘরে ,
চেতন ক্রিয়া ভাব আলাপ করে
মানুষ তখন সভ্য সমাজ গড়ে ।
"হৃদয়" তো মূল্যহীন ..
তাই, এই ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত গলির ধারে রোজ একটা করে " হৃদয় " নিঃশব্দে ভাঙ্গে ; ....
কেউ খোঁজ রাখে না সেই ভাঙনের ;
দুর্বল মুহূর্তের দুঃস্বপ্নের মতো,
মিলিয়ে যায় সেই সব হৃদয় ভাঙ্গা টুকরো আর ক্ষত .... ।।
-
তাই আমার চরিত্রটাকে নিজের ইচ্ছে মতো ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই... read more
আলসে অবসরে রোদের রঙে মেখে
দিন গুলো যেমন কাটছিল কেটে যাক ;
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান এর আশায়;
রোজ সন্ধে নামুক চোখের পাতায় ...
ঘরে ফেরার পথে পরিযায়ী দিয়ে যাক তোর খোঁজ প্রতিনিয়ত রোজ ...
-
কলমের গাঢ় কালিতে পরিণতির অপার্থিব সুখ,
সমস্ত না পাওয়াকে তুচ্ছ করতে পারে ...
সারা দিনের অযত্নের ক্লান্তি উপেক্ষা করে
হারিয়ে যেতে পারে হলদে পাতার ছন্নছাড়া শব্দে ...
বেহিসেবী অবহেলার অভিযোগ ভুলে একদৃষ্টে
কল্পনাকে বাস্তবায়িত করার ব্যর্থ চেষ্টায় মেতে উঠতে পারে ...
না পাওয়ার কষ্ট বিচ্ছেদের ব্যকরণে সংজ্ঞায়িত করার উপায় আবিষ্কার করে ফেলতে পারে অনায়াসে ...
বিমূর্ত অবয়বের কাছে উজাড় করে দিতে পারে শেষ বিন্দু বাঁচার আশা...
আসলে বাস্তব কে সাক্ষী রেখে যা পাওয়া হয়না ... ছন্দহীন , গতিহীন নির্জনতার আন্দোলনে তার অন্দরে প্রবেশ করা যায় শুধু মাত্র একটা খাতা আর কলম নিয়ে ।।-
সব না পাওয়াতেই কি তীব্র দমবন্ধভাব থাকে ?
সব না পাওয়া ঘিরেই কি চরম অশান্তি, ভালো না থাকার সূত্রপাত ? না পাওয়া কি শুধুই না পাওয়া ?
তোমরা যার নাম দিয়েছো না পাওয়া , সেই না পাওয়াতেই আমার সুখ !
শেষ ঘরের আলো নিভিয়ে যখন ঘুমের জন্য শরীরটা বিছানায় ছেড়ে দিই ,
সেই না পাওয়ারা ভিড় করে আসে আমার দুচোখে ... আবছা করে দেয় দৃশ্যমান সবকিছু , তারপর যখন গাল বেয়ে নেমে আসে চরম সুখ পাই আমি !
এই সুখ কোনো প্রেমিক - প্রেমিকার একে অপরকে পাওয়ার সুখের চাইতেও শান্তির , ক্লান্ত শরীর ভালোবাসার মানুষের গায়ে এলিয়ে দেওয়ার চাইতেও শান্তির ! যত্ন নিয়ে চুল ঠিক করে দেওয়ার থেকেও অনেক বেশি শান্তির !
পেলেই যদি সর্ব সুখের অধিকারী হওয়া যায় তবে এই শহরে সব পাওয়া মানুষ গুলো এতো অস্থির কেনো ? তাদের কেনো ঘুম আসে না রাতে ? তারা কেনো এতো পেয়েও হিসেব করে চলে," না পাওয়া" গুলোর ? তাই তো আমি না পাওয়াতেই খুশি ...!
-
আবেগ গুলো ব্যক্তিগত হোক ব্যস্ততার হাত ধরে,
অভিযোগের পাহাড় ঢাকা পড়ুক অভেদ্য কুয়াশায়, আর বিষন্নতা সুখ খুঁজুক একাকিত্বে ...
প্রাপ্ত অযত্নেরা অভিমান লুকিয়ে রাখুক , শেষ বেলায় ফেরার পথে নিজস্বতা ফিরুক শান্তির গন্তব্যে ...
-
প্রাক্তন প্রেম ধুলো মাখে চিলেকোঠায় ...
অযত্নের প্রাচীর জুড়ে সবুজের রেখা ,
শেষ অভিসারের আশায় বেঁচে থাকা শুকনো গোলাপের নৈঃশব্দ্য সঞ্চয় করে ...
ধূসর প্রান্তে খুব অল্প কিছু জায়গা জুড়ে অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে অখন্ড থাকে পুরনো প্রেমের রঙ ...-
এরকম এক - আধটা মেঘলা দিনে , মন নাহয় ভেঙ্গেচুরে যাক ...
দিগন্তের দিকে তাকিয়ে, অতীতে না হারিয়ে একটা নতুনকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা মিথ্যে মনে হোক না এরকম কিছু মেঘলা দিনে ...
রোজকার আলসে রোদ না মেখে দিন গুলো মেঘের আড়ালে শুরু হোক মাঝে মাঝে ,
বৃষ্টিতে ভেজার নির্দিষ্ট কোনো কারণ না খুঁজে শুধু ভিজে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে কারণ গুলো খুঁজে একা থাকুক মন ...
-
আচ্ছা,
অনেকটা দূরত্ব না থাকলে এতটা ভালবাসা যায় ?
অবসরের মাঝে, কাজের ব্যস্ততায় চোখে হারানো যায় ?
হঠাৎ মেঘলা দুপুরে, আকাশকে সাক্ষী রেখে তাকে ছুঁতে চেয়েও ব্যর্থ হওয়ার অভিমান অবচেতনকে ভেঙেচুরে দেয় ?
রাত্রিগুলো নিদ্রাহীন ভাবে সমস্ত দমবন্ধভাবকে বাষ্পীভূত করে চোখের কোণায় ?
এক পৃথিবীর অন্য প্রান্তকে এতো কাছ থেকে অনুভব করা যায় ?
দিন - রাত এক করে শুধু ভাবা যায় "সে" ঠিক আছে কিনা ?
যদি এই "দূরত্ব" সবটার একমাত্র কারণ , তবে থাকনা এমন দুরত্ব ...
-