গুরুজনেরা বলেন জন্ম , মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। এখানে জন্ম বা বিয়ে টা ব্যাপার নয় কথাটা হচ্ছে "মৃত্যু" কে নিয়ে। তোমার যখন যাওয়ার সময় হবে তখন গোটা পৃথিবী হাজার চেষ্টা করেও তোমায় আটকে রাখতে পারবে না। ঠিক যেমন টা রিলেশনশিপ এ হয় , তোমার উল্টোদিকের মানুষটা যদি ছেড়ে যেতে চায় । তুমি শত চেষ্টা করেও তাকে আটকে রাখতে পারবে না। সে যাওয়ার জন্য অজুহাত ঠিক খুঁজেই নেবে। তাই বলি ওসব নিয়ে না ভেবে দুদিনের জীবন নিজের মানুষ দের নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করো।
-
অভিমান ডাকিয়া কহে
কি হে প্রিয় ভালোবাসা
কোথায় হারাইয়া গেলো
তোমার সব মিথ্যে আশা।
কি যেন বলেছিলে
দিন শেষে সব প্রাণিই ঘরে ফেরে
তা তোমার সেই পোষা টিয়ে
আজকাল সে কি ঘরে ফেরে।
ভালোবাসা চুপটি করে থেকে
অভিমানের সব কথা শোনে
নিজের ভুল বুঝতে পারে শেষে
তাইত সে নীরব বসে থাকে।
অভিমান আরো চারাও হয়ে
মুখে যা আসে বলে যায় নিমেষে
আজকে সে বলার সুযোগ পেয়ে
বলে নিচ্ছে মনে যা ছিলো চেপে।
খানিক নীরব থেকে
নিচু সুরে ভালোবাসা কহে
অভিমান আমায় ক্ষমা করো
দিন শেষে তোমারি জয় হলো।-
দোষের হিসেব করছি না আজ আমি
কি আর হবে দোষের হিসেব করে
দোষটা না হয় আমারি ছিলো বেশি
তাই বলে কি সবটা এমন হবে।।
যদি আমিই যাই অনেক দূরে সরে
কি বা হবে ইগোর লড়াই করে
অভিমান তুমি করবে কার তরে
একটা সরি তুমিই না হয় বলতে।।
কত মানুষ হারিয়ে গেলো ভিড়ে
সস্তা কিছু ইগোর লড়াই করে
সবটা যদি হত আগের মতো
দেখতে কত শান্তি হত তবে।।-
স্মৃতিচারণ
পর্ব 2
যেখানে যেত সকলকে মাতিয়ে রাখত সে। সে থাকা মানেই সেখানে হাসি, মজা ,আনন্দে সব থাকবেই। ভাবতে ভাবতেই স্কুল পেরিয়ে কলেজ জীবনের কথা ভাবতে থাকে সে। প্রথমদিকে ভালো লাগতে থাকলেও একটা সময় পর তার মনে ছেয়ে যায় এক বিষন্নতা। তার মনে পড়ে যায় তার জীবনে সেই অন্ধকারতম সময়ের কথা। যে সময়টা তার জীবনে আসতে পারে সেটা সে ভুলেও ভাবেনি কোনদিন।-
তুমি যদি বাসতে ভালো
বুঝতে আমার মতো
সব কিছুতো ভুলেই যেতাম
দুঃখ , কষ্ট যত।।
তুমি যদি বাসতে ভালো
রাখতে হাতে হাত
তোমার নিয়ে পেরিয়ে যেতাম
তেরো নাদি আর সুমদ্র সাত।।
তুমি যদি বাসতে ভালো
থাকতে আমার পাশে
তোমার কথাই বলে যেতাম
আমার শেষ নিশ্বাসে।।
তুমি যদি বাসতে ভালো
নিতে তোমার করে
গোটা পৃথিবী ত্যাগ করে
হোতাম তোমার চিরতরে।।-
Just as the sun rises in the east every morning, we will be together for the rest of our lives
-
স্মৃতি চারণ
পর্ব - ১
মধ্যাহ্নভোজন, মানে দুপুরের খাবার শেষে সবে মাত্র ফোনটা হাতে নিয়েে শুয়েছ অনিন্দ্য। কিছুক্ষণ ফোন দেখার পর নিজের অজান্তেই ভাবতে লাগলো কত কিছু। নিজের সম্পর্কে, নিজের জীবন সম্পর্কে, সে কোথায় ছিল ,কেমন ছিল ,এখন কোথায় ,এখন কেমন ইত্যাদি। ছোটবেলা থেকে কত আদরে ছিল অনিন্দ্য মা-বাবার ছোট ও একমাত্র ছেলে , দুই দিদির আদরের ছোট ভাই। স্কুল, টিউশন, কলেজের সব স্যার ম্যামদের কত প্রিয় ছিল সে । বন্ধু বান্ধবীদের সব থেকে কাছের বন্ধু অনিন্দ।-
অভিমান ডাকিয়া কহে ,ওহে ভালোবাসা
তোমার পরে শুধুই নিরাশা।
আমি গুনি লোক বটে
আমার পরে তৃপ্তি ঘটে।
ভালোবাসা হাসিয়া কহে
আমি বোকা লোক বটে।
তাইতো গোটা পৃথিবীতে
আমার ই অন্ত ঘটে।
তুমি খুবই চতুর জানি
তাইতো মন অভিমানী।
কিন্তু বেলা শেষে
সব প্রাণিই ঘরে আসে।
তাইতো বলি অভিমান
তুমি একটু সাবধান।
ভালোবাসা গভীর হলে
অভিমান পালায় শেষে।।
-
মানুষের সঙ্গে সঙ্গে তার মন খারাপের গুরুত্ব ওহ বুঝি কমে যায়। মানুষ টা যখন দামী থাকে তখন তার হালকা মন খারাপেও উল্টো দিকের লোকটা থিক যতটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে মানুষের দাম কমে গেলে তার মন খারাপে উল্টো দিকের লোকটা ততটাই অভিমানী হয়ে ওঠে তার ওপর। হয়তো এটাই বাস্তব নয়তো বা কলমের বোঝার ভুল।
-