তাসের দেশে ঘর বেঁধেছি, জলছবি রঙ কাঁচে;
মৃত্যু? সে তো আকস্মিকেই বাঁচে!-
মান ভাঙাবে, অবুঝ হাওয়া, কাকভেজা নিঃশ্বাসে?
খড়কুটোরা উড়ছে ভীষণ, ঠুনকো আবেগ কাকতলীয়;
ঝড়ের শেষে বর্ষা এলে, হিসেব নিকেশ চোখের স্বীয়।।-
কালবোশেখীর এলোকেশী ঝড়ে, জল ছুঁল যাঁর চোখ,
ভীত আবদারে, মান ভাঙা ভোরে, (তাঁর) কথকতা আঁকা হোক!-
শাওন গগনে, নূপুরছন্দে, উন্মাদ হায় হৃদি।
বংশীধ্বনি মরমে পশিল, শ্যাম তব প্রেমপ্রীতি।।
নিবিড় কুঞ্জ, নিশি উপবন, চপলা আবেগ মম।
কালা লাগি অউর ন সহে যাতনা, হেরি তুঁঝে দেবসম।।
মাধুরী অনলে, পুড়িল সকলি, নন্দ কিশোর তুঁহু আওরে।
কলঙ্কিনী, করে মিনতি, প্রেমরস বর্ষাওরে।।
-
...তবু বারবার, অপলক চোখ
(যদি) শূন্যে ভুলেছে দিক...
বনমালী আমি, পরজনমেতে,
গুলজ়ার হ'ব ঠিক!-
পুড়লো সবই অমোঘ শিখায়, নকশীকাঁথায় গল্প আঁকা;
পথ হারানো উত্তরেরা, অভিমানের সরলরেখায়।।-
ঘন ঘোর শ্যামল নভে জলদ ঘিরি আয়ি রে।
চপলা হৃদয় হায় শিহরিত ডরে;
গহন কুঞ্জে কালা আজ ন আওরে।।
বাদল গরজি উঠে, মন্দ্র মদির স্বরে।
চঞ্চলা হিয়া মম, অভিলাষে থরথরে,
শ্যাম, তবে দরশন আশে, যাতনা ন সহে রে।।
বিজুরি ছুটিয়া যায়, চমকিত অম্বরে।
হরখত নীরদ, বারি ঝরে ঝরঝরে;
হৃদি মম অকারণে, তব মিলন চাহে রে।।
গহন রয়নমে আঁধার ঘিরি আয়ি রে।
কলঙ্কিনী কহে সকাতরে,
নওলা কিশোর, তুঁহু আওরে।।-
তোমার জন্য গল্প বোনে আকাশপ্রদীপ;
মেঘের পাড়ায় বনপলাশীর ভীষণ গোঁসা।
কালবোশেখী মান ভাঙাতে কাব্য বারিষ;
সময় ছোটে শিরার স্রোতে মিথ্যে নেশায়।।-
বৃষ্টি ভীষণ, মন খারাপী হাওয়া;
মেঘের কালোয় সজল কাজল আঁখি---
পথের ভুলে চোখ এড়িয়ে হাঁটি;
অলীক প্রেমে মুখ ডুবিয়ে থাকি।।
অবাস্তবের কক্ষপথে ছুটে,
শব্দ ফেরে অচিন ছায়াপথে।
মিথ্যে শহর মুখোশ আঁকড়ে ধরে;
মন কেমনের কাব্য, অভিমতে।।
রাত পোহালে ঘুম ছোঁওয়ানো বারণ;
ঘড়ির কাঁটা নকল গল্প বোনে।
শিথিল শত মান অভিমান খেলা,
তাসের প্রাসাদ অভিসারী আখ্যানে।।
বৃষ্টি আবার, অস্ফুট আবদারে;
আঙুলখেলা জলছবি ভোর আঁকে।
আবেগ ভয়ে জমতে থাকে কথা,
কল্পনাদের ব্যর্থ এপিটাফে।।-