ঘড়িতে রাত ১০:৩০ মিনিট বাজে, বৃষ্টি পড়ছে, হঠাৎ রিয়ার মেসের দরজায় টোকা পড়ে ও দরজা খুলে দেখে পৌলোমি দাঁড়িয়ে আছে।
পৌলোমি বলে, "জানি তুই আমাকে পছন্দ করিস না কিন্তু তোকে এখনি একবার শেষবারের মতো আমার ঘরে আসতে হবে", এই বলে সে রিয়াকে টানতে টানতে তার ছাতের ঘরে নিয়ে যায়।
অর্ধেক খোলা দরজার ওপারে রিয়া কাঠ হয়ে দেখে বিছানায় পৌলোমির ধর্ষিত মৃতদেহটা পরে আছে আর অর্ক জামার বোতাম লাগাচ্ছে, হাওয়ায় মিশে তার কানে ভেসে আসে পৌলোমির গলা,"বলেছিলাম না তোকে, অর্ক ভালো ছেলে নয়, আজ প্রমানও দিলাম তোকে"।-
Follow me for my writings... read more
স্নান সেরে বেরিয়ে বেশ হালকা লাগছিল শরীরটা।
শেষ কয়েকদিন ধরেই বড় বুকের ব্যাথায় ভুগছি, কিছুক্ষন আগেও উঠেছিল ব্যাথাটা, কিন্তু এখন বেশ ঝড়ঝড়ে লাগছে শরীরটা।
আয়নার সামনে সবে দাঁড়িয়েছি হঠাৎ শুনতে পেলাম আমার স্ত্রীর আর্তনাদ, ছুটে গিয়ে দেখি বাথরুমে, বাথটাবে পড়ে আছে আমার নিথর দেহ - ডানহাতটা তখনও বুকের বাঁ দিক চেপে আছে।।
-
রাত তিনটে,
হাওয়ার দাপট,বৃষ্টিতে কাঁপছিল জানলার কাঁচ। অস্বস্তিতে ঘুম ভাঙলো ইন্দ্রর।কেউ বসে আছে। মুখটা দেখেই ভয়তে চারপাশটা গোলকধাঁধায় পরিনত হলো।
একমাস আগে, রাত দশটা,
ঝড়জলে একটি মেয়ে লিফ্ট চায়। অর্ধসিক্ত নারী-শরীরের লোভ সামলাতে পারেনা ইন্দ্র।
মাঝ রাত্তিরে মেয়েটিকে ভাসিয়ে দেয় নদীতে।শরীরটা মিলিয়ে যায় জলের শরীর হয়ে।
-
না না নুন নেই, কিন্তু বাড়িতে আছে....
রোজ সকালে মাজনের ওপর একটুখানি করে ছড়িয়ে নিই।
তারপরে দাঁত মাজা হয়ে যেতেই জানিনা কীভাবে এরকম কোলগেট অ্যাক্টিভ সল্ট স্মাইল বেরিয়ে আসে।-
- গিন্নী দিনতো গেল সন্ধ্যা হলো, চা খাওয়াও আমারে...
- গান হচ্ছে! ঢং দেখে বাঁচিনা!
- এনেছি তেলেভাজা, যদি পেতাম একটু ঝালমুড়ি চা...
- বিনিপয়সার চাকরতো আমি!
- আহা, ঝালকথা নয় ঝালমুড়ি চাই।
- যাই!
-----------------------------------------------------------------
- মরে গেলুম! এটা কি গিন্নী?
- কেন? ঝাল-ঝাল ঝালমুড়ি!
- এগুলো সত্যিই লঙ্কা?
- হুমম, ভূত-জোলোকিয়া।
-😱-
- ওইতো আমার দারুচিনির দ্বীপ!
- মানে?
- আরে, একহাঁড়ি জাফরানি বিরিয়ানি!
- প্যালাদা ওটা তোর জন্য নয়।
- মানে?
- ওটা তিনমূর্তির, তোর জন্য ধনে গোলমরিচ দেওয়া
সিঙিমাছের ঝোল।-
কলেজ-স্ট্রীট থেকে ছেলের উচ্চমাধ্যমিকের বইগুলো কিনে নিয়ে বিকাশবাবু চলে গেলেন ট্রাম ডিপোতে, উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন ট্রামের দরজায়, নিজের কুড়ি বছর ধরে করে আসা কন্ডাক্টরির কাজটা করতে, গন্তব্য হাওড়া স্টেশন।
"হাওড়া, হাওড়া, হাওড়া....", সারাদিন ধরে হাঁকতে হাঁকতে ক্লান্ত হয়ে পড়া বিকাশবাবু শেষ ট্রামটা হাওড়া ট্রাম ডিপোতে পৌঁছে দিয়ে হাঁটা লাগালেন হাওড়া ব্রিজের দিকে।
প্রতিদিনের মতো, বাড়ি ফেরার আগে বিকাশবাবু সন্ধ্যাবেলা গিয়ে দাঁড়ালেন হাওড়া-ব্রিজের ধারে, একটাকা গঙ্গায় ফেলে বললেন, "হে মা গঙ্গা,আর একটা বছর কাজটা বাঁচিয়ে দাও আমার"।-
খোলা জানলার ধারে বসেছিল কাজল, হঠাৎ চোখদুটো ঝাপসা হয়ে এলো মিলিটারি স্বামীর স্মৃতিচারণায়।
আজকাল ঝুপঝাপ দু-এক পসলা বৃষ্টি নেমে আসে কাজলের চোখে।
তিনমাস আগে বর্ডার থেকে স্বামী শেষবার ফোনে বলেছিল, " হামারে প্যায়ার মে দূরিয়াতো ছোটি সি বাত হ্যায়, আর কয়েকটা অপেক্ষার রাত, তারপর তোমার কাছে থাকবো"।
পরেরদিন খবর এসেছিল বর্ডারে হামলার। কাজলের অপেক্ষার রাত আজও চলছে ।-