কতো কদরই না ছিল-
জীবন-যৌবন-কালে।
কেউ আর ফিরেও দেখবে না-
কামনার যোগ্যতা হারালে।
একটা সময় পর সব্বাই লিখাবে-
নাম,উপেক্ষার দলে।
ঝরা ফুলের কষ্ট কেউ বোঝে না-
জীবন সায়াহ্নে না পৌঁছালে।
-
ছড়িয়ে দিতে সবাই একপায় খাড়া-
দুর্নাম ভিক্তিক যে কোনো বর্তন।
অথচ সমালোচনা ছাড়া হয়না সামিল-
ছড়িয়ে দিতে,কারও গুণকীর্তন।-
পার্থিব সব কিছুই যদি নশ্বর হয়-
তবে অযথাই কেন কষ্ট পাওয়া-
পুষে রেখে মনের মাঝে,হারানোর ভয়।
যেহেতু-
নরম হাতের স্পর্শে,মনটা ভরে ওঠে,
নরম রোদের নরম আলোয়,প্রাণে শান্তি ফোঁটে।
নরম কথায় ভালোবাসা,নরম শীতল জল,
নরম মনের নরম ছায়া,সুখে ভরা স্থল
তাই হারানোর ভয়ে,হারায় মনের বল।
Anima Barman.
-
বন্ধু মানে বিধ্বংসী ঝড়ের পর-
শরৎকালের আকাশ।
বন্ধু মানে বইতে থাকা-
ভালো থাকার বাতাস।
তাই বন্ধু হলে আর কি লাগে-
এক আকাশের নিচে পথ চলা।
কোনো এক মেঘলা দুপুরে-
হারিয়ে গিয়ে,মন খুলে সব বলা।
বন্ধু হলে আর কি লাগে-
চলার পথে একটা ভরসার কাঁধ।
পাশে থাকতে এগিয়ে আসা-
সবসময়,ভেঙ্গে প্রতিবন্ধকতার বাঁধ।-
শারদীয়া আকাশ যেন পেঁজা তুলোর ভেলা,
আহা কি অপরূপ-মেঘ বালিকার খেলা।
দোলায়িত কাশের সারি-নদীর তীরে তীরে,
না হারিয়ে পারে কি মন-
এমন মনহারিনী রুপের ভিড়ে।
হাল্কা হাওয়ায় মন উড়ে যায়-
শরতের এমন স্নিগ্ধ শোভন পরশ ছড়ায়।
মাতাল করা শিউলির গন্ধ-
নাচে আনন্দের হৃদয়,পাড়ায় পাড়ায়।
পূজোর আমেজ লাগিয়ে প্রাণে-
রাখে সরিয়ে দুঃখ কষ্ট,
জোয়ার ভাসানো খুশির হাসি,আনতে মনে।
নতুন সাজে,সেজে শহর-
মন মাতানো হুজুকে মাতে দিনভর।
Anima Barman.
-
যেমন প্রাণ বায়ুর উৎস বাড়ে,
কার্বোণ-ডাইঅক্সাইড শোষণ ও-
অক্সিজেন নির্গমনে বিশুদ্ধ পরিবেশ গড়ে।-
শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রদত্ত দু-দন্ডের স্বপ্ন যখন-
হয় রোপিত,ছোট্ট মস্তিষ্ক সম্পন্ন শিশু মনে।
সেই স্বপ্নই ভবিষ্যৎ-এ দাঁড়ায় দিশারী হয়ে-
নতুন প্রজন্মের ভবিষ্ণু জীবন গঠনে।
"তোমার সুরেই"-তোমাদের দেখানো পথে- নিজদেরকে,রাখলাম বেঁধে আপনজনে।
এই স্যাটিসফ্যাকশন মূলক সন্মান-টুকুতো-
যায় জানানো শিক্ষাদাতা গুরুজনে।-
ঘরে ফেরার টান,
ছিল, আছে,থাকবে যতক্ষণ-
আছে বক্ষ খাঁচায় বন্দি পাখির প্রাণ।
কেউবা ফেরে প্রবাসী মনের পোষাক-
ছেড়ে,অনুভবে রাখবে বলে দেশমাতৃকার তান।
কেউবা আবার কাজের শেষে ফেরে ঘরে -
কতটা নিঙড়ে যায় নেওয়া,ভালোবাসার অমোঘ টান।
এটাই তো কলুষিত মনের বিশুদ্ধিকরণ মূলক অবগাহন।
কারণটা তোমার যাইহোক না কেন-বাইরে থাকতে-
অবহেলার খাতায় রেখোনা ভুলে প্রিয়জন।
তাঁদের মতো কেউ কোনোদিন-
হবে নাকো শুভাকাঙ্ক্ষী আপনজন।
Anima Barman.
-
শহরেরও হয় অভিমান -
নাইবা হলো চলমান।
লোহার খাঁচা,ইঁটের দেওয়াল-
ব্যস্ত দিনের কোলাহল।
ট্রাফিকের জটে আটকে থাকা-
কত যে গল্প,কত চলাচল।
উঁচু অট্টালিকার ফাঁকে চাঁদ-
মারছে উঁকি, ম্লান মুখে।
তবুও শহরের প্রতিটি ধারে-
বাঁচে জীবন,স্বপ্ন ভরা চোখে।
ক্লান্ত শরীর আসে ফিরে-
চেনা পথের বাঁকে।
নীরব কান্নার রোল বাজে-
মূক,বধির শহরের বুকে।
যতই কষ্ট থাকুক শহরের-
তাতে কার কি যায় আসে।
নিয়ন আলোর ধূসরতায় যেন-
শহরের অভিমানী মুখ ভাসে।
Anima Barman.
-
অদেখা যা কিছু ,তার ছবি আঁকি রোজ-
মনের গভীর কোণে চলে তার খোঁজ।
কখোনো মেঘের ফাঁকে লুকানো রোদ-
কখোনো গভীর রাতে জোনাকির বোধ।
অদেখা নদীর বাঁকে অজানা স্রোত-
কখোনো অজানা তারার নীরব শপথ।
দূর প্রান্তে যায় ভেসে মন,অদেখার অমোঘ টানে-
হয়তো কোনোদিন পাব দেখা এমনই-
জাগানিয়া আশা জাগিয়ে প্রাণে।
হয়তো সে পথে নেই কোনো আশা-
তবুও খোঁজে মন,ভালোবাসার ভাষা।
কল্পনার জালে অদেখার সুখ স্বপ্নের মতো-
তীব্র হাহাকারের মাঝেও,মনকে করে আপ্লুত।
Anima Barman.
-