আহ্ মেঘ এসে দাঁড়িয়েছে দ্বারে-
এমন লগন,আসুক ফিরে বারে বারে।
মাখিয়া অঙ্গে বরিষণ ধারা-
বেপরোয়া মনটা কেন যে পাগলপারা।
ফুটবে বুঝি ঐ প্রেমের কলি-
মন গগনে তাই,চমকায় বিজলী।
ঢাকলো আকাশ কালো চাদরে-
আবেগের উত্থালী পাত্থালী ঢেউ মনের 'পরে।
নির্ঘোষ আওয়াজে কাঁপে গগন-
মেঘের স্তুপে,চায় হারাতে মন।
এটাই যেন বর্ষার বার্তা আগমনী-
তাই হয় পুলকিত মননে,হর্ষে ধরনী।-
চক্রাকার বৃত্তে আবর্তিত-
সমগ্র জীব-জগতের প্রাণ।
একে অপরের পরিপূরক হয়ে-
ভুললে চলবে না, উভয়েরই অবদান।
Anima Barman.
-
অন্ধকারের গভীর কোলে, যখন সব নিশ্চুপ -
আঁধার কাটে আলোর রেখায়,এক শান্ত কূপ।
সূর্যের হাসি,চাঁদের স্নিগ্ধতা,তারাদের মিষ্টি চাহনি-
আলোর পরশ মেখে প্রাণ পায় ধরনী।
যন্ত্রনা আর হতাশাতে মন যখন ভারাক্রান্ত-
আলোর উপশম তখন, জীবনকে করে প্রাণবন্ত।
-
কথার জালে বুনে চলে,সে এক অদ্ভুত কারিগর-
কল্পনার রঙে আঁকে ছবি, গল্পের যাদুকর।
তাঁর ছোঁয়ায় পায় প্রাণ কত শত চরিত্র -
হাসি কান্নায় ভরিয়ে মন, করে জীবন চিত্র।
ছোট্ট বেলার স্বপ্ন থেকে,বুড়ো দাদুর গল্পে-
যাই হারিয়ে তাঁর মায়াজালে,অবাক হয়ে অল্পে।
শব্দরা যেন বেড়ায় উড়ে,ডানা মেলে আকাশে-
তাঁর গল্পে হই বিভোর,হৃদয় ভরে সুখ আসে।
Anima Barman.
-
আলোকবর্ষের দূরত্বে,তারাদের হাসি-
অগণিত নীহারিকা ছায়াপথে পাশাপাশি।
যুগ যুগ পেরিয়ে যখন আলোর যাত্রা চলে -
কালের সীমারেখা,যায় যে তখন গলে।
অচেনা পথের দিশা, মহাবিশ্ব মাঝে-
দূরত্বের গল্পেরা আলো হয়ে বাঁচে।-
চিনবে না কেউ,যাবে দিন ফুরিয়ে-
স্মৃতির পাতায় পড়বে ধুলো জমিয়ে।
হারিয়ে যাবে মুখ,হারিয়ে যাবে নাম-
জীবনের স্রোত,শুধুই চলবে অবিরাম।
থাকবে না আর কোনো চিহ্ন বাকি-
অচেনা ভিড়ে আমি দেব ফাঁকি।
ফিরেও দেখবেনা কেউ,হলেও চেনা মুখ-
নিঃশ্বাসে মিশে যাবে,যত ছিল দুখ।
তবুও হয়তো কোনো নিঝুম রাতে-
মিটিমিটি তারারা, বলবে চুপিসারে।
ছিল একজন, এই পৃথিবী কোণে-
আজ সে গেছে হারিয়ে,স্মৃতির গহনে।-
আকাশে আজ মেঘের খেলা -
ঘোর কালো তার আবেশ মেলা।
বিদ্যুৎ চমকে বিজলী হাসে-
বজ্র গর্জায় দূর আকাশে।
মেঘে মেঘে যেন যুদ্ধ চলে-
এক পশলা বৃষ্টি নামবে বলে।
ধরনী তৃষিত , চাইছে বারি-
শান্তি পাবে,জগৎ সারি।
মেঘের ছায়ায় ঢাকা ভুবন-
মন জুড়ে আজ, উদাসী স্বপন।-
আদিম নদীজল বয়ে চলে অবিরাম-
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে,দূর বনগ্রাম।
শৈশবের স্মৃতি যেন, বয়ে চলে ধারা-
যুগে যুগে সাক্ষী তুমি,কতশত পারা।
তৃষ্ণার্ত ধরা তুমি , করো সুশীতল-
কত সভ্যতার গোড়া, তোমারই তো জল।
শান্ত সুশীতল তুমি, কখোনো রুদ্র রুপ-
প্রান দাও ধরিত্রীকে করো নবীন কূপ।
আদিম নদীজল, তুমিই তো চিরন্তন-
তোমারি বাঁকে বাঁকে,জীবনের স্পন্দন।
Anima Barman.
-
অজানাকে জানতে,অচেনাকে চিনতে-
জাগবে মনে প্রশ্ন যত।
ভাঙ্গবে ভুল, হবে উন্মোচন,শুদ্ধ মনের-
জ্ঞানবৃক্ষের নতুন দিগন্ত।
কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনটা যখন হয় জর্জরিত-
বৈজ্ঞানিক কারণ চাওয়া প্রশ্নে।
অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে, যায় এড়িয়ে-
সদুত্তর না দিতে পারার জন্যে।
প্রজ্ঞা ও যুক্তি যদি হয় জিজ্ঞাসার পথপ্রদর্শক-
হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে-
যায় খুলে,জড়তা কাটানো জ্ঞানের চোখ।
যথেচ্ছ প্রশ্ন জাগুক না কেন-
সর্বসাকুল্যে সবার একটা অর্থপূর্ণ জীবন হোক।-
সুরম্য রথে চড়ে,জয়জগন্নাথ আসেন যখন দ্বারে-
ভক্ত বৃন্দের ভিড় দেখে, মনটা ওঠে ভরে।
রথের রশি টানে,যত ভক্ত জন-
উলুধ্বনি আর জয়গানে,প্রকম্পিত সবাকার মন।
আষাঢ়ের মেঘে ঢাকা,স্নিগ্ধ রথের দিনে,
আট থেকে আশির মন রথের মেলায় ছোটে-
জিলিপি আর পাঁপড় ভাজার টানে।
-