কাঁচাপাকা দেওয়ালে আজ হাজার জোনাকির ঢল,
মধ্যরাতে কোন নেশাতে ছুটছে কবিতার দল।
বুঝলে নীলা, বড়ই আহাম্মক আমি -
ওই ঠুনকো প্রেমের বিড়বিড়ানি
ভেবেছিলাম খুব দামী।
ফাগুন হাওয়ায় গা এলিয়ে ছুটলাম কবিদের দলে,
গদ্যের অব্যর্থ প্যাঁচে তুমি দিলে কানটা বেশ মলে।— % &
পচা কয়েকটা শব্দ ছন্দের ছাঁচে ঢেলে দিয়ে
ন্যাকামি করো না তো,
ছন্দের বেশভূষা নয়,
দাও আমায় অকৃত্রিম নগ্নতা।
কি হল? পুরুষ সিংহ কাঁপে কেনো?
ও বাবা - ছন্দের প্যাঁচ ছাড়া একেবারেই প্রতিবন্ধী যে।
প্রেমিক? দূর ছাই - আগে বিপ্লবী হও।
বাঁধন খুলে এলোমেলো করে দাও জগৎটাকে।
ছন্দের লাঠির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠো,
দু এক ঘা পিঠে পড়লে নাহয় আমি মলম দেবো।— % &
আহা, নীলা, আমি যে
ভাত ডাল খাওয়া মানুষ মাত্র,
ওসব করতে হলে এখন হতে হবে যে
revolution এর ছাত্র।
নেই অত বড় বুকের পাটা আমার,
প্রেম করতে গিয়ে হবো নাকি কুলাঙ্গার?
তার চেয়ে এই পুরনো ছন্দই আওড়াই বেচালে,
আমার ১০৩ জ্বর বাঁধা থাকুক
নাহয় তোমার আঁচলে।
— % &
-