তখন ভালোবেসেছিলাম, আজও ভালোবাসছি; উদ্দাম নটরাজের জটাজালের ফেরে তাকে বাঁধছি।
কিন্তু প্রকাশের পর বন্ধন এলে তা ছিন্ন করা আমার মস্তিষ্কপ্রসুত বিকার।
সে ভাবল, "আর বুঝি ভালোবাসো না”।
আমি চাইলাম- “ভালোবাসি প্রেম, বন্ধন না।”।-
কাকভেজা মাথা জড়সড় হয়ে
জামা ভেজা জল-
আর অগুন্তি ছাই পকেট থেকে
ফেলে গেছিল আমার সিটে-
ওটা অবশ্য তখন তার হয়েছিল ছ'টাকার টিকিটে।
অনেক গল্প ছিল তার,
রোজ উঠত প্রেসির সামনে থেকে,
তবে সেদিন ছিল একটু আলাদা-
জানলার ধারে সে ছিল হলুদ আবদারে।
দুরের মেয়েটা দেখত ঠারেঠোরে,
কাজ সেরে মাথা এলাত যখন আমার সিটের রডে,
হয়তো ভালো লাগত রোজ তাই মনে করে।
সেদিন আর দেখেনি, যেদিন বৃষ্টি পড়েছিল-
শুধু তার রামধনু মাখা শাড়ী মেলেছিল
কাকভেজার মন জুড়ে।
আমি দেখেছিলাম,
যেমন রোজ দেখতাম ডিপোতে ঠায় দাঁড়িয়ে।
তবু অলিগলি যেন ডেকেছিল সেদিন
একটা অন্য সুরে,
যে সুরে শুকনো টিনের গালে বৃষ্টি ঝরলে
জলফড়িংরা স্বপ্ন বোনে।-
আমি গোটা দেওয়াল দিয়েছি তোমায় শুধু একটি কথা লিখবে বলে,
বিজ্ঞাপন নিষেধ জানি ,আমার জীবন লিখবে তুলির জলে।-
তুমি হয়তো জানো না , প্রেম করা আর সেই প্রেম স্বীকার করার মাঝে এক সুবিশাল ভবিতব্যের ব্যাপক ব্যবধান সর্বদা বিরাজমান এবং এই ব্যবধান অনায়াস প্রচেষ্টায় যে প্রতিটি প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা একটা ক্লাসের ইউনিট টেস্টের পাশমার্কটার মতন টেনেটুনে নিয়ে পেরিয়ে যেতে পারে এমন সহজও হয় না।তুমি হয়তো বলবে যে এই ব্যবধান পেরিয়ে যাওয়াই প্রেমের সার্থকতা এনে দ্যায় ,তবে ভবিষ্যতের বৃক্ষ যে একরাশ অভিশাপ সনতাপে মিশিয়ে সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছাপা অক্ষরগুলিতে ঢালবে না এমনও তো কোনো শাস্ত্রে বর্ণিত হয়নি। সুতরাং এহেন ঋণাত্মক পরিণামে কি জীবন অতিবাহিত হয় না? এ পরিণামে কি জোনাকির পাখায় সেই চিকচিকে আগুন থাকে না ?এ বৈপরীত্য কি কখনোই প্রেমের মানে বোঝায় না?একটু বিপরীতে গিয়ে প্রাপ্তির চেয়ে প্রেমকেই বড় করে কয়েক সেকেন্ড দেখি না,হয়তো বা মহৎ হওয়ার হারিয়ে যাওয়া গিঁটটা দেখব সেথায় এহেন যন্তরমন্তরে কোনো একযুগ আগের তপস্বীর জটায় বাঁধা পড়ে আছে...
তুমিই তো বলেছ পরীক্ষায় নাকি পাশ ফেলটা বড় কথা নয়, শেখাটাই আসল!!-
মন্দ কপাল
একশালিকের আবির্ভাব।
রগড়ানো চোখে
ঝাপটা জলের
টুথপেস্টটা পেটেই যাক।
উড়ছে ধোঁয়া,
ঠোঁটে ছ্যাঁকা,
একশো স্পিডে চা পান
ভাতের হাঁড়ি
সাত্তাড়াতাড়ি
থলে হাতে দৌড়ঝাঁপ।
চোখ কাগজে,
ফোন মগজে,
বাদুড়ঝোলা বাসের দিন।
নেই আরব্য,
নেই রূপকথা,
নেই পক্ষীরাজের ডানায় জিন।
-
বৃষ্টি মুখর,
আবেগ- আখর,
লেখনীর ফলায় নিম্নচাপ।
আতুর অধরে
অবাধ্য কবিরে,
বাঁধে দামিনীর অভিশাপ।
-
১. “যত নষ্টের গোড়া”-র একটি উদাহরণ দাও:-
উ:- মোবাইল
.
কী যে বলেন মশাই, তাহলে ফেলে দিই?-
সুরে মিলে যায় এপার-ওপার, ঢেউ করে কোলাকুলি
শেষ পংক্তিতে রেশ রেখে যায় হারানো কথার ঝুলি ।-
একশো জোনাকি জ্বলতে জ্বলতে দপ্ করে নিভে যায়-
কংক্রিটে মোড়া প্রাসাদ হতে আজ ক্লোরোফিল গোনা দায়।
ফুসফুস আর আলো দ্যাখে না ,ঘুলঘুলিগুলো ঢাকা-
নিঃশ্বাসগুলো একযুগ ধরে শুধু বালির কবরে চাপা।-
সুয্যিমামা ডুবলে পাটে,
জ্বলবে আলো ,দেখবে তাতে-
হাজার বেলুন ঘিরবে আকাশ ,
হুল্লোড়ে আজ মাতবে বাতাস,
হাতে হাত দিয়ে সাত হতে সাতাশ,
রঙবেরঙ-র পথঘাটে-
ত্রিপল মাথায় রান্নাবাটি,কানের দুলের দর কষে।
মেলা, তোমার ছাদের তলায় শত শৈশব হাসে-
শত শত শৈশব দর হাঁকে।
শত শত শৈশব চৌকাঠে বসে ,
তারা গোনে আর চেয়ে থাকে,
কখন ডাকবে বাঁশীওয়ালা
আর খোকা যাবে ছুটে কোলে।
মেলা, তুমি পুতুল দিও খেলতে আমায়, ওড়াতে দাও খুশী-
আর দিও ওই ঘামে ভেজা ঠোঁটে দরদামে জেতা হাসি।
-