নিঃশব্দতা আসুক, আসুক
থেমে যাওয়া সময়
ডাক দিক ছেঁড়াখোড়া মন
ভালোবাসুক তোমায়।

-

আমি সবটুকু ছেড়ে দেবো;
আমার যেটুকু শুধুই আমার সেটুকুও,
সব ছেড়ে আমিত্বটুকু শেষ করে
বয়ে যাবো সময়ের স্রোতে।

-

মানুষ হাসতে হাসতেই কাঁদে;
চোখের কালোয় লুকিয়ে থাকে
হাজার গল্পের খাজানা
তবু বাস্তবে আটকে থাকে সে।
বাস্তবের জালে জড়িয়ে
পেঁচিয়ে দম বন্ধ হয়ে যায়
সাদা কালোয় বন্দী
জীবনে তাও সে হাসতে হাসতে
রয়ে যায় বোবা আজীবন।

-

একাকীত্ব আসতেই থাকে
জুড়ে বসে থাকে আজীবন
নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে থাকে
তলিয়ে যাওয়ার ডাক
আর শরীর জুড়ে জ্বরের তাপ;
মন বসে থাকে একা
তার সর্বত্র শ্মশানের নীরবতা।

-

আমার অন্ধকারই ভালো;
অন্ধকার আর একাকীত্ব
মিলে মিশে একাকার হয়।
বাঁশির সুর, বৃষ্টির আওয়াজ
মেঘলা আকাশ সবাই বলে
সব রঙ মুছে গেছে,
চাঁদও পালিয়েছে মন্ঞ্চ থেকে
মন ভার করে
মুখ লুকিয়েছে কোথাও
সেও একা, আমিও!

-

নিজস্ব কোনো ইচ্ছে থাকতে নেই
পুতুল হতে হয়, সুতো দিয়ে বাঁধা পুতুল
আবেগ, অনুভূতি সব কিছুকে খুন করে
লাশ থেকে নিতে হয় শুধুই নিরবতা।

-

আমিও অপেক্ষায় আছি
বাসরলতার; তার লাল রঙে
ভরিয়ে তুলবে আমার বারান্দা
ভেঙ্গেচুরে যাওয়া অলিগলিগুলো
সেরে উঠবে আবার;
চাতক চোখে তাকিয়ে থেকে
জলের ধারায় ভাসবো আমি
দূরত্ব কমবে কয়েক যোজন
আমার বাসরলতা জড়িয়ে
পেঁচিয়ে জাপটে ধরবে আমায়
আমার বাসরলতা
আমার রূপকথার আসর।

-

সবুজে ঢেকেছিলো অবোধ বায়নাগুলো।
বৃষ্টিবাসর জুড়ে আলাপী মন আমার
ফিরতি ডাকে বলেছিলো এ বাসর কাহার।

-

এ এক অন্য যুগ
পটভূমি পাল্টেছে, পাল্টেছে চরিত্ররাও
নাবিক এখন হাল ছেড়ে
এ ভরা গাঙে বৃষ্টিতে ভেজে
ঝোড়ো হাওয়ায় লেখা কবিতা
প্রেমিকের বাক্সবন্দী হয়না আর
মাধবীলতারা এখন আগাছার
মতো বেড়ে ওঠে, ওদের আদুরে
স্বভাব এখন অস্পৃশ্যতার সামিল
আগুন জ্বলে কিন্তু সে আগুনও
বড্ড চাপা, ধিকিধিকি জ্বলতে থাকে
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে শুধুই
বদল ঘটে চিত্রপটে
আর শূন্য মন জুড়ে
বাসা বাধে অপার বিষন্নতা।

-

এ শহর ভিজে যাক বৃষ্টিতে
চেনা পথ, অলিগলি খুঁজে ফিরুক আমায়
আমি নিরুদ্দিষ্ট অচেনা কোনো ঠিকানায়
এ মঞ্চ আমার নয়, আমি দর্শক
আমি খুঁজে ফিরি সাদা গোলাপ
পাই কাঁটা বেঁধা রক্তাক্ত হাত
আর বুকের ভেতর
জমতে থাকা আবেগের স্তুপ।

-