আমি আলের পথে আলেয়াকে ভালোবেসেছিলাম...

-

এই বায়বীয় অভিসারে সামিল হোক পৃথিবী। গাছেদের পাঠানো চিঠিতে আনুগত্য জাহিরের উন্মাদনা তো চিরকালীন । মধ্যবিত্ত মশারী ফেটে গেলে আকাশের মানসিকতায় কোনোদিন হয়ত রক সঙ্গীতের মতো ইরোটিক বিকেল হবে । একান্তে , সবকিছু মিউট করে ভাবছি , এক্সপ্রেশন জিনিসটা কি অদ্ভুত ! শব্দ কোনোদিন স্তব্ধ হয়ে গেলে হয়তো নির্বাক দুঃখ তার সাধনার ছটফটানি টের পেতো...

-

মন মানেই বৃষ্টি বিদায় ।
গড়িয়ে হারিয়ে যায় , ফিরে আসে তারপর ।

-

এখন বর্ষা ক্রমাগত কাছে সরে আসে ,
বর্ষণমুখর কোনো ভালোবাসা নয়...

-

নতুন বাড়ির জানলাটা দেখলাম ভীষণ সভ্য ,
পোশাক-আশাকের অন্ত নেই ।

অথচ জীবনের ভেতর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে পৃথিবীটা কেমন সবুজ থেকে লাল , তারপর সাদা হতে হতে একটা নতুন রঙে সাজতে থাকে...একা...

এই তো সকালবেলায় ঘটপূজোয় সন্তুষ্ট ক্লাবের দেবীও ক্লান্ত চোখে জানালা খুঁজতে খুঁজতে শেষে আমার জানালার কোণে এসেই বাসি হয়ে গেলো ।

পাশেই একজোড়া বস্তি , রাস্তার দুপাশে । দিনের শেষের বন্ধুরা গতদিনের ঝগড়া ভুলেটুলে বাসিপুজোয় হাত চালাতে থাকে ।

পরদিন অনেক আনন্দ হবে । ঢাক , ঢোল , অর্কেস্ট্রা নিয়ে আসা হবে ।

মা বসে থাকবে কাছে আর আমি মনের সুখে ঝোল ভাত খেতে খেতে কাঁটাটা ছুঁড়ে ফেলবো বস্তির মেটেঘরে। এভাবে জ্বালানি কাঠের প্রয়োজন মিটে গেলে সবাই বাসিপুজোয় ব্যস্ত হবে...

খিঁচুড়ি খেতে হয়তো হেলতে দুলতে আমিও যাবো...

জানালাটা বুকপকেটে নিয়ে একটার পর একটা সাদাভাত চারিদিকে জমিয়ে পাহাড় তৈরী করা কি মুখের কাজ ?

-

এমনই একটা থেমে যাওয়া জীবনের ঘরে বসন্ত নিয়ে ঢুকেছে পলাশ...

-

মন হারিয়ে বসবো আমি
ঘরের কোণে ,
ভানুমতির খেল দেখাবো
চোখের মননে ।

-

যেদিন থেকে তুমি নতুন গাছে বসন্ত দেখেছো ,
সেদিন থেকে আমি ফুল কুড়িয়ে গন্ধ খোঁজা বন্ধ করেছি...

-

বসন্ত এসে ডালের গোড়া কামড়ে বসে আছে ,
অথচ তুমি হুমড়ি খেয়ে কচিপাতা খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছো...

-

একটা স্বরচিত সান্ধ্য-আড্ডা হোক ।


একটা কফিমাগ , তার ভেতরকার কিছু বৃত্তাকার স্বপ্ন , কিছু পিছুটানহীনতার অভাব আর একটা নোনতা টিস্যুপেপারে ছোট্ট ছোট্ট করে লিখে রাখা বইদোকানে ধারের হিসেবগুলো জমায়েত হোক এই সভায় ।
কোনো মানুষ থাকবে না ,
থাকবে শুধু অনুরণন !


মানুষের পেছনে দৈনন্দিন হেরে যাওয়া কিছু বিশেষণের...

-