যা কিছু আলেয়া যা কিছু প্রেমে থাকে
সময়ে লুকোনো সে? পরম মেনেছ যাকে
দুঃখ থাকে যদি তবে তা থাক না
বুকের অরণ্য আবীর চোখেতে আর না
এই আলো ভাস্বর, তোমার চোখ কী
লুকিয়ে রাখে শোক? না পোহানো ঝক্কি
তবু তো কিছু না। চাঁদ আর কষ্টরা
প্রতিদিন ডুব দেয় মনে থাকা অপ্সরা
এ হেন কথা যত, মিথ্যে সত্তাকে
রেখেছ বিষ পুষে অনন্ত কবিতায়
আঘাতে মিশে আলো, ভালো ও খারাপে
দু বেলা রোদ চেখে ভুল সুখ হামেশাই
এড়ানো যায় না সব, জীবন ও মৃত্যুতে
এখনও পাপবোধ কিস্তি ও কিস্তিতে-
কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙ্গিবনা
নিশ্চু... read more
কানা গলি অন্ধ বড়, যায় না চেনা আলোর পথ...
ধুঁকছে মানুষ লাশের উপর, উত্তরণের নেই ফুরসৎ।-
যদি হঠাৎ কখনো দেখা হয়
ধরো,অনেক গুলি বছর কেটে গেছে
আগের মত আর দেখা হয়না তোমার আমার
কথা হয়না সেলফোনে,
হয়তো তুমি ও আর আগের মতো নেই
আগের মত আর বায়না ধরো না,
একটু কথা বলার ।
সংসার নিয়ে বড্ড ব্যাস্ত তুমি
কোনো নির্জন নদীর তীরে বসে
কারো কথা আর ভাবা হয় না।
কখনো অফিসে কাজের চাপে,
আবারও কখনো সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে
অতীত কে ভাবার আর সময় ই পাওনা!
যদি বা কোনোদিন কোনো সন্ধ্যায় আনমনে বসে
ভাবতে গিয়ে মনে পড়ে যায় সেই অতীত!
কোনো হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষটিকে।
যে কিনা একান্ত তোমার ছিল,
ভাবতে গিয়ে হয়ত ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস পরে!
তারপর আবার হারিয়ে যাও বর্তমানে॥
ধরো, এমন কোনো এক দিনে,
যদি হঠাৎ ই দেখা হয় তোমার আমার।
যদি মনে পরে যায়,পুরনো কে আবার!
কি করবে তুমি তখন?
চিনতে পারবে আমায়?
নাকি হবে মনে দ্বিধা,মুখের আদলে!
বারেক তাকাবে হয়তো,চেনা মনে হলে!
শ্লথ পায়ে ধীরে ধীরে সরে যাবে তুমি দূরে
আবার হারাবো তোমায়,সকলের ভিড়ে।
তখনই হয়তো তোমার মনের পর্দায়
ভাসবে পুরনো মুখ,কোনো অছিলায়
মুছে যাবে সংশয় স্মৃতির আড়ালে
অচেনা মুখ খানি আবার হারালে!
-
সংজ্ঞাহীন যন্ত্রণা এক, লুকিয়ে থাকে পাপ
নাম...!
কেবলই যন্ত্র নয়
জীবনও নয় শাপ!-
পনেরোই আগস্ট আসলেই আমাদের বুকে উৎসব জেগে ওঠে
পতাকা কেনা থেকে স্কুলের চকোলেট- বিস্কুট
বাবা দাদুর কব্জি ডুবিয়ে মাংস ভাত
আর তারও পরে লুকিয়ে থাকে রান্নাঘরের কালো ধোয়ায়
মায়ের চোখের জল!
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা চায়ের দোকানে
নিত্যদিনের কাজ করে যাওয়া
ছ বছরের চিকু গ্লাস ধুতে ধুতে হাতের লাল দাগটা
ফু দেয়
আরও অন্ধকারে, আরও গভীরে লুকিয়ে নিয়ে!
জন্ম নেওয়ার পর পঁচিশ গড়িয়ে গেলেও
যে মেয়েটা বুকের মধ্যে স্বাধীনতা খোঁজে
তার চোখে শব্দ ওড়ে আগস্ট মাসের
স্বামীর প্রেমে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া আবেগী পত্নী
একা থাকতে গেলে
চার দেওয়াল হা করে গিলতে আসে দিন-রাত।
তবু স্বাধীনতা আসে
দু বাহুতে 1947 কে আঁকড়ে নিয়ে আমিও টিয়াপাখি হই
একটার পর একটা শেকল গুঁড়ো করতে করতে
চিৎকার করে আমার অন্তরাত্মা
বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম!
সুজলাং সুফলাং.....
বসন্তের মতো একটার পর একটা স্বাধীনতা পেরিয়ে গেলে
অভিজ্ঞতার সংখ্যাও বাড়তে থাকে
এক..দুই..তিন..চার..
তারপর....তারপর
হাতের রুলি, পায়ের মল
ইট ভাঙা ঘর, বুকের দেওয়াল
চায়ের কাপে অদম্য তাপ
স্বাধীনতা কেবল শব্দই,
পরাধীনতার আজন্ম শাপ!
পরাধীনতার আজন্ম শাপ!-
যে স্মৃতির জন্ম কেবল রোদ পোহানো
যুগ পেরোলে সেসবে মরচে পড়ে নিষ্ঠুরভাবে।
তবু অপেক্ষার মাস্তুলে পাল তুলতে গিয়ে
ধুঁকতে থাকে আজকের বিস্মিত সময়!
-
যুগ বদলানোর পরেও যে স্মৃতি লুকিয়ে রাখি
তা অপেক্ষা নামক আস্তরণে নিবিড় হয়।
তবু সময় আসে, যায়---
ভেঙে পড়া জীবন তখন লিপস্টিকের আগুনে আদর পোহায়!-
সময়ের চাকচিক্যে ভেসে যায়
টুকরো হওয়া স্মৃতি....
গোধূলির আমন্ত্রণে ছিন্ন হতে গিয়ে
জড়িয়ে পড়ে অপবিত্র শিশু।
যেটুকু ভালোবাসা দিলে মানুষ পাখি হয়
জীবন সেখানে অন্যায়ের চিরকুট।
অতঃপর...
বদলে যাওয়া রক্তে লেগে থাকে হাইড্রোজেন নামক গন্ধ!-
এখানে ধূসর আকাশে মিশে গেছে যাবতীয় শোক
যাবতীয় সুখ গেঁথে আছে নরম পাতায়
তোমার নরম চিবুক থেকে মুক্তি পাওয়া আহ্লাদ
পথের বাঁকে গল্প শোনায় অনাহারে।
তাই আগলে রাখা লাল গোলাপের বুকে
রক্তের সিঁদুর খেলার আপসোস মিশে আছে,
আর আছে সেই সৃষ্টিলগ্নের পেটের দাগ।
কালশিটে স্বপ্নের ভিড়ে একলা থাকার মানচিত্র
এখনও খুঁজে চলে নিঃশেষিত চায়ের কাপে
শত বছরের পুরনো শুভেচ্ছার থলি।
তবু শুকনো পাতার শিরায় শিরায়
ভয়ার্ত কুয়াশার চাদর হাতছানি দিয়ে ডাকে
কোথায় অবলা হৃদয়, আয় আঁধারের মাঝে।
মৃত গাছের শবদেহ নিয়ে রাত্রের বদনাম
আর মোলায়েম পাপড়ির স্তনে কালো আলতার প্রেমে
মশকরা করে পথের ধূলিকণা
তাই কষ্টের কোনো ডাকনাম নেই
নেই কোনো একরোখা আজন্ম গোলাম।
-