সহজ সরল মানুষ যারা
ঠকবেন চিরকাল,
তাদের অবদান হবে না প্রকাশ
রবে অন্তরাল!
যা করেন তারা দায়িত্বসহ
ব্যবহারও অতি মিঠে,
তাদের কাজের সুযোগ চপলরা নিয়ে
উঠে পড়ে তাদের পিঠে!
সরল মানুষ বোকা নয় প্রিয়
অতি চরিত্রবান,
সরলতা তাদের দুর্বলতা
তাই,প্রতি পদে ঠকে যান!-
শ্রদ্ধা কেনা যায় না বাজারে
শ্রদ্ধা অর্পিত হয়,
সকলে পারে না শ্রদ্ধা জানাতে
লাগে রুচির পরিচয়!
সকলের থেকে শ্রদ্ধা পাব
ভাবা উচিত নয়,
শ্রদ্ধাবানেরা শ্রদ্ধা করে
যা,শিক্ষার পরিচয়!
জ্ঞানে ও গুণে যদি হ'তে পার
সকলের প্রিয়জন,
কর্মফলেই উপহার পাবে
শ্রদ্ধার নিদর্শন!
দুঃখ করো না যারা তোমায়...
অপমান করে যায়,
ওরা অমানুষ হওয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে
অতিশয় নিরুপায়!
-
কেন মাঝি সারাদিন ধরে
যাত্রী কর পার?
তোমারও তো ছোট ঘর আছে
সাথে পরিবার!
নদী ও নৌকা তোমার কাছে
বড়ই আপনজন,
পরিবারকে একেলা রাখার
বলো কি কারণ?
যাত্রী যেমন তোমায় ধরে
পরপারে যেতে চায়,
পরিবারের সুখ তোমার কাঁধে
পুরোপুরি বর্তায়!
পরিবার থাকলে খুশী
তুমিও থাকবে সুখে,
কঠোর শ্রমে ক্লান্ত না হয়ে
রবে শুধু হাসিমুখে!-
রাজমুকুটের স্বপ্ন দেখি না
বড় যন্ত্রণা তাতে,
জীবনের সুখ কেড়ে নেবে দুখ
সমালোচনার সাথে!
দশের স্বার্থ রক্ষা করা
সহজ কথা নয়,
নানানভাবে চিন্তা করে
কাজ করতে হয়!
ভালো কাজের সুফল মানুষ
আনন্দে ভোগ করে,
প্রথম প্রথম নাম নিলেও
ভোলে দুদিন পরে!
নিজ সংসারে প্রচুর জ্বালা
অহরহ লেগে রয়,
তাই, বামন হয়ে চাঁদে হাত দেওয়া
শোভনীয় মোটে নয়!
-
মান করো না ও সুন্দরী
একটু বসো কাছে,
শুনব তোমার হৃদয় মাঝে
কি যন্ত্রণা জমে আছে?
সাধ্যমতো করব যতন
থাকব সদা পাশে,
সব অভিমান হবে অবসান
মিলনের প্রত্যাশে!
ক্ষণিকের ভুলে পর ভাবলে
চলে যাব বহু দূরে,
শুধু একরাশ ব্যথা তোমার হৃদয়ে
বাজবে করুণ সুরে!
বড় আশা করে তোমার পানে
বাড়িয়ে ছিলেম হাত,
না বুঝে শুধুই মান করাতে
মিলন দিল না সাথ!
-
উজ্জ্বলতায় ভরুক ভুবন
দেখি মা তোমায় দুচোখ ভরে,
কষ্ট দেওয়ার যা দিয়েছ
আর দিও না নতুন করে!
মনে আশা অনেক দিনের
করব মজা তোমায় নিয়ে,
সেই আশা মা করলে পূরণ
তোমার মন ভরাব হৃদয় দিয়ে!
যে মা মোদের জীবনদাত্রী
ছায়ার মতো আগলে রাখে,
সে আসছে আজ বছর পরে
শ্বশুর বাড়ির কাজের ফাঁকে!
অভিমান আর করব না মা
যা হওয়ার তা হয়ে গেছে,
তোমার সাথেই হাসব খেলব
যে দুটো দিন থাকবে কাছে।-
আগমনী সুর চারিদিকে বাজে
খুশীতে ভরছে মন,
ঊমা আসছে বাপের বাড়ি
শুরু হোক শুভক্ষণ।
সকলের মনে শান্তি এসে
অশ্রু মুছিয়ে দিয়ে,
নতুন করে আনন্দ দিক
দুঃখ কেড়ে নিয়ে।
মাতৃপক্ষ হয়েছে শুরু
চারিদিকে বাজে ঢাক,
ছেলেমেয়ে নিয়ে আসছে ঊমা
আনন্দে দিচ্ছে ডাক।
চন্ডীপাঠের উচ্চারণে
শঙ্খ,ঘন্টা বেজে
রচিত হয়েছে পূজার আবহ
রঙিন আলোতে সেজে!
-
শরতকে মা সঙ্গে নিয়ে
নেচে নেচে আয়,
সকল দুখের বিনাশ ঘটা
নিজের মহিমায়।
শিউলি ফুটে গন্ধ ছড়াক
সকল হৃদয় মাঝে,
দুখের পর্দা সরিয়ে দিয়ে
সাজাক নতুন সাজে!
তোর আশাতে বসে বসে
দিন যে কেটে যায়,
ভাবিস না তুই মোদের কথা
রাখিস অপেক্ষায়!
এবারে মা ভেবেছিলাম
জলেই মোরা হারিয়ে যাব,
ভাবিনি তুই দিবি সুযোগ
তোকে আবার দেখতে পাব!
ি-
বাঁচব কেমন করে?
প্রশ্ন জাগে মনে।
এত সমস্যা চারিদিকে
শয়নে ও জাগরণে!
প্রকৃতি মারছে বৃষ্টি দিয়ে
ভাইরাস মারছে রোগে,
দ্রব্যমূল্য সজোরে মারায়
পড়েছি দুর্ভোগে!
সূর্য দেয় না সোনালী আলো
কালো মেঘ করে রাজ,
কাশ ফুল বা শিউলি ফুলের
হারিয়ে গিয়েছে সাজ!
আমি কাতর স্বরে মাকে ডাকি
বিপদে থাকতে পাশে,
সব দুর্ভোগ দূর করো মা
শান্তি পাওয়ার আশে!-
বুঝি না মা তোমার লীলা
মনে তোমার কী ভাব আছে,
যতই তোমায় আপন ভাবি
দাও না ধরা মনের কাছে।
তোমার কোলে মাথা রেখে
থাকব একটু শান্ত মনে,
এই ভরসায় অন্তর থেকে
ডাকি তোমায় প্রতিক্ষণে!
আমরা স্বপ্ন দেখি তোমায় ঘিরে
অভয় দিচ্ছ হাসিমুখে,
এই আশাতে ভরসা রাখি
তোমার কৃপায় থাকব সুখে।
সদয় হয়ে মাগো মোদের
রক্ষা করো বিপদ থেকে,
অতলে মা তলিয়ে গেলে
কী হবে মা তোমায় ডেকে?
-