অভিমানের বাষ্প চিনে আঁকড়ে ধরে যে,
তার বুকের ওমই আসলে বসন্ত।
নয়তো এমন বিচ্ছিরি শুষ্ক শীতে,
উষ্ণতার দুর্ভিক্ষে,
কেউ কারোর খোঁজ রাখবে কেন?
-
আমায় যদি রেখে দাও–
হয়তো দিনের শেষে ঠকেই যাবে তুমি।
এই যে আমার
এতো অপারগতা,
এতো বায়নাবিলাশ,
এতো খামখেয়ালীপনা...!
এসব হজ্জুতি পোহাতে পোহাতে
একদিন যে ক্লান্ত লাগবে না তোমার...
এ আমি মানি না। মানিনি।
কোনোদিন...
তবু কেনো জানি–
তুমি আমায় দেখে বলে উঠলে,
"ভোর"!
যে কিনা রোজকার,
রোজনামচায়
রোজ নতুন...!
-
আমার আছে বাঁধিয়ে রাখা মন কেমনের রোগ,
এলোমেলো বৃষ্টি বোঝায়, বে-মরশুমী শোক।
সব অযথা জমানো কথা পুষছি পাঁজর ঘেঁষে,
তুই না আসলে, ভালো না বাসলে ঝড় মিটবে শেষে?
তোর জন্যই এত অপেক্ষা, আমার অবুঝ সাজ।
তোর জন্যই মানতে রাজি মনের লুটতরাজ।
শূন্য করিস, নিঃস্বতা দিস কিমবা আঁকিস ভোর...
তোরই জন্য অভিমান বুনি, তুইই সব উত্তর।।
-
ঐ চোখের পাড়েই আকাশ আমার,
বুকের মাঝে ঘর,
আঙুলে আঙুল বাঁধবো বলেই
এই আলোর সফর।
তোর কাছে সব বায়না-বাহার
রাখি অবুঝ কিছু রাগ,
যেন জড়িয়ে নেওয়ার ফন্দি ওসব,
সাজানোর অজুহাত।
তোর পাঁজর ঘেঁষেই স্বপ্ন বাড়ি–
শান্ত কোলে ঘুম,
তোর শ্রান্ত কপাল চিনুক শুধুই
বাসন্তী মরশুম...-
উপহারে শুধু চেয়েছি "সময়",
বিষয়বোধে খামতি আমার বরাবরই।
"মুহূর্ত" যেন উঠোন জুরানো ভোরের শিউলি ফুল–
তাদের আদর করে কুড়াই, জমাই, সাজাই।
আমার এই ছন্নছাড়ার জীবন যাপন
বাঁধন বলতে মানলো শুধু ঘড়ির গতিই।
শব্দ ওঠে, শব্দ বাড়ে, শব্দ চলে নিরন্তর...
রাত্রের নিস্তব্ধতায় কাঁটার দৌড় স্পষ্টতর হয়,
তখন আমি সময়কে আর মাপি না,
সময় আমায় মাপে...
কালের দৌড়ে বারবার হেরে যাই,
তবু ক্লান্ত হই না...
জীবনের কাছে সময়ের ঋণ
আমি "উপহার" হিসেবে রাখি।
-
কেমন করে বলবো তোমায় বলো?
আমার যে খুব হারিয়ে যেতে ভয়,
আমার যে খুব দ্বন্দ্ব বাঁধে বুকে,
আমার যে খুব আত্ম–সংশয়...
ঐ দুচোখে জড়িয়ে নিলে তুমি–
আমার ভীষণ পারিপাট্য জাগে।
রাতের পাঁজরে ভোরের আভাস যেন,
তোমায় আমার ভীষণ চেনা লাগে।
কেমন করে বলবো তোমায় বলো!
তোমার চোখের সর্বনাশে,
আমার মনের দ্বন্দ্বযুদ্ধে,
তোমায় আমার ভীষণ, ভীষণ চেনা লাগে...
-
সেই যে,
তোমার কাছে জমিয়ে রাখা
আমার যে'কটা অ-সুখ আছে,
ভুলছি-ভাসছি-ভাঙছি দেখো ঠিক ততবার!
আচ্ছা!
বুকপকেটে ফুল রাখো না তুমি?
তোমার মনখারাপী চিঠির সাথে সেটাই দিও।
বুনছি-বাঁধছি-বাইতে চাইছি, আলোর অহংকার...!
তাই—
ছন্নছাড়াই শব্দ বসাই নিয়ম ঝেড়ে,
তোমার-আমার টানাপোড়েনই নিজস্বতা!
আর ভাঙনে-বুননে সাক্ষ্য থাকুক মাসকাবারির খাতা।।-
–তোমায় মায়ায় টানি যদি?
–আলোকধাঁধায় থৈ হারাবো, গুলিয়ে যাবে সবই।
–শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে ছুঁলে?
–থমকে যাবে আমার শহর, অপেশাদার কৌতূহলে।
–বুনোফুল যদি হাতের ভাঁজে রাখি?
–আরও একটু বিবশ হবো, এ যে সর্বনাশের চাবি!
–অসময়ী মনকেমনে হঠাৎ দিলে ডাক?
–আলোর চেয়েও ছুটতে চাইবো জোর, ধরতে তোমার হাত।
–যদি দৃষ্টিডোরে বাঁধি?
–আমার পুঞ্জিভূত বিষাদ যত, চোখ'পারে বাইতে যাবে নদী।
–তোমায় রেখেই দিলাম তবে?
–রাতজাগা ঐ তারার মতো করে... আমার আপন হবে?
-
তোমার সাথে আলাপ আমার হবেই হবে,
আমার জমিয়ে রাখা স্বেচ্ছা-দেওয়াল ভাঙবে তুমিই।
যত্রতত্র ছিটিয়ে পড়া টুকরো জেদে
ডুবলে আমি, ভাসিয়ে নিও এক টানেতে...
আমায় ছুঁয়ে গল্প বলো রূপকথাদের, স্বপ্ন এঁকো,
ঐ দুচোখে তাকিয়ে নাহয় আরও একটু অবাক হই!
অবিশ্বাসীর মতো খানিক সসংকোচে চূর্ণ হই!
তবুও তুমি ছাড়বে না হাত, সরাবে না চোখ...
আমি শান্ত হতে বাধ্য হবো; বলবো,
"এতো দেরি করলে কেনো?"
তুমি বুকে আঁকড়ে নিয়ে বলবে,
"ঠিকানা খোঁজা সহজ রাখোনি, তাই..."-
There was a time when I believed in fairies. They were my friends. Back then I could do magic too. I also had wings (made up of maa's dupatta). I could have real conversations anytime with my imaginary friends. I must say, those imaginary bondings were much stronger than today's real ones. But I somehow lost that part of me. It's strange that I couldn't even remember exactly when I abandoned them! How could someone abandon their own parts without realising it! Is it that easy!!!
I guess so.
-