মেঘলা মন সারাক্ষণ কষ্ট পায়,
অচেনা এক অভিমান চোখ ভিজায়...
কোথায় তুই একলা রই বল কোথায় ?
তুই বিহনে ব্যথার ঢেউ হৃদয় ছায়...
মেঘলা মন খুব গহন দুঃখ সয়,
হৃদয়জুড়ে হয় দহন সুখ কোথায় ?
তোকে ছুঁলেই বুকে সুখের বৃষ্টি হয়,
কোথায় তুই একলা রই বল কোথায়...
- অজয় বসু।
-
জল রঙা জীবনে তুমি নেই কোথাও
দুচোখে স্বপ্ন উধাও...
ঘোলা জলে ঘূর্ণি ওঠে স্মৃতি
হয় না সে সব বিস্মৃতি,
শিরা ধমনীতে বোবা জলোচ্ছ্বাস
বাতাসে ছুঁয়ে থাকে দীর্ঘশ্বাস...
জল রঙা জীবন বয়ে যায়,
অস্ফুট মৃত্যুর নিবিড় আঙিনায়...
যাপনের মুগ্ধ যত স্মৃতি
বুকে নিয়ে নিঃসীম আকুতি...
- অজয় বসু।
-
দিয়ে জান প্রাণ, ছোটাই এই দ্বিচক্রজান, থেমে যাওয়া আছে মানা,
পাশে নদীটি অনুপ্রেরণা... গন্তব্য অজানা, জানি না সঠিক ঠিকানা,
যারা প্রিয়জন, ভাবে অনুক্ষণ, আছে সামনে কি বিপদ অচেনা...
- অজয় বসু।-
অভিমান মুছে যাক, নাও এই রক্ত গোলাপ, প্রেমের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি,
তোমাতেই প্রাণমন, করেছি সমর্পণ, এ জীবনে হবেনা বিস্মৃতি...
- অজয় বসু।-
যে সব শহর একলা বাঁচে, আমার শহর সঙ্গ দিক,
একলা থাকা দুর্বিষহ, সেই মর্মব্যথার স্পর্শ নিক।
আমার শহর মিশুক ভারী রামধনু রঙ সমুজ্জ্বল,
মেতে নিত্য নতুন উৎসবেতে দিবা রাত্র প্রাণোচ্ছল।
যে সব শহর দুঃখ জমায় বুকের ভিতর অহর্নিশ,
আমরা শহর বোঝাক তফাত, দুঃখ সুখে ঊনিশবিশ।
আমার শহর উদার প্রেমিক সঙ্গী প্রিয় সর্বাধিক,
যে সব শহর একলা বাঁচে আমার শহর সঙ্গ দিক।
- অজয় বসু।
-
পড়শি...
আমর ঘরের কাছে সে এক সুজন পড়শি বসত করে,
তাকে দেখতে নারি, বুঝতে পারি, বিনাস্পর্শে ঠারেঠোরে..
তার হাতেতেই বাঁচন মরন, তিনিই আসল বিপদ তারন,
সেই পড়শি কখন অলক্ষ্যেতে বাস করে অন্তরে...
- অজয় বসু।-
যত কাছে যাই, দূরে সরে যাই,
যত দূরে থাকি, কাছে যেন পাই...
যত হাত বাড়াই, স্পর্শ নাহি পাই,
হৃদি মাঝে শুধু, শূন্যতার ঠাঁই...
দূরে দূরে থাকি, কাছে কাছে রাখি,
নিরন্তর প্রেমে, সদা স্পর্শ মাখি...
দূরে সরে যাই, অঙ্গে অঙ্গে পাই,
বিভোর আনন্দে, হৃদয় জুড়াই...
- অজয় বসু।
-
ঠিকানা দিও, কোথায় খুঁজবো যত্রতত্র,
হারিয়ে ফেলেছি চিরকুটে লেখা পত্র...
ঠিকানা দিও, প্রশ্ন যে মনে অসংখ্য,
কোথা খুঁজে মরি হারানো নাভিশঙ্খ...
ঠিকানা দিও,যেথা লুকানো আর সম্পদ,
হাতড়ে মরি আছে যত চোরাগলি পথ...
ঠিকানা মাত্র এখন একটি স্মৃতি চুম্বন,
এ নিয়েই খোঁজা আছে যত গুপ্তধন...
- অজয় বসু।-
তুমি নেই বলে পৃথিবীটা লাগে বর্ণহীন,
স্মৃতি ছুঁয়ে ছুঁয়ে বিষন্নতায় কাটছে দিন,
তোমার কাছে থেকে গেল কত স্বপ্নঋণ...
- অজয় বসু ।
-
দেবতা হলে জীবন দুর্বিসহ হ'ত, বছরের পর বছর বেঁচে থেকে
ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করা, খুবই কঠিন ব্যাপার, আশা করি এটা সর্বসম্মত...
কেননা - '...শরীরাণি বিহায় জীর্ণা-/ ন্যন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।।'- এটা মানুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দেবতাদের ক্ষেত্রে নয়...
তেত্রিশ কোটির পর আর একজন দেবতা হলে আমি তাদের ডিঙিয়ে কি বা মানুষের জন্য করতে পারি, কি বা করতাম হায়!
ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর ছাড়াও অন্যান্য দেব দেবীরা তাদের দপ্তর
যেভাবে সামলাচ্ছেন, সেখানে নাক গলানো দায়...
তাই দেবতা হয়ে আমি কারো
চোখের জল মোছাতেও পারবো না নিশ্চিত...
তবে অপরের হিতাহিতে না থাকলেও দেবতা হলে
নিজের সুবিধা সুনিশ্চিত...
এই দশটা পাঁচটার জীবন ঘুচে গিয়ে
একটা আলোকিত জীবন পাওয়া যাবে বেশ,
ভক্তদের পূজাউপচারে আসবে নিরুদ্বিগ্ন সুখের আবেশ...
- অজয় বসু।
-