ক্ষয় নাই, ক্ষয় নাই; জানি, এ কেবলই নিছক ভয়
তুমি ছিলে,তুমি আছো,তুমি রবে; হে মৃত্যুঞ্জয়!-
"বসন্তবিলাপ"
এই যাহ..টিউশনে ইতিহাস নোট খাতাটা ফেলে এসেছি!তোরা একটু দাঁড়া এখানে,আমি নিয়ে আসি।এই বলে হিমাদ্রি সাইকেল চালিয়ে ফিরে গেল টিউশনে..
আরতি,সুমিত্রা,ভাস্কর আর রূপা পুকুর ধারের রাস্তার একপাশে দাঁড়াল।
রূপাকে অন্যমনস্ক দেখে ভাস্কর বললো-তুই কি বলতো রূপা! হিমাদ্রিকে বলছিস না কেন? এরপর না বললে কিন্তু গাড়ির সিট বুক হয়ে যাবে,মানে কণিকা দখল করে নেবে।তখন তুই শরৎচন্দ্রের নায়িকার মতো অশ্রু বিসর্জন করবি করতে থাকবি।
মুখ তুলে তাকালো রূপা,বললো.. কিন্তু ও তো পছন্দ করে না আমাকে। কি করি বলতো?
বলে ফেল, আর আজই।হয় এসপার নয় উসপার।ভাস্করের কথায় অন্যরাও সমর্থন জানাল।
না রে আজ বলতে পারবো না রে,আজ নার্ভাস লাগছে খুব..
আরে ছাড়তো,তুই শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিস, কিছু হবে না। আজই বলে দে..তারপর কি হয় হবে...বললো সুমিত্রা।
আচ্ছা ঠিক আছে, বললো রূপা।ভয় লাগছে,কিন্তু তবুও কি যেন একটা অচেনা-অজানা ভালো লাগায় মনটা ভরে উঠছে।ও তো ভালো মেয়ে,বাকিরা সুন্দরীই বলে ওকে তাহলে কেন পছন্দ হবে ওকে নীলাদ্রির,হবে নিশ্চয়ই হবে, ভাবতে থাকে রূপা।
ঠিক এইসময় দূরে হিমাদ্রির সাইকেল দেখা গেল..পেছনে কে যেন বসে....
আরও একটু কাছে আসতেই ব্যাপারটা বোঝা গেল..পেছনে বসে কণিকা...!!!
-
সব শালা এক!
যা-কিছু পবিত্র
যা-কিছু গ্রহনীয়
সব ওই ধর্মের ধ্বজায়!
তবে আর বেঁচে থাকা কেন?!
-
শুধু সময়ের স্রোতে
যুগপৎ ভালোবাসা-ঘৃণা
নীরব আশা ঈগলের চোখে
আর শুধু
ভেসে ভেসে ভেসে যাওয়া!-
নদীর মতো বান্ধবী হই যদি,
তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরবে বুকের 'পরে?
আমার অসীম পথে আকাশ হয়ে
খেয়াল রবে এই নদীটির তরে?
যদি খরস্রোতা হই কখনো,সব ভাসিয়ে দিয়ে যাই
অসীম সাগর হইও তুমি,দিও বুকে ঠাঁই।-
কত স্বপ্ন, কত প্রাণ, কত ভোর,কত যুগ নীরব হল বিষে!
এত দুঃখ, এত ব্যথা, এত ক্ষুধা তার উপশম হবে কিসে?
তবু আসে নতুন সময়,আসে নতুন প্রাণ;
স্বপ্ন গেলে স্বপ্ন আসে, জাগে বাঁচার অভিমান।
-
ইতিহাস খুঁড়লে যেথা আজ চোখে পড়ে
সভ্যতার ধ্বংসের স্তুপ।
অনেক বিদর্ভ নগরে ঘুরেছি আমি
সেথায় শান্তি ছিল কি খুব!-
সব দিন-রাত্রির মতন আজ পূর্ণিমা নয়
বিন্দু বিন্দু অভিমান সব জমেছে আজ পাহাড় সম
প্রেমের প্রকাশ আজ মুলতুবি থাক
সব দিন-রাত্রি এক নয়!
-