যে রাঁধে, সে ভাতও বাড়ে, বোঝাও চাপায় ঘাড়ে,
জীবনযুদ্ধে জিতছে রোজ, অদম্য জেদ তার হাড়ে।
শব্দের শেকলে বাঁধা কঠিন যাকে,
সৃজন করে যন্ত্রণা সয়ে,
এক জীবনেই অনেকগুলো জীবন বাঁচে হন্যে হয়ে,
হয়তো সে মা, প্রেমিকা, পাশের বাড়ির মেয়ে।।-
লিখে অবসর কাটাই...❤️
ছেলে-মেয়ে সবাইকেই সমান পরিশ্রম দিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।
আর যখনি আমরা দাড়িপাল্লা দিয়ে মাপতে যাই-
কার পাল্লা ভারী,ছেলে না মেয়ে কার বেশি কষ্ট,কে বেশি sacrifice করে,
কারা বেশি মানিয়ে নেয়,
ঠিক তখনই আমাদের ওই দাড়িপাল্লার ভার অনেক বেড়ে যায়,
নীচে নামালে তাতে দুঃখ ছাড়া আর কিছুই বাঁচেনা!
ঠিক যেমনটা মানুষ চলে গেলে ছাই ছাড়া কিছু নিঃশেষ থাকেনা।।-
বয়স বাড়ার সাথে ধূসর হয় প্রতিকৃতি,
চৌরাস্তার মোড়ে বাজে হারানো গীতি,
মানুষগুলো হারিয়ে যায়,অক্ষুণ্ণ থাকে ছবি।।
-
তারপর একদিন স্মৃতিদের বয়স বাড়ল,
অভিজ্ঞতা হলো পাহাড়সম,
স্মৃতি-রোমন্থনে ফিরল কলেজ ক্যাম্পাস,
যেখানে ছিল অজস্র হার না মানা হাসিদের বাস!-
শহুরে খাঁজকাটা দুঃখ আর কংক্রিটে জমা বাড়ি,
দু-চারটে নড়বড়ে কঙ্কাল, শুধু 'আমি-আমি' কাড়াকাড়ি!-
যদি কখনো হারিয়ে যাই উর্ধ্বশ্বাসে,
মনে রেখো আমি আছি তোমার প্রতি নিঃশ্বাসে।
যদি আবার জন্ম নেই,
ঝরব তোমারই বুকে বৃষ্টি সেজে;
ভালোবাসা রেখো বিশ্বাসে।-
তোমার আগমনে বাজুক শঙ্খধ্বনী,
মহিষাসুর বধ করে তুমি করেছ জগৎ-কে ঋণী,
সমাজের অসুরদমনে প্রতি নারী-তে দুর্গা জাগুক,
এই আমার আহ্বানবাণী।।-
কাশের গন্ধে মেদুর আকাশ বাতাস,
শিউলিরা প্রস্ফুটিত ওরাও পেয়েছে আগমনীর আভাস,
কুমোরপাড়ায় বাকি রয়েছে শেষ তুলির টান,
মহালয়া ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গান,
অশুভ যা কিছু আছে অপগত হোক,
পিতৃপক্ষের অবসান দেবীপক্ষের সূচনা আজ,
দেবীর আরাধনায় হৃদয় থেকে হৃদয়,এটা বাঙালি রেওয়াজ।।-