যদি হতো শারীরিক দূরত্ব, হয়তো সে ফিরেও যেত ঠিক!
দূরত্বটা মানসিক বলেই বদলেছে সব ভাবাবেগ, বন্ধুত্ব, প্রণয়ের দিক।
পাতা জুড়ে একাকীত্বের ভিড়, পড়ে আছে তার গুটিকয়েক স্মৃতি-
'বদল' কী সবক্ষেত্রেই হয়, আবেগ, খুনসুটি অথবা তার প্রতি সকল অনুভূতি!

...অদ্বিতীয়া

-

সব রং হারিয়ে শুধু সাদা পড়ে আছে প‍্যালেটে-
রোজ দেখা হয় তবু কথা হয়না অথচ সে স্থান পায় আমার লেখা সনেটে!

-

ফোটা ফোটা বৃষ্টি এসে যখন বিন্দু বিন্দু জমা হয় ঘাসের ডগায়,
'তুমি' অভাবে আমি তখন ছন্দ জুড়ে কাব্য বুনি ডায়েরির পাতায়।

-

ছন্দের জীবনে চলতে গিয়ে যতটা এগিয়ে যায় সাফল্যের অন্তে
হিসেব করে দেখো জয় নয় সেটা, পরিনতে অকাল ডেকেছে, সূর্য ডুবেছে দিনান্তে।

-

অনেক দিন হল , তুমি আমাকে নিয়ে কিছু লেখোনা...

-

... তারপর একদিন আমরাও বড়ো হয়ে যাবো।
পড়ে রবে না বলা কিছু কথা , অতীতের না পাওয়া কিছু স্মৃতি !

-

সুখ মানে যে অস্তিত্ব বোঝায়,
তার সব‌ই আছে জীবনে।
তবুও যেন 'কিছু নেই',
সুপ্ত সংকেত পাঠায় হৃদয় অনুরণনে!

-

একলা ঘর, একলা শরীর, একাকীত্বের যন্ত্রণা বড়ো পীড়াদায়ক
শরীরের দানবিক আকৃতির ক্ষত অপেক্ষা তা কোনো অংশে কম নয়।
সাঁঝবাতির আলো-আঁধারের জোনাকিরা কখনো একলা ঘরের সঙ্গী হয়ে ওঠে
রাত্রি নিবিড় হয়, পুনরায় তারা স্বস্থানে ফিরে যায়, বদ্ধ ঘরে আবার একাকীত্বতা গ্রাস করে।
দুঃখ হলে নিজেই নিজের অশ্রু মুছি, আনন্দে আপন মনেই হাসি...
সেই একলা ঘরে বেশ ছিলাম, জনহীন; চরম নিস্তব্ধতা সেথায় ছিল বিরাজমান।

দুদিনের অতিথি হয়ে একটি শরীরের আবির্ভাব হল, কখনো সে মিটিমিটি চায়
দুহাত বাড়ালেই স্বেচ্ছায় নিজের হাতটা বাড়িয়ে দেয়, বেশ ভালোই ছিলাম একসাথে।
মনে হল শেষমেশ একাকীত্বের অবসান ঘটল, বিশেষত আমার একলা ঘরে...
মায়া ভীষণ নিকৃষ্ট গুণ, চরিত্র থেকে অত সহজে বিলুপ্ত হয়না।
আমার একলা ঘরের সঙ্গীটি আবার স্বস্থানে ফিরে গেছে,
শুধু পড়ে আছে তার সেই ফেলে যাওয়া ক্ষণিকের স্মৃতিটুকু,
দুহাতে লেগে থাকা তার দেহের গন্ধ এখনও আমার হাত থেকে যায়নি।
আবার সেই একলা ঘর, একলা শরীর আর তমসার গাঢ় একাকীত্বতা!
আমার একলা ঘরে আর কেউ র‌ইল না, নামমাত্র শরীরটি শুধু প্রতিদিন রাত্রি যাপন করে...
...অদ্বিতীয়া...

-

আমার সব কবিতা তোমার জন্য
.......................…...............

কল্পনার মেঘরাশি, আবেগ, কথার ভিড়
জমতে জমতে স্তূপায়িত হয়েছে পর্বতরূপে
শব্দেরা আঙুলের ডগায় অথচ লিখতে গেলেই হয়ে যায় প্রেমের কবিতা,
আমার একরাশ শোক এসে ঘিরে ফেলে একেকটি পঙক্তি।

অবশেষে লিখলাম গোটা কয়েক কবিতা
পাখির, পর্বতের কোনোটা বা ফুলের নাম করে
পড়তে গিয়ে দেখি প্রকৃতি সৃষ্ট কোনো প্রাণীর চরিত্র নয়,
আমার কল্পনায় আসা সুদূরবর্তী এক অদৃষ্ট প্রেমিকপুরুষ।
কবিতার বিষয় হারিয়েছে, হারিয়েছে লেখার ভঙ্গি
এখন সব কবিতাই শুধু একটি মানুষকে ঘিরে
এখন সব কবিতাই শুধু তার জন্যে।

✍️...অদ্বিতীয়া

-

**আর্জি**

দিনশেষে আমিও অপেক্ষায় থাকি
তোমার, ভালোবাসার বীজ বপন করতে চাই
মনের বীজতলাতে।
বীজ থেকে অঙ্কুর, অঙ্কুর থেকে চারা, চারা থেকে পরিপূর্ণ আকারের জন্য প্রহর গোনা।

কখনো মুখ ফুটে নিজের ইচ্ছে জানাতে পারিনা।
অধিকার দেখিয়ে বলতেও পারিনা 'একটু সময় চাই'
মনে ভয়, যদি বলো 'জানো তো সব‌ই, সময় ক‌ই!'

জীবনের প্রতিটি মাহেন্দ্রক্ষণ তোমাকে দিয়ে শুরু হোক
খুব বেশি নয়, স্বল্প সময় দিও, একটু আবেগ মিশিয়ে শুধু বোলো 'ভালোবাসি'।
শ্বাসরোধ করা এই জীবনদশা, সব পেয়েও না পাওয়ার শোক ষষ্ঠ অর্গানের।
হতভাগ্য জীবন প্রিয়, ব্যস্ততার শহর
তবুও কী এই হিমের পরশ মাখা, আর্দ্রতার চাদর ঢাকা কুয়াশাতে একটু উষ্ণতার খোঁজে এক টুকরো সময় হবে না তোমার, আমার জন্য?
...অদ্বিতীয়া...

-