চোখের পলকে সেই যে তুমি
হারালে আর এলে না
বিদায় নিবার আগে তুমি
কিছুই বলে গেলে না।
হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলে
কুয়াশার আধারে
রোদ্দুর উঠার পরেও তুমি
এলেনা আর ফিরে।
যাচ্ছিলো সব দিব্যি সুখে
সময়টা মোদের
কখন যেন লাগলো নজর
জানিনা কাদের।
হঠাৎ করেই সেই হারালে
জানিনা কোন দোষে
এখন আমি পাগল ফিরি
তোমায় ভালোবেসে।
এ কেমন সাজা দিলে তুমি
আমায় একা ফেলে
ভালোবাসার উপহারটি
এমনি ভাবেই দিলে।-
নিঝুম রাতে একলা আমি
চাঁদের পানে রইছি চেয়ে
কেমন আছেন সবার মামা
বলবো কবে কাছে গিয়ে।
তুমিই ছিলে সুকান্ত কবির
জোসনার রাতে জলসা রুটি
তোমায় দেখে প্রাণ ভরে
তাই তো এতো পরিপাটি।
-
খিদের জ্বালায় যায় উড়ে যায়
বকের ছানা পোনা
কালো মেঘে দিঘির জলে
মাছেদের আনাগোনা।
সুযোগ বুঝে করবে শিকার
তাই করেছে ভিড়
আর দেরি নয় যাচ্ছে সময়
হয়েছে অধীর।-
হয়তো আর হবে না পুরুন
অদেখা যা কিছু
অনেক দিন তো পার করিলাম
কাজ ছাড়ে না পিছু।
এই যাবো ওই যাবো বলে
দেখতে তাজমহল
ভেবেছিলাম অনেক কিছু
আর এটাই ছিল গোল।
সেই যে আবার কাজের লাগি
ভেস্তে গেল সব
চোখ বুজিলেই তাজমহলকে
করি অনুভব।
হঠাৎ একদিন প্ল্যান করলাম
দার্জিলিং এর চা
টাকা ঠিকই জুগিয়েছিলাম
সেটাও হলো না।
মা বলিলো ঠান্ডা সেথায়
কি করিবি যেয়ে
জীবন কেন দিতে যাবি
নিজের টাকায় খেয়ে।
মায়ের কথায় ভেস্তে গেল
দার্জিলিং এর চা
আর বুঝি হবে না পুরুন
ছিল যা অদেখা।
এর পরের বেলা প্ল্যান করলাম
কলকাতার চিড়িয়াখানা
সেই শহরে ছিল আমার
সব কিছু অজানা।
পাতাল ট্রেনে চাপবো বলে
মুখে অনেক হাসি
এই পঁচিশের বর্ষা এসে
সব নিলো মোর ভাসি।
আর হলো না চিড়িয়াখানা
ওই যে পাতাল ট্রেন
এটাও আমার ডুবিয়ে নিলো
বর্ষায় ভরা ড্রেন।
এমনি করেই হলো আমার
সব কিছু অদেখা
মনের ভিতর রংতুলিতে
যা ছিলো মোর আঁকা।-
আধার কাটিয়ে আলোর দিশার
হয়েছে আগমন
কত কষ্টে স্বাধীনতা পেয়েছি
একথা জানে কতো জন।-
মনের যাতায়াত
----------------------
অনেক দিনই হলো তুমি
আমায় গেছো ছেড়ে
মনটা আজও ভুলতে পারেনি
কেন যেন তোমারে।
সম্পর্কটাও মুছেছে প্রায়
তুমিও গেছো ভুলে
আমার মনের যাতায়াতটা
যায়নি এখনো কমে।
আজও প্রতি দিন চোখ বুজিলে
তোমার ছবিই ভাসে
তোমার কথা মনে পড়িলে
দুচোখ বয়ে আসে।
হায়রে আমার ভালোবাসা
তুই ছিলি প্রাণ
তোর জন্য আজও আমার
মন করে আনছান।
জানি আমি তুই সুখেই আছিস
নতুন জনের সাথে
কথা দিয়ে রাখিসনি কথা
হাত রেখে এই হাতে।-
ব্রিজের দেখা,,,,
আমার তোমার প্রথম দেখা
এই ব্রিজে ধারে
এক দেখাতেই হারিয়েছি মোন
বলছি আজ তোমারে।
ভিড়ের মাঝে দাড়িয়ে ছিলে
ল্রান্ড লাইটের নিচে
প্রথম দেখায় পাগল হলাম
ছুটলাম তোমার পিছে।
বলা হলোনা প্রেমে পড়েছি
ওগো হুরপরী
সেই দিন থেকে ঘুম আসেনি
এখন কি করি।
অনেক খোজাখুজির পরেও
পেলাম নাকো দেখা
মনের দুঃখ মনেই রেখে
ঘুরে ফিরি একা একা।
শীত পেরোলো বসন্ত এলো
অনেক সয়ম গেলো বয়ে
হঠাৎ একদিন দেখলাম তোমায়
ছেলে কোলে নিয়ে।
বুজলাম শেষে হারিয়ে গেছো
বদলে গেছে সব
পাওয়ার পরেও হারিয়ে পেলি
এটাই মোর স্বভাব।
ভয়ে ভয়ে কাছে গিয়ে
বললাম সেই সব কথা
এখন তুমি অন্য জনের
তাই আমার বুকে ব্যাথা।
ভালো থেকো সংসার করো
বলে বিদায় নিলাম শেষে
আজও প্রতি দিন ঘুরি ফিরি আমি
সেই ব্রিজের কাছে।-
সকাল হতেই উঠে দেখি
মেঘের আবরণ
এই বুঝি আসছে ধেয়ে
প্রখর বর্ষণ।
কালো আধার চারিদিকটা
নির্জন এই বেলা
আকাশ হতে বজ্র খেলে
তারা কাঠির খেলা।
পেট গুড় গুড় আকাশটার আজ
বেজায় হুংকার করে
কচিকাঁচারা সেই ভয়েতে
জড়ো হয় নিজ ঘরে।
টিপটিপ টিপ জলের ফোটা
বেজায় শীতল ময়
এই জলেতে ভিজলে পরে
শরীর হবে ক্ষয়।
-
এই যে কি ভাবছো
চোখের পানে তাকিয়ে
পথ ভ্রষ্ট করে এরা
রুপ শয্যা দেখিয়ে।
সুখের জীবনে দুঃখের ঢেউ
আনে এরা বয়ে
এদের ফাঁদে পড়োনা কেউ
মরণ আসবে ধেয়ে।
এরা যে এক জাদু কারি
মন নিয়ে করে খেলা
ভালোবাসার নামে শুধু
অভিনয় অবহেলা।
যেই জন পড়ে সেই জন মরে
ইতিহাসে বর্নিত
ডিপ্রেশন আর আত্মহত্যা
কতো দেখি প্রতিনিয়ত।
তাই বলি হাই আগে তে ওভাই
সাবধানের এই বাণি
ঘরে ফিরে যাও সময় আছে
ডাকে মা জননী।-