সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;
হ’য়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।-
আরও একশোটি চোখ খুলে দেবে
সেই মৃত্যুকে আমি ছুঁতে চাই
নয়ত আমায় অমরত্ব দ... read more
তবুও সন্ধ্যা নামে,
সবুজের ফাঁকে ফাঁকে অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসে
গোপন অভিমানের আলোয় যেন মৃত নক্ষত্রেরা
জেগে ওঠে, নবরূপে; ভালোবাসবার অন্তিম আকাঙ্ক্ষায়।-
বেসিনে তিনটে আয়না,
নিজেরে দ্যাখা হয় প্রতিদিনই
অথচ নিজের লগে দ্যাখা হয় না।-
লালন করবার মতো তো কোন ব্যাথা নেই
বিরহী ফিঙের মত নেই কোন আহাজারি
বেদনার শোরগোলে সকালটা মাতিয়ে রাখা
কিংবা কোন দীর্ঘ একাকী রাতে অশ্রুভারে
নুয়ে পড়ার মত তীব্র যন্ত্রণাবোধ নেই আমার
রয়েছে চামড়ার সু জুতার কিছু খসখসে শব্দ
ক্ষুৎকাতর শেয়ালের চোখ, বেজির ছুটোছুটি;
হিম কুয়াশায় মমির রহস্যের মত আমাকে
আগলে রাখে সেগুনের ছায়া,
"অবনী, বাড়ি আছো?"
কোন বাড়ি?
সেখানে কি গাভীর মত মেঘেরা ভেসে বেড়ায়?
কিংবা
"বাড়ির পাশে আরশিনগর
সেথা পড়শি বসত করে
একঘর
পড়শি বসত করে
আমি একদিনও না
দেখিলেম তারে।"
ক্ষণিক থাকে শূণ্যের উপর ক্ষণিক ভাসে নীড়ে
আমি দেখিনি আমাকে ষড়রিপুর ভীড়ে।-
We are so busy trying to get what we like, that we forget to like what we get.
-
ভাইফোঁটা~
যদিও বোনদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জীবন আমরা ভাইয়েরা যাপন করি তথাপি আমাদের আরও নিরাপত্তা দরকার
এমনকি স্বয়ং যমের হাত থেকেও!
কিন্তু পুঁজিবাদ এবং ধর্মাশ্রিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যে বোনটিকে সর্বদা ভয়ে ভয়ে শ্বাস নিতে হয় , পুঁজিবাদ যাকে মামুলি পণ্য বানিয়ে বাজারজাত করে ছেড়েছে , ধর্ম যার হাতেপায়ে পড়িয়েছে নানাবিধ শৃঙ্খলার বেড়ি , হাজার বছরেও তার জন্য, একটা নিরাপদ পৃথিবী আমরা ভাইয়েরা তৈরী করতে পারলামনা।
তারপরেও মহান বোনেরা অকৃতজ্ঞ ভাইদের কপালে এঁকে দিচ্ছে মঙ্গল ফোঁটা, ভাইদের মঙ্গল কামনায় যমের দোয়ার পর্যন্ত আঁটকে দিতে তারা বদ্ধপরিকর।
হে নারী, জননী আমার, হে আমার ভগিনী - আর কত ঋণের জালে জড়াবে তোমরা আমাদের!
- শফিক সাঁই-
পৌষের চাঁদটারে বড় বেশী একা লাগে....
এই ম্লান জোসনায়
ফাঁকা ছাদটারে দখল করেছে জীবনবাবুর দুঃখ
শুকনো গোলাপের ডালে ঝুলছে কিছু অস্পষ্ট স্মৃতি
সদ্য কেনা সেইসব চকচকে ফুলের টব
রাত জাগানিয়া নগ্ন, শীতল স্পর্শ
নিস্তব্ধতা ভেঙে
ইথারে ভেসে আসা গিরিবাজের মধুর গুঞ্জরন
হঠাৎ নড়ে ওঠা গাছের শাখার সনে মায়ার মিতালী
দিয়েছিলে সেই শীতে রঙিন স্বপ্ন
দু ঠোঁটে সুগন্ধি মেখে উড়েছি মাতাল এক মধুপাখি
শহুরে আকাশে ছড়িয়েছি পথভুলো মেঘ
ফড়িং বুকের আয়েশী আফিমে মেতেছিলাম যত
দিয়েছিলে শুকনো প্রেম,
দিয়েছিলে একরাত্রী দিতে পারে যত।-
কালভ্রান্ত প্রেমিকের মত ফিরতে ফিরতে রাস্তটারে দেখি...
আলিঙ্গনের লোভ, শুদ্ধ অভ্যাসের চুমু
তুমুল তৃষ্ণার বুক, মিলন ঝলকের আঁখি
এড়িয়ে; রাত্রীর গায়ে বুকের ধূসর কালো মেখে
একটা ঘুঘু মনোযোগী পায়ে কী রহস্যে হেঁটে যায়!
-
এই তীব্র জোৎস্নার মদিরা, ঝিরঝিরে গভীর হাওয়া
সাদা মেঘের ঔদাসিন্য;
চতুর চোখে এড়িয়ে যাই আঁধারের মুখোশ পড়ে,
কেবল তাকে দেখবার আশায়
আমার নয়নানন্দদায়িনীকে....-