||এক সৈনিকের আত্মকথা||
প্রসূতি ও দেশ সমার্থক মননে, আশ্রয় আমার সীমান্তরেখা,
মৃত্যুর চুম্বন জীবনের সহযাত্রী, রক্তে বারুদের অগ্নিশিখা।
বিনিদ্র রজনীর অতন্দ্র প্রহরী, প্রিয়জনের ঠিকানা হতে বহু ক্রোশ দূরে,
রণাঙ্গনের বুক চিড়ে কাঁটাতারের গর্জন, বীরাঙ্গনার সম্মান রক্ষাকে ঘিরে।
ঠাণ্ডা ঘরে তোলা যুদ্ধের হাঁকে, সৈনিকের কাঁধে হানা কঠিন দায়িত্বভার,
স্পৃহার শিকার হাজারের নিয়তি, শুকুনে ভাগ নেয় শ্মশান-কবরখানার।
স্বপ্নেও ভাসে অন্ধকার ট্রেঞ্চ, আছি আমি শুয়ে বুলেট মেখে,
মায়ের ভাঙা কোলে পৌঁছবে দেহ, কাফনের বাক্সে পতাকা ঢেকে।
'মরণোত্তর বীরচক্র', 'মোমবাতি মিছিল'一 আমার বিদায় একশো কুড়ি কোটির অশ্রুজলে,
তারপর একদিন বিস্মৃত হবে সবই, বলিদানের স্মারক হয়ে রয়ে যাবো দেওয়ালে।
বিষ হতে অমৃতের জন্মলগ্নে, চিতাভস্ম স্তূপের বিস্ফোরণ হতে,
কয়েক কোটি যোদ্ধার অভিষেক হবে, পুণ্যাত্মা জন্মভূমির এই মাটিতে।
'শহীদ' হতে নির্ভীক যারা, 'অমর' হতে যাদের বক্ষ অকম্পিত,
সংকল্পে দৃঢ় নিবেদিত প্রাণে, বাঁচুক তাদের স্পন্দন অবিরত।
-