নীলাম্বরের আলোক প্রভায় তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা শৈলজা সাজিয়াছে দেখি তিলোত্তমার সাজে
প্রকৃতি মজিয়াছে বীণার ঝংকারে, ওষ্ঠ দ্বয় মগ্ন 'বিবেকচূড়ামনি' তে,অধিষ্ঠিত আজি সুউচ্চ গিরিরাজে-
Always I am a Arjitian ❤❤
....STUDENT OF MATHEMATICS HONS 3 RD YEAR
🏃🏃 দৌ... read more
ফিরব আমি এই শ্যামলা প্রকৃতির সদানন্দের মেলায়।ফিরে আসব ওই উন্মুক্ত সমুদ্রতটে,যেথায় উদীয়মান সূর্যের রক্তিম আভা কম্পমান রাশি রাশি জলবিন্দুর মাঝে পরিপাটি করে সাজানো আলতা রাঙা চরণের চিত্র অঙ্কন করে যায়..!
যেথায় বেলা দ্বিপ্রহরের প্রখর রৌদ্র বিস্তৃত বালিকণায় উজ্জ্বল মুক্তোর মালা রচনা করতে উদ্যোগী হয়..!!
ফিরব সেই মন হরণকারিনির নিকটে,যায় অবিন্যস্ত খোলা চুলের সুগঠিত প্রাচীর এক লহমায় আলতো হাওয়ার স্পর্শে খণ্ডিত হয়ে তাকে একটু ছুঁয়ে দেখার সুযোগ করে দেয়।
কলমের অনাবৃত নিবের আহ্বানে আবার ফিরে আসব ডায়েরির শেষ পৃষ্ঠায়,যা একসময় কিছু অস্তিত্বহীন অপাংক্তেয় ভাবনার সমাগমে অপূর্ন থেকে গিয়েছিল।
জীবনের এই নাটকীয় রঙ্গমঞ্চে নাটকের সংলাপ তো এখন সবেমাত্র মধ্য গগনে।কত শত প্রতিজ্ঞা,কতই না দেনা পাওনার হিসেব নিকেশ এখনও রয়েছে বাকি।ফিরে আসব আমি এই নাটকের শেষ দৃশ্যের অভিনয়ে,চিৎকার করে বলব সেই বিখ্যাত কবিতার শেষ পংক্তি,
" I have promises to keep
And miles to go before I sleep
And miles to go before I sleep... "-
সকল কলহ,বিবাদ ভুলে আবার চলো ফিরে দেখি সেই ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।সে তো আজও অপেক্ষায় আছে কখন তার প্রতিটি শব্দের সারমর্ম বিবেচনা করে আমরা তাকে উল্টে পরের পৃষ্ঠায় অগ্রসর হব।আর সেও হয়ত এই মান অভিমানের পর্বে নিজের একটা ছোট্ট বানান ভুলকে লুকিয়ে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।
চলো ফিরে দেখি সেই মলাটে বাঁধানো লাল খাতাটায়, যার সূচনা পর্বে সযত্নে দক্ষ হস্তাক্ষরে লেখা ," যৌবন মঞ্জরী "।সেও তো অপেক্ষায় রয়েছে,কোন মুহূর্তে আমরা নিজেদেরই জীবন প্রবাহকে নিজেরাই আজ বহু যুগের উপান্তে উপস্থিত হয়ে পুনরায় পাঠোদ্ধার করে তাকেও জন্ম জন্মান্তরের মত মুক্তি প্রদান করব।
চলো ফিরে দেখি বাগিচার ওই কৃষ্ণচূড়ার নিচে।যেখানে আজও অক্ষত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে আমাদের সেই ভালোবাসার সেগুন কাঠের আরাম কেদারা। হ্যাঁ আজ হয়ত সে ধূলি মলিন,তবুও সেও তো অপেক্ষায় রয়েছে একবার..!!অন্তত একটিবার আমাদের ওই স্নেহের পরশ পাবার আশায়,তারপরই তারও হবে চিরমুক্তি।
এত স্নেহের আহ্বান উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়া কি সত্যিই এতই সহজ প্রিয়..!!
চলো আকাশের বুকে সব অভিমান মিশিয়ে দিয়ে ফিরে যাই আমাদের সেই পুরাতন স্মৃতির পাতায়,
আজও যারা আমাদের জন্য অপেক্ষারত,তাদের সব আশা পূর্তির শেষে না হয় আমরাও ধীর পদে অগ্রসর হব আমাদের চিরন্তন, শাশ্বত আস্তানায়..!!-
অন্তহীন এই জন সমুদ্রে তুমি কি আজও খুঁজে চলেছ সেই নামহীন পথিকের আস্তানা..!!
সেই বর্ষণমুখর রাত্রিকালে বাতিস্তম্ভের ক্ষ্মীন আলোর বলয়ে যে শান্ত অথচ গভীর অর্থবহ মুখ খানি ক্ষনিকের অবসরে তোমার সম্মুখে দৃশ্যমান হয়েছিল,তুমি কি আজও তাকে তোমার মনের অদৃশ্য অন্তঃপুরে অমলিন ভাবেই আঁকড়ে ধরে রেখেছো..!!
সত্যি কি সেই আগন্তুক কে আবারও প্রত্যক্ষ করবার কোনো পথ অবশিষ্ট আছে..!!
না না..এটা বোধহয় তোমার এক ভ্রান্ত ধারণা,কিংবা হয়ত এক সামান্য আকর্ষণ মাত্র।
কিন্তু তাই বা কি ভাবে সম্ভব.!দেখতে দেখতেই আজ বছর ঘুরে গিয়েছে।এক শ্রাবণের শেষ পর্যায়ে আরো এক নতুন শ্রাবণের আগমন ঘটেছে।
ওই তো..!!ওই যে নামলো ,দেখো দেখো আবারও সেই বৃষ্টির আগমন।আচ্ছা এই বুঝি সেই বৃষ্টির ফোঁটা,যা তোমার মনে এখনও সেই আগন্তুকের জলছবির পুনর্নির্মাণ করে চলেছে..!!
এই বুঝি সেই শ্রাবণ সন্ধ্যা,যা পথিকের দুই চোখের সেই নিদারুণ অভিব্যক্তি কে বিনা বাক্যব্যয়ে তোমার সম্মুখে মেলে ধরেছে..!!
বেশ..!!বেশ বেশ,তুমি অপেক্ষা কর তার জন্য,আর সেই অপেক্ষায় আমিও সঙ্গী হব তোমার এক জন্মান্তরের মিত্র রূপে।
হাল ছেড়ো না বন্ধু..!!একদিন সাক্ষাৎ হবেই,থেমে যাবে সেদিন এই বর্ষণ,মিলিত হবে দুই জোড়া নয়ন।
আর আমি..!!ঠোঁটের কোণায় আমি স্মিত হাসি নিয়ে করে যাব এই অপেক্ষমান যুগলের সেরা চিত্রাঙ্কন...!!-
ওই সুদীর্ঘ মহীরুহের ছত্রছায়ায় ধরণীর বক্ষে দন্ডায়মান তুমি যে এক শুভ্র বসনা নারী,
সম্মুখে সুশোভিত দীর্ঘ কেশ রাশি, অধরে বিরাজিত স্মিত কোমল হাসি,
তোমার ওই শান্ত দুই নয়নের স্থির দৃষ্টিপাতে অজস্র প্রেমাসিক্ত আহ্বানের ঢেউ,তোমার মনের অন্তরালে আমি তো প্রতি মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারি।।-
' বন্ধুত্ব '
আপাতদৃষ্টিতে শব্দটি নিতান্তই ভীষণ ছোটো।কিন্তু গভীর অর্থবহ।বন্ধুত্ব শেখায় কি ভাবে বন্ধুর আনন্দে আনন্দিত হতে হয়,জীবনের পথের ভিন্ন ভিন্ন লড়াইয়ে একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হয়।শুধু মাত্র সুখের দিনেই নয়..!বিপদের দিনেও যে তোমার পাশে সর্বদা একটা বিশ্বাসযোগ্য হাত বাড়িয়ে তোমাকে সর্বনাশা ভ্রুকুটির হাত থেকে উত্তরণের পথ দেখায়,সেটাই হল প্রকৃত বন্ধুত্ব।
তবে বর্তমানের প্রযুক্তি নির্ভর যুগে এই বন্ধনটা যেন ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে।স্বার্থপরতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ ব্যক্তিবর্গ ' বন্ধু ' শব্দের সঠিক অর্থটাই যেন আজ ভুলতে বসেছে।এখন বন্ধুত্বের সংজ্ঞা কেবল ' দেওয়া - নেওয়া ' এর ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে।
" যদি দাও দু হাত ভরে রইবে তবে বন্ধুত্ত্ব,
যদি একবার করো প্রত্যাখ্যান থাকবে নাকো অস্তিত্ব..!!"-