গোধূলি আলো দিগন্ত রেখা ছুঁয়ে–
ডাক দিয়ে যায় পাখিদের।
জল আলপনাতে নিজস্বী দেখে,
খোসমেজাজে ঠিকানা হারায় ওরা।-
মুখ চামড়ায় মুখোশের প্রলেপ।
আলো আঁধারী শহরতলির ভিড়ে,
অভিনয় ঘেরা অমানবিক মানুষ!
আজও বুক ফুলিয়ে ঘোরে।।
-
সুন্দর রূপের স্বপ্ন দেখে,
মনকে ভোলাও রোজ।
কালো রূপে নাক ওঠাও,
নাওনা মনের খোঁজ।
-
নীরবে সয়েছি বেদনা হাজার,
এড়িয়ে চলি যে পথ তোমার।
মনের খাতায় আজও আছে জমা,
ভুল করেছ তুমি,তবু প্রার্থনাতে–
তোমার হয়ে রোজ চেয়েছি ক্ষমা।
-
ঈশ্বরের আরেক রূপ ডাক্তার অনেকের কাছে হিংস্ররুপি ডাকাতও বটে।
উনিশ বিষ হলে পরে চড় থাপ্পড় হামেশাই জোটে।
কাজ ফুরোলেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেনা মোটে।
তোমরা যারা ঝাঁপিয়ে পড় ভেবে দেখো ওটাই কি প্রাপ্য তাঁদের,
রাতদিন এক করে অক্লান্ত পরিশ্রমে হাসি ফোটায় তোমাদের মুখে।
সত্যি বলতে গেলে–––
ব্যতিক্রম সব ফিল্ডে মুখোশধারী মানুষের মুখের বড়াই অল্পতেই ফুটে।
-
দিনের শেষে পুরুষরাও অত্যাচার সয়।
পুরুষদেরও যন্ত্রনাতে চোখ দিয়ে জল আসে,
নীরবে মুখ বুজে বুকে পাথর নিয়ে এগিয়ে চলে-
তাদেরও মনের ভেতরটা নরম হয় শুধু বুঝতে হয়,
বাবা মা স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে এক ছাদের তলায় থাকতে চায়।
কিন্তু ভালোবাসার মানুষটা নির্মম অত্যাচারে তাকে বুঝিয়ে দেয় বাবা মা সংসারে বাড়তি সংখ্যা মাত্র।
যদি পুরুষ মেনে নেয় তাহলে ভালো নয়তো
সিগারেটের ছ্যাকা খেতে হয়!
একদিকে বাবা মা অপরদিকে মনের মানুষ
দোটানায় পুরুষ হাঁপিয়ে ওঠে,কষ্টে ছটফট করতে থাকে।
তার ব্যথাগুলোর কি কেউ খবর রাখে?
রাখেনা বোধ হয়,রাখলে পুরুষের চোখের জল সমাজের কাছে উপহাসের হতনা।
-
খোলস ওঠা ব্যালকনিতে,
আগের মত দাঁড়িয়ে আজও-
অপেক্ষারা প্রহর গোনে।
দুঃখগুলো আমার একা,
মিথ্যে তাও তোমার আশায়-
ফিরে আসার স্বপ্নবোনে।-
ভুলে ভরা আমিটার দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে,
ক্লান্ত চোখে ঘুম নেই।
আশার আলোর খোঁজ তাও–
মোবাইলের ওয়ালপেপারে রোজ দেখা;
ইগোর লড়াইয়ে জিতে গেছে সে,
অব্যক্ত অনুভূতির রেশ
অভিমানের পারদ ছুঁয়েছে।-
উঠোনেতে খেলায় মেতে দুস্টু বিড়াল আর টিয়েতে।
বিড়াল বলে:–টিয়া আমি বন্ধু হতে চাই।
টিয়া আমার চেঁচিয়ে বলে:–
কথাটা যে মিথ্যে নয় এমন বিশ্বাস তার কি উপায়?
দুস্টু বিড়াল ঘাবড়ে গিয়ে ফ্যালফেলিয়ে চায়!
টিয়া আমার ভীষণ চালাক,ভেবেই হাসি পায়।-
দেবতার চরণে নিবেদন রাখি তুই ভালো থাকিস।
তোর গল্পের উপসংহারে পারলে আমায় রাখিস।।
-