আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক 'গল্প' থাকে।
'গল্প', কিন্তু "গল্প হলেও সত্যি"।
আর থাকে 'অভিনয়' করার অসাধারণ ক্ষমতা।-
বসন্তের প্রথম রোদ পড়েছে খোলা প্রান্তরে,
প্রান্তরটা যেন রৌদ্রস্নাত,
একটা সরীসৃপ রোদের আঁচ মাখতে এল,
শরীরে কি কিছু বিঁধেছে তার ?
আসলে শরীরটাকে সংকুচিত আর প্রসারিত করে,
নিজেকে গুটিয়ে ফেলছে বারবার,
কিন্তু সেখানে যন্ত্রণার আক্ষেপ-আভাস নেই,
বরং, সূর্যের আলোক-উত্তাপ,
প্রত্যেকটি কোষে ভরে নেবার,
চরম আকুলতা পরিস্ফূট,
একে কি বলা যেতে পারে....
সূর্য প্রার্থনার আদিমতম রূপ!!!
আমার ঠিক তা জানা নেই।-
গতকাল রাতে বহু কষ্টে জেগে আছি, কারণ আজ দিদির জন্মদিন, ওকে ঠিক ১২ টায় শুভেচ্ছা জানাবো বলে, যা আগে কখনো হয়নি, গতকাল তা অনুভবে অন্য উপলব্ধি হয়েছে, সে কথায় লিখছি আজ।
ঘুম পাচ্ছে খুব, কিন্তু ঘুমোতে পারছি না, একটু চোখটা লেগেছে, মানে তন্দ্রা বলা চলে।
কী জানি মনে হল মাথার কাছে কিছু আছে বা কেউ, অদ্ভুত কিছু অনুভব করলাম মনে হল।
সত্যি বলছি ভয় পাইনি, তাই চোখ খুলতে সাহস করলাম।
মাথার কাছে কিছু নেই, কেউ নেই, সেটাই আশা করেছিলাম, কিন্তু আমি না কিছু অনুভব করেছিলাম, আর অনুভব করেছিল আমার ছোট্ট চিনি(বিড়াল), দেখি ও ঘুমোচ্ছিল, কিন্তু ও তখন মাথার দিকে তাকিয়ে।
শুনেছি অলৌকিক কিছুর আভাস পশু-পাখিরা নাকি বুঝতে পারে, তাহলে গতকাল রাতের ঘটনাকে কী বলবো?-
কাছের কেউ হারানোর যন্ত্রণায়,
সাময়িক সময়ের জন্য মনে হয়,
সময় কিছুটা থেমে গেছে এখানে।
পরক্ষণেই মনে হয়, সময় থামেনি,
আমরা থেমে গেছি স্মৃতি হাতড়াতে,
হাতড়ে চলেছি স্মৃতি অতীতের কবর ঘেঁটে।
কিছুদিনের অন্তরে সময়ের সাথে সাথেই,
স্মৃতি কিছুটা ঝাপসা হয়, কিছুটা ম্লান,
হঠাৎই আলো জ্বলে ওঠে সামনে এগোনোর রাস্তায়।-
লিখতে চেয়ে আঁকছি তোমায়,
শব্দজোড়ের ব্যাপক কামাই,
প্রকৃতির এত রঙ তা কি আদৌ নষ্ট!
প্রকৃতির রঙে আঁকার লেখনী স্পষ্ট।-
জীবন সমান্তরালে চলে,
রংমিলান্তী খেলার অন্তরালে,
প্রশ্ন-উত্তর, সমস্যা-সমাধানে,
অপেক্ষা-ধৈর্য-সময়ের অবসানে,
ধাঁধার বাঁধা থেকে মুক্তি,
কেটে যায় মারপ্যাঁচের আসক্তি,
রুবিক'স কিউব কেবল নিমিত্ত,
চেনা ডাকনামে থাকে না কোনো শর্ত।-
"মেহফিল" জমেছে খুব,
সুর-সুরার ফোয়ারা ছুটছে এখন,
সুরার দোসর কোনো "সুন্দরী নারী",
রাজার নেক নজরে তার অভাব নেই,
অস্ফূট চাপা কান্না কি শোনা যাচ্ছে ?
না, চাপা পড়ে গেছে মোসাহেবদের তাবেদারিতে ?
প্রসাদের লোভ, প্রসাদী হলেই তো পাবে প্রসাদ,
হবে "ভোগ", ছিঁড়ে খাবে কিছু হিংস্র দাঁত-নোখ,
"মেহফিল" জমেছে খুব।-
চাকরিটা সত্যি খুব প্রয়োজন ছিল,
"বেকারত্ব" শব্দটা অল্প অল্প করে গ্রাস করছিল,
"বেকার", "শিক্ষিত বেকার" ছেলেটা,
বাড়িতে বাবা-মা-বোন, সমস্যা হাজারটা,
বয়সের মাপকাঠি যদি হয়, তবে....
কী হবে আর এসব ভেবে!!!
কাগজে-কলমে লেখা ডিগ্রির বহর,
তোষামোদে ব্যর্থ হলে সব গড়বড়,
প্রেমিকাও আছে বুঝি, কেয়াবাত! কেয়াবাত!
বোঝাপড়া হলে ভালো, টিকে যাবে আলবাত,
নইলে আর কত সময় দেবো, এই শেষ মোলাকাত,
নাহ্, শুভস্যশীঘ্রম, বলি শিক্ষিত সমাজ চললাম,
পাকদণ্ডী বেয়ে ধেয়ে আসা ঝড়ের ঝাপটা কত খেলাম,
আমি মরেও পাবো কি শান্তি ?
"জাস্টিস" না কী বলে জেনো, যত্তসব ভুল-ভ্রান্তি,
বলি ন্যাকাবোকার পোলাপান আমি ব্যর্থ,
তবে চেষ্টা করেছিলাম শেষ বিন্দু দিয়ে, ছিল যেটুকু সামর্থ্য।-
পাশাপাশি দুটো কালো রাস্তা,
একটা ভোরের নরম আলোয় স্নাত,
একটা ভিজে কাক হয়ে পরিশ্রান্ত,
এখানে বিপ্রতীপে কথা চলে অবিরাম,
কখনো কখনো মেলে ক্ষণিকের বিরাম।-