কোনো একটা ফাঁকা ঘর লুকানো মনের মাঝে,
কোনো একটা ব্যাথা রোজ কাঁদে ডায়েরির ভাঁজে,
সুখ-দুঃখ আবেগেরই ভাষা, প্রাধান্য দেবে কাকে?
কিছু হাসি এমনও হয় যাতে কষ্টেরা মিশে থাকে।-
গুতোগুতি হাতাহাতি চলে গোটা রাস্তা
এ এক আজব মজা শোনাচ্ছি দাস্তান।
কেউ চলে বসে কেউ শুয়ে কেউ ঝুলে
ফিলিং তিমি মাছ সুইমিং পুলে।
ঠেলেঠুলে উঠে পড়ো চান্স একটাই
আরে আরে সরো সরো ও দিদি ভাই।
জায়গা নেই তবু ধরতেই হবে
কে জানে পরেরটা আসবে যে কবে।
তার মাঝে রেগুলার ঝগড়াটা চাই
এন্টারটেইনমেন্ট ফ্রি তে হেথা পাই।
আছে আছে পেট পূজো শশা ঝালমুড়ি
ঘামের গন্ধ দেয় নাকে সুড়সুড়ি।
ক্লিপ থেকে শুরু করে হার চুড়ি দুল
ব্যাগের সাথে পাবে কাঁটা আর উল।
ভোর থেকে শুরু হয় থামে মাঝরাতে
মলমও মিলে যায় হাঁটুর ব্যথাতে।
কি নেই! সবই আছে চুল থেকে নোখ
যেদিকে তাকাই শুধু লোক আর লোক।
জীবন বোরিং লাগে মনের পেইন এতে?
একবার উঠে দেখো লোকাল ট্রেনেতে।।
-তপস্যা🌷
-
মাঝে মাঝে প্রেম
দূর থেকে দিয়ে যায় ফাঁকি
যাকে আগুন ভেবেছি
আসলে সে জোনাকি।
-
যতটা অভিমান ভুলে আলো জ্বালা যায়
ততটাই ভালো
তোমাকে চিঠি লিখব লিখব করেই
কতদিন চলে গেল।
আষাঢ়ের ভিজে গন্ধে মনের ভিতর
কেমন হু হু করতে থাকে
সেভাবে দেখতে গেলে কবিরা সবকিছু
কবিতায় লুকিয়ে রাখে।
মনের ভুলে মাঝে মাঝে গেয়ে ফেলি
ফেলে আসা পুরাতন গান
মানুষ সব ভুলে যায় শুধু মনই বোকা,
মনে রাখে টান।
সমুদ্রের ধারে বসে দূরের সীমানা
খুব কাছের মনে হয়
যাকে ছুঁতে পারব ভেবেছি সে আদৌ
আমার কাছের কেউ নয়।
হিসেবের বাইরেও অনেক হিসেব থাকে
যারা কোনোদিন মেলেনা
তাই মনে হয় এজীবনে সব পেয়েও
আজও কিছুই পেলেনা।
-
যেমন চলে আঁধার আলোর মিথ্যে লুকোচুরি
তেমনভাবে মিশে ছিল অনাদরে স্নেহ
এ শহরে ডুবতে বসা সূর্যগুলোর ভিড়ে
একটা কোনো রঙীন বিকেল ফেলে রেখে যেও।
যেসব পথে এ জীবনে আর যেতে নেই
সেসব পথও হয়তো আছে আমার অপেক্ষাতে
এসব কথা ভাবতে গিয়ে সন্ধ্যে হল পথে
দুচোখ ভরে কান্না এল তারায় ঢাকা রাতে।
অনেক ক্ষত ফিকে হল বহু বছর বাদে
এখন কি আর আমার সাজে এতকিছু ভাবার
হঠাৎ করে হয়তো কিছুই হয়নি জীবনটাতে
তারাই গেছে আসলে যাদের কথা ছিল যাবার।
তবুও কেন মাঝে মাঝে ফুটছে গায়ে কাঁটা
যেন ফুলের বাগান খোয়া গেছে কালবোশেখী ঝড়ে
ধোঁয়ার আদল আবছা হলে বুঝতে পারি এই
ঠিক কতটা উঠলে জ্বলে আগুন লাগে ঘরে।
রাতে আর মন বসেনা কালপুরুষের দিকে
লক্ষ তারা পেরিয়ে আজও দৃষ্টি কাড়ে চাঁদ
স্মৃতির পাতায় চোখ রেখে প্রশ্ন করে মন
ঘৃণা'ই কি ভালোবাসার গোপন অজুহাত?
-
অজস্র সব স্মৃতির আনাগোনা
আগুন লাগে মনের বসতঘরে
একটুখানি চোখের দেখা পেলেই
সব কেমন ওলটপালট ঝড়ে।
সুখী সুখী মানুষগুলোর ভিড়ে
আমার যেন একলা লাগে খুব
কিছু মানুষ সুখী হওয়ার ভয়ে
রোজ দেয় বিষন্নতায় ডুব।
সময়ের এই অচেনা আবর্তনে
স্থির ছিলাম যে পুরাতন টানে
সেই পুরাতন বদলে গেল হঠাত
দিন আর রাতের ব্যাবধানে।
-
গল্প ভাসে অতীত গাঙে আঁচড় কাটে গায়
একটা পলাশ রঙ হারিয়ে স্বপ্ন খুঁজতে চায়।
ঘুমের ভিতর স্বপ্ন আসে আঁকে কত ছায়া
বৃষ্টি-হাওয়ায় দেখি চেয়ে দিনের মুছে যাওয়া।
বাইরে ভীষণ শীত তবু মনের ভিতর আগুন
কেমন করে আসবে ফিরে হারিয়ে যাওয়া ফাগুন।
চরিত্ররা পরিচিত পাল্টে যায় মুখ
ঝড়ের আকার একই থাকে বদলে যায় যুগ।
ধূসর আবেগ, ছন্নছাড়া, যা হারিয়ে যা
ফিরে আয় ফিরে আয় আর বলবো না।
ভালোবাসার ফুলদানিতে শুকিয়ে যায় গোলাপ
তোমার কাছে যা কবিতা আসলে তা প্রলাপ।
-
হারিয়ে গেলে খুঁজে নেব তোমায়
আমার দুটি জ্যোৎস্না মাখা চোখে
সেদিন কেবল রয়ে যাবে শ্রাবণ
পূর্ণিমাতে চাঁদ হারানোর শোকে।-
ঘুরেফিরে একই স্রোতে ভাসা
অজান্তেই আঁকড়ে ধরে শোক
এমন হলে কেমন হতো বলো
এসব কথা ভাবছে বসে লোক।
অগুনতি কালের ক্ষত ভরে
মানুষের আসা যাওয়া রোজ
কার বলো কি বা এসে যাবে
যদি হঠাত হয়ে যাই নিখোঁজ।
আমার ভিতর আগুন আর ছাই
স্মৃতির সাথে দহনের জোট বাঁধা
যদি কখনো শুধাও কেমন আছি
"বনমালী পরজনমে হইও রাধা"-
ধরতে চেয়ে পাওনি যারে
গভীরে সে মিশে
বুকের মাঝে লুকিয়ে তারে
শান্তি পাবে কিসে।
বলো শান্তি পাবে কিসে?
কিছু আগুন জ্বলেই চলে
নেভেনা অশ্রুকণায়
অবাধ্য এই মন কেন
এত স্মৃতি জমায়!
বলো এত স্মৃতি জমায়?
অবুঝ তুমি তোমার মনে
এটা কেন আসেনা
আঘাত দিয়ে পালায় যারা
তারা ভালোবাসেনা।
তোমায় সত্যি ভালোবাসেনা।।
-