বন্ধ ঘড়ি দিচ্ছে ফাঁকি, মনখারাপি সংক্রমণ,
নীলচে খামে বৃষ্টি মাখে, খামখেয়ালী একলা মন।-
কিভাবে জীবন শূন্য থেকে শুরু হয়ে ফের শূন্যে ফেরে?
ঠিক যেভাবে শেষ না হওয়া গল্প যখন কাব্য করে।-
ভেঁপুর ডাকে গানের খোঁজ,
বাউন্ডুলে শহর আমার
কবিতা হয়ে বাঁচছে রোজ।-
প্রাক্তন
অ্যালার্ম ঘড়িটা বন্ধ হয়ে এককোনে
সিলিং ফ্যানে মাকড়সারা জাল বোনে,
কোন খেয়ালে বৃষ্টি এলো রোদ মেখে,
ঘুম আসেনি খামখেয়ালী দুই চোখে।
তবুও শুনি তোর মৃদু ডাক এই কানে,
পোড়া চৌকাঠে খড়কুটো মন দিন গোনে।
পেয়েও হারাই, অলীক সুখের সন্ধানী,
বন্ধ অ্যালার্ম ঘড়িটাও আজ প্রাক্তনী।
-
মেহফিলে ঐ চাঁদ এসেছে দেখো
কুড়িয়ে নিতে ফেলে রাখা আলফাজ,
বলছে তোমায়, "ফেরেস্তা তুমি কবে
পরবে আবার প্রেমিক কবির সাজ?"-
"কি করছ কবি?" "বুনছি শব্দ।"
"কি হবে এতে?" "শব্দগুলি রূপ নেবে কবিতার।"
"কবিতা? যন্ত্রের যুগে আছে তার অস্তিত্ব?"
"আছে বৈকি, তাই আমরা বলতে পারি
এই যন্ত্রের যুগে প্রাণ আছে,
এখনো প্রাণ আছে অবশিষ্ট।"
-
সময় গেলে সবার ডেরা যমলোকেরই দোর,
কোন খেয়ালে বালির ওপর বানাস তাসের ঘর?-
চতুর্দিকে ফুটছে দেখ সাহেবী ভাষার ফুলঝুরি
প্রতিটি কথায় পাবেই তুমি "বোম্বাস্টিক" ইঞ্জিরি!
নকলনবিশ সাজছো খাসা!
এতেই গরব? এতেই আশা?
বাংলা আমার মাতৃভাষা, নয় বাংরেজি চচ্চড়ি।-
শেষ ছোঁয়াটুকু ছুঁতে পাওয়ার আশে
নতজানু আমি, ছেড়েছি লজ্জা শরম।
যদি পাই দেখা মেঘের আশেপাশে,
না বলা কথাটা বলবো তোকেই প্রথম।
-
আটঘাঁট বেঁধে লিখি কাব্য কি বিভীষণ,
চেয়ে দেখ দাঁতভাঙ্গা শব্দেরই রন্ধন!
মানে বোঝা বড় দায়,
তাতে কিছু আসে যায়?
ঝুড়ি ঝুড়ি লাইক নিয়ে করি ফেবু প্রহসন!-