বর্ষাকে চিঠি লিখেছে মেঘ;
হাসনুহানার গন্ধমাখা সাদা খামে
নীল কালিতে লেখা সেই
চিঠিতে মেঘ লিখেছে,
প্রকৃতি বরণডালা নিয়ে প্রস্তুত
বর্ষাকে স্বাগত জানানোর জন্য।
বর্ষা যেন অকৃপণ হয়ে
তার কোমলটুকু উজার করে দিক
অপরূপ এই প্রকৃতিতে।
মনের কোণে বর্ষা নামিয়ে
এমন এক শ্রাবণ আসুক
বৃষ্টিস্নাত হয়ে ধুয়ে যাক সকল
গ্লানি, জরার আর্তনাদ,
আগমন হোক বৃষ্টিধারার সঙ্গমে
এক মলিন স্নিগ্ধ হাসির ঝর্ণা।।-
ছত্রে ছত্রে বাষ্প হয়ে ফুটে উঠেছে আবেগ।
উড়তে উড়তে ক্লান্ত আমি,
হাতটা আমার ধরো,
মেঘের করুণ আর্তি শুনে,
বর্ষা হলো ক্ষর।
ভীষণ বাতাস বইলো বেগে,
একফোঁটা প্রেম উঠলো জেগে,
বর্ষা এলো বৃষ্টি হয়ে,
মেঘের পরশ মাগলো।
অমোঘ সে এক সৃষ্টি নিয়ে,
ধরার হৃদয় ভাসলো।-
মেঘ করে আসে,
বৃষ্টির জাল বুনে আকাশ আনন্দে মাতে,
হাওয়ার ছোঁয়ায় চোখদুটো ছলছল করে।
অনুভুতিরা জায়গা নিয়ে মনে,
অনায়াসে ঘর বাঁধে।
সীমাহীন সরণীতে নির্জনতার রেশ ফেরে,
পাখিদের গানে বিভোর মনটা,
সঞ্চিত আলোয় মনোহর প্রকৃতির ছোঁয়ায়,
জানালার কাছে বসে, বাইরে তাকিয়ে।-
আষার শ্রাবনকে পিয়ন করে,
বর্ষার কোলে মেঘের চিঠি দোলে।
আবেগী চিঠির গন্ধে টলমলে করে ওঠে বর্ষার মাথা,
প্রত্যুত্তরে বর্ষা জানাই শুভ্র মেঘ দিয়ে বানাও তুমি ছাতা।-
কিছু মনখারাপি বর্ষা বিকেল হেডফোনেতেই কেটে যায়,
কিছু শ্রাবণ প্রেমের গল্পধারায় একলা স্মৃতিই গান গায়।।
-
" হাজারটা রাত একলা কাটুক, অভিমানের সেতু।
বর্ষা তোমায় তিস্তা দিলাম, কবিতা যেহেতু।। "-
* নিরপেক্ষ বর্ষা *
অভিমানী উড়ো মেঘ গলিয়ে বর্ষা বৃষ্টি ঝরায় প্রাতে, মিসির আলি থেকে হরি মুখুজ্জে সেই একই বর্ষায় মাতে । ধর্মভেদে তারা অন্য হলেও আকাশ তাদের এক। হরিবাবু তাই বর্ষা পেলে , মিসিরকেও দেন তার ভাগ।
-
বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে নিয়েছে সব,
ভেজা কাঁচের জানালায় দেখি।
পুরোনো সেই অবয়ব।
ঠিক যেন এক প্রাগৈতিহসিক শব!!-
কফিকাপে ঠোঁট ছুঁইয়ে শুরু হওয়া এক উষ্ণতা মাখা সকাল,
সারাটাদিন জুড়ে সারা শরীরে মেখে নেওয়া আলসেমী
দুপুরে প্লেট ভর্তি গরম খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা,
সন্ধ্যায় তেলেভাজা-মুড়ি - গরম চায়ের সাথে জমিয়ে ফ্যামিলি-আড্ডা
আর খুব চাপ না হলে ডিনার - এ লুচি আর মটন কষা।
স্বর্গসুখ তো আমরা সবাই লাভ করতে চাই তাই না বলুন?
তাহলে দেরি কিসের মেঘলা দিনে একবার পুরোটা ট্রাই করে দেখুন ....কথা দিচ্ছি স্বর্গসুখ পাবেন মশাই, স্বর্গসুখ।-