যাকে তোমরা ভালোবাসা বলো !
আমার ভাবনায় ! এক দীর্ঘতম হিমবাহের,
অভিমানী ভারে আছড়ে পড়া অবহেলিত "জলকণা"।
অনুভূতির দেশে, বেদনার স্রোত হয়ে ঝরে পড়ে....!-
কৃষ্ণকলির শরীর জুড়ে ভালোবাসার প্রদর্শনী,
অভিমানে অভিমানী হওয়া তাকে নাকি মানায়নি-
বসন্ত পাড়ি দেয় অতৃপ্ত পিছুটানে,
অভিমানী দূরত্ব ক্রমশ বেড়ে চলে দিবানিশি।
তবুও তোমার অবহেলার শহরটাকে,
আজও আমি ভীষণ ভালোবাসি।-
একদা সে হতে চেয়েছিল ভালোবাসার রাজত্বের স্বপ্নচারিণী;
মুখোশের ভীড়ে, শরীরের লালসায়, সে এখন অভিমানী।।
-
শহর যখন ঘুমিয়ে পড়ে রাতের কোলে,
মনের অন্তর্বাসে জমে কত অভিমানী জল।
দীর্ঘশ্বাসের গোপন চিঠি উড়ে যায় বেনামী আশ্রয়ে।
বেদনায় সাজানো স্মৃতিসুখ নালিশ জমায় বুকে।।-
আজকাল আমার বড্ড অস্থির সময়-
তোর চোখে আর অস্থিরতা নেই;
তোর মনে মিথ্যে প্রেম সংকেত খেলা করে;
তাই আমার মনখারাপি রাজ্যে,
ভাসিয়ে দিয়েছি অভিমানী ভেলা !
মুঠোফোনে বন্ধ হোক নিরাবেগ ভালোবাসাবাসি;
বন্ধ হোক মিথ্যে আলিঙ্গন, মিথ্যে হাসাহাসি।-
আমি থাকবো বেনামীদের ভিড়ে,পারলে খুঁজো শিশিরের অচেনা গন্ধে।
আবার না হয়ে ডুবে যাবো শেষ বেলায়, আসন্ন যখন মন খারাপের সন্ধে।
কিংবা হবো তোমার রাগ দেখানোর অকারণ ইচ্ছে,ঝরে যাবো রোজ রোজ,
কান্না লুকিয়ে কিনবো নতুন আবেগ,যখন রাখবে না কেউ কষ্টগুলোর খোঁজ।-
বৃষ্টি তুমি স্পর্শ করো, তার হৃদয় খানি।
যে মানুষটা রয়েছে এখনো, অনেকটা অভিমানী।-
মুহূর্তরা কী আবারও তোমাকে ফিরে পাবে কোনোদিন
তোমার ভিতর ঘরে, কোনোদিন কী ছিল আমার স্থান?
নাকি শুধু ছিল আমাদের মাঝে একরাশ শূন্যস্থান...
মুখের হাসিটা অভিনয়, সেটা এখন বোঝে ফটোফ্রেম
সম্পর্ক-টা আপসে চলছে, আর সবাই ভাবে প্রেম!
অভিমানের পড়ন্ত প্রহর কবে হবে শেষ,
বোবা অভিযোগেরা কবে পাবে তাদের ভাষা
অভিমানী শহরে কবে ফিরবে ভালোবাসা?
তবে বদল এসেছে সবটায়, বসন্ত পায়নি তার পরিণতি
অবহেলার গভীর রাত্রি গ্রাস করেছে ভালোবাসার বসন্তকে
যে ছিল একসময় তোমার প্রেমিকা... আজ সে হয়েছে অপ্রেমিকা!
সম্পর্কও টেনেছে তার যবনিকা...
তোমার ভিতর ঘরে এখন অন্য বসন্তের অধিষ্ঠান
কিন্তু তোমার অন্তর এখনো আমার একার বাসস্থান!!-
অভিমানী ছন্দ বদলায় দৃশ্যপটের বাহুমূলে,
বয়ে চলে অবিরাম, যাত্রা পথে কমার ভুলে।
সেমিকোলনে প্রতিবাদী, বিহ্বলতায় উদ্ধৃতি,
জিজ্ঞাসা চিহ্নে আটকে থাকে কবিতাদের সম্মতি;
সম্বোধনে একলা হওয়া, পূর্ণচ্ছেদে সমাধি।
শব্দদের খুনের পরেও, কলম নামক তরোয়াল থাকে নিরপরাধী।-