তাকিয়ে আছে সে এক অপরূপ রূপে।
মেঘ নিজেকে সামলাতে পারিনি,
খন্ড বিখন্ড হয়ে দিয়েছে শপে।
ফোটা ফোটা বৃষ্টি ছপ-ছপ-ছপ।
যেন কোন সংগীত তাল
একটাই সুর, 'টপ-টপ-টপ'।
মাধবী দুই হাত দু'পা
বাড়িয়েছে, মাথা দোলাচ্ছে।
তার কাঠি দেহ হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছে।
লতাপাতা বাড়িয়ে দিয়েছে
এখন রূপের গন্ধ মারছে।-
অবলীলায় সাক্ষী থেকে, কাটাই ক্লান্ত দুপুর,
শ্যাওলা জলে ভিজিয়ে পড়ি মাধবীলতার নুপুর।।-
মালতীলতায় জড়িয়ে ছিলাম তোর ভালোবাসা
বেদনার নীল সুর যাতে ছিন্ন করতে না পারে আমার ভালোবাসা ।
ফুলের পরাগ রেণু মিশিয়ে ছিলাম ভালোবাসায়
আমাদের ভালোবাসার কাছে মধুমালতীর মিষ্টতাকে পরাজিত করতে ।
ভালোবাসার নীল অপরাজিতা ছুঁইয়ে দিতে চেয়েছিলাম আমার ভালোবাসার আকাশে।
গোলাপের লালে রাঙিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম ভালোবাসার দিনগুলি ।
কিন্তু ....................
ভালোবাসার মালতীলতায় জড়িয়ে রাখতে পারলাম না তোমায় ।
ভালোবাসার বৃষ্টি হয়নি আমার শহরে ।
তাই হয়তো শুকিয়েছে মাধবীলতা ।
চোখের জলের জিয়নকাঠী ছুঁইয়ে দিতে চেয়েছিলাম ।
অনুতাপের ক্ষরা তাপে চোখের জল বাষ্প হয়ে ঝরে পড়ে অসময়ী বৃষ্টি হয়ে ।।।।।
-
যদি বনলতা হতাম ,
তোমাকে জড়িয়ে নিতাম ।
যদি মাধবীলতা হতাম ,
আঁকড়ে ধরে ছেড়ে দিতাম ।-
মনে পড়ে সেই প্রথম দেখা,
হাতে মাধবীলতা,
চোখে অল্প লজ্জা।
কাঁপা কাঁপা ঠোঁট নিয়ে,
উগরে দিলে ভালোবাসার কথা,
আমার তরে।
আবারও চাই ফিরে আসুক সে দিন,
মাঝের সময়টুকু নাহয়
স্মৃতিপটে হোক ক্ষীণ।-
আমি বেলা নই , মাধবীলতা ।
অনির্বাণ বলছো ?
অপেক্ষায় নেই জানো .....
জানতাম বারণ ।
-
মালতীলতায় জমে থাকে,
আশীর্বাদী গা।
ফুলের গন্ধে ও ধর্ষন হয়,
যৌন আকাঙ্খা।
নষ্ট না হোক্, ওরাই দামী,
রাতপরীদের ঘ্রাণ;
পথের ধারে সিক্ত শরীর,
তাতেই লজ্জাবতীর দান।
মাধবীলতা ! মাধবীলতা!
তোমার, কষ্ট নিতে চাই;
আবেগ মোড়েই, উষ্ণ শরীর,
প্রেম হলোনা তাই!
-
খোলা জানলা, হালকা বৃষ্টির ছাঁট, হেডফোনে রবীন্দ্রসঙ্গীত ,পুরোনো অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়
-