অধিকার শেষ হলে মানুষ রাস্তা খোঁজে, অজুহাত খোঁজে,
ভুল বার করে- দোষারোপ করে।
উপকার শেষ হলে মানুষ আপনার সার্মথ্য খোঁজে,
দোষ খুঁজে উল্টেপাল্টে - ভুলে যায়।

মানুষ যতটা মানুষের পছনে পড়ে..
ততটা অধিকার থেকে উপকার করে না।।

-

কত নীল লাল চোখের চোখরাঙানি
মনে পড়ে বলেই টোটোয় উঠে গেল প্রান্তিকা।
শেষ সেই দেখা- শেষ ঝগড়া
রোদে পোড়া ছেলের শ্যাওলার ন্যায় উদ্দাম বেগে ছুটে যাওয়া।
বেগ বারার আগেই হাজির ঠান্ডা বোতলের জন্য একটা হাত
নীল চোখ ছলছলে মুখ কখনো মিথ্যে হতে পারে না -
ভাবতে ভাবতে খেতে বসে সদ্য রোদ কেটে আসা ছেলেটা,
প্রান্তিকাও লাল চোখ নিয়ে বরফ ঘরে ক্যারাম সন্ধ্যা
একটা সন্ধ্যা
একটা বড় সন্ধ্যা -
গ্রাস করেছে চোখ রাঙানির নতুন মুখ
আর ছেলেটি ভাবে দুর্বল একটা সময় তাকে ডাকছে,
কত নীল লাল চোখের চোখরাঙানি তাকে নাচ দেখায়
ঝগড়া করে- অভিমান-অভিযোগ আর আদর
একটা অনেক বড় সন্ধ্যা -এমন যা
একটা নতুন মুখ ঢেকে দিয়েছে রোদে পোড়া ছেলেটিকে।
ছেলেটি দুর্বল- ছেলেটির ছলছলে মুখ- নীল আর নীলকন্ঠ।।

-

সম্পর্ক না থাকা মানেই আমাদের শেষ
পাল্টে যায়, গেছে, যাচ্ছে বলে কিছু হয় না
ঘরের যে কোণে বসতে ভালোবাসতে তুমি- এখন সেটাই আমার
পথে পড়ে সম্পর্কের টানাটানি ঘড়ি,
পছন্দের জায়গা পছন্দের মানুষ পছন্দের রঙ
পাল্টাতে পাল্টাতে মানুষ নিজে পালটে যায়।
ফিরে যেতে কতটা সম্পর্ক লাগে জানো..?
ঘরের যে কোণে বসে গান করতে, নাচতে -
মা-এর পড়ে আমার প্রিয় কৃষ্ণচুড়া।।

মানুষ যতটা পাশে থাকবে বলে ততটা থাকে না
সম্পর্ক যতটা আছে বলে ততটা কাছে টানে না

আমি পালটে গেছি,
ঘরের এক কোণে বসে সম্পর্ক নিয়ে রোজ নাচ দেখি তোমার।।

-

একটা কষ্টের ঔষধ হাসি,
একটা হাসির ঔষধ একটা মুহুর্ত,
একটা মুহূর্তের ঔষধ একটা মানুষ,

আর,
হাসতে হাসতে একটা মানুষই কষ্ট দেয়।
একটা কষ্টই, একটা মানুষ-কে -
একা একা বাঁচতে ও হাসতে শেখায়।।

-

দিন দিন খুব ওভার হাইপ হয়ে পড়ছি
মানসিক ভাবে দুর্বল দেখাচ্ছে রোজ-
চেচিয়ে উঠি ঘুমের মাঝে -অনেকটা তুমি চাই।
এই রোজ রোজ নামাজের মতো পালন করে ভালোবাসা যায়?
মানসিক ভাবে দুর্বল হলে মানুষ ' ভালোবাসে '
ভালোবাসলে মানুষ স্বার্থপর ও একা হয়ে যায়-
যে একা তার কোনো শত্রু ও শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে না
যার শত্রু ও শুভাকাঙ্ক্ষী নেই তার কাছে ভালোবাসা নেই।

ভা লো বা স লে ' মানুষ ওভার হাইপ হয়ে পড়ে-
ভুল বকে, দুর্বল হয়ে পড়ে শত্রু ও শুভাকাঙ্ক্ষী-র কাছে।।

-

ডাকবাক্সে পড়েছে ধুলো মন পুড়েছে ঋণে
তোমার ঘরে তুমিই দোষী, এই বদলে যাওয়া শ্রাবণে।
তুমি বেদুইন..
তুমি পথচারী..
তুমি ঠিকানা ভুলেছো পরিযায়ী চোখে-
ঋণের ভারে খুঁজেছ নতুন আকাশ।

শ্রাবণ শেষে ভীড় কাটিয়ে পুরনো রাস্তায় দেখা হলে
একগাল হেসে বুঝিও 'ছবি - দেখা, আঁকা, আর তোলার' মাঝে তফাৎ কোথায়।।

-

সুখী আছেন..!


জীবনের ঠিক কি করলে, পেলে মনে করবেন!

-

খুচরো ভালোবাসা নিয়ে দর কাষাকষি
ভালোবাসাকে আগলে রাখার দায়িত্ব অনেক।
আমরা একচোখো হয়ে হয়ে পড়ি ভীড়ের মাঝে-
না চাইতেই পেয়ে যাওয়া জিনিস আর ভালবাসা
এক সব এক
হুড়োহুড়ি করি - প্রশ্ন করি- ভয় পাই -বুক কেঁপে ওঠে।
আসলে,
জীবনতো আর দরকষাকষি তে চলে না!
সব দায়িত্ব শেষে ভীড় কাটিয়ে বাইরে এসে
যখনই ভাববে বেঁচে গেলে - আসলে মৃত্যুই বেঁচে যাওয়া।

দরকষাকষি শেষ হলে,
বুঝতে পারি হুড়োহুড়ি,প্রশ্ন-,ভয় পাওয়া, বুক কেঁপে ওঠা ক্ষনিকের।।

-

শেষ দেখায় আমি তাকে দেখেছিলাম
দেখেছিলাম গোধুলির আলো, একটা হাসি একটা ভয়
দেখেছিলাম প্রকৌশলী হাঁটাচলার বাহু বন্ধন-
একটা রাস্তা একটা বাস একটা চোখ ছলছলে মুখ।
এই শেষ পরিক্ষা ছিল ওটা- তুমি ফেল করলে
দোষারোপ দিলে, কান্না করলে -শুনলে
আত্মবিশ্বাসি হলে অন্য মানুষের উপর
এটাই শেষ কথা- রেখে দিতে পারলে থেকে যাবো।

দিনের শেষে জীবনের শেষ কথাগুলো ভাবতে ভাবতে
কখন যে আমরা দু'জনেই শেষ হয়ে গেলাম মাঝ রাস্তায়।।

-

কথা হোক আমাদের
শুধু 'কথার কথা' বলো না

-