বড়োদিনের বড়োগল্প(বাকিটা ক্যাপশনে)
-
না না,একটা মেয়ে নয়—
হয়ত অনেক মেয়েদের ই গল্পগুলো..
একই ছকে,সমান্তরালে গাঁথা।
কাব্যে, গ্রন্থে,পুরানে, কবিতায় নারী
আজও দেবী রূপে বর্নিতা।
আর রূঢ় বাস্তবে,সে অবলা,উপেক্ষিতা,নির্যাতিতা।
একটি মেয়ের গল্প বলতে গিয়ে...
অনেক মেয়ের গল্পগুচ্ছ বলি হায়..
ছোটোগল্প নয়,উপন্যাস রচে যায়।
যারা আজও ৮ এ ই আটকে
নারীদিবসের শুভেচ্ছায়,
বছরের বাকি সোনালি দিন গুলো
নির্যাতনে আর অবহেলায় কালিময়।
এই নারীদিবস না হয় তোলা থাক ওই দিনটার জন্য..
যেদিন নারী শুধু ৮ এ ই আটকে থাকবে না।
সংরক্ষণ নয়,সাম্য চাই।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস গর্জে উঠুক সোচ্চারে।-
জীবনের রংতুলি হয়ত সবটাই মেকি,
সাদা কালো স্মৃতিরাই থেকে যায় বাকি।
রক্তগোলাপের সাজ তোমদেরই থাক,
অামার অাঁচলে কাঠগোলাপই লুকিয়ে রাখি।-
টকটক ঠকঠক বাসনের ঝনঝন,
সাতসকালে উঠে মাথা করে বনবন।
অফিসের তরকারি হোমটাস্ক দরকারি,
মা করে ছুটোছুটি ঝটপট তাড়াতাড়ি।
অফিসের প্রোমোশন, পড়াশোনায় প্রথমজন,
গাড়ি ঘোড়া ছুটছে জোরে,ছুটছে জোরে মানুষজন।
ইদুরদৌড়ে ছুটছে জগৎ ঝাপসা হচ্ছে শৈশব,
মেঘের ভেলা ঘুড়ির মেলা, মাঠের খেলা কই সব?
কেরিয়ারের কচকচানি,অজান্তে ফুরোয়ে জীবনবেলা,
প্রত্যাশার চাপে স্বপ্ন গুলো লুকিয়ে বাঁচে একলা।
গল্পদাদু আচার দিদা আজ বৃদ্ধাশ্রমে বন্দী।
আধুনিকতার মোড়োক শুধুই শৈশব হারানোর ফন্দী।
ক্যানভাসে ওই স্বপ্নরঙিন ছবির মেলা মুছে যায়,
ইউনিট টেস্ট আর অনলাইনে ক্লাসেই দিন যে কাবার হয়ে যায়।
ইদুরদোড়ে ছুটতে ছুটতে,আর কবিতা লেখা হয় না,
অংকের হিসেব মেলাতে গিয়ে নতুন সুর রচনা হয় না।
স্বপ্ন হারানো শৈশবরাও কোনো একদিন বড়ো হয়।
নতুন কিছু মানুষ নয়,মানবমেশিন তৈরি হয়।
-
শান্ত স্নিগ্ধ নয়,নাম না জানা দামাল দস্যি খরস্রোতা।
তোকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবো অজানার সন্ধানে,
পাহাড়ি পথের আঁকেবাঁকে,বুনো ফুলের ঘ্রানে।
তুই হবি আমার পাহাড়ি ঝর্না?
ঝংকারে ঝরে পড়বি স্রোতোস্বিনীর বুকে?
কানে তালা লেগে যাবে ঝর্না নদীর শব্দসুখে।
প্রবাহমানের শব্দগর্ভে যত্নে লুকোনো ভালোবাসায় ,
ঝর্না আবার রচবে ঠিকই,অপূর্ণ প্রেমের শেষ অধ্যায়।
এক জীবনে নাই বা পেলাম,ভালোবাসার পূর্নবাসর
পরের জীবনে অপূর্ন প্রেমে তুমিই হবে আমার দোসর
এক জীবনে নাই বা হলো
তোমার আমার আলোর সংসার,
পরের জন্মে পাহাড়ি ঢালে
তোমায় তন্য করে খুজে নেবো।
এক জীবনে নাই বা হলো
একসাথে পথ চলা,
পরের জীবনে ঝর্নাকে ঠিক
নদীর বুকেই মিলিয়ে দেবো।-
রাতের শেষে ভোর হয়
চৌকাঠে জল ছিটোই,
কাজের ফর্দতে চোখ বুলোই ব্যাস্ততায়।
ভীড়ের মুখ হয়ে মুখ লুকোই শহরের গতিময়তায়।
অনুভূতি গুলো থেকে যায় জং ধরা মনের দেরাজে বন্দী।
অপূর্ণ ইচ্ছে গুলো ছাইচাপা পড়ে দায়িত্বের আগুনে।
আমি শুধু ভোরের অপেক্ষায় দিন গুনি।
দিনের শেষে আবার দিনের শুরুর সময় গুনে যাই।
দিনের শুরু হয় ঠিকই,ভোর হয় না।
ভোরের গল্প শুনে যাই।
জীবন চলে ঠিকই,বাচা হয় না।
গল্পটা বাস্তবের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত..
রূপকথা হয় না।-
একদিন মুছে যাবে গ্লানি।
হয়ত মুছে যাবে অনেক স্মৃতি, অনেক সম্পর্ক,
হয়ত মিলিয়ে যাবো আমি।
তবু নিকষ কালো আকাশের বুক চিড়ে,
নিশ্চয়ই রং ফুটবে আসমানী।-
হাতটা রক্তস্রোতে রঙিন হবে,
হৃদয় ক্ষত দগদগে হবে,
শুধু রক্তের দাগ থাকবে না।
বুকের পাশে হাত দিয়ে রাখো,
হৃদয় ভাঙার নিরব গর্জনে
হৃদস্পন্দন মিলিয়ে যাবে
শব্দ শুনতে পাবে না।
ভালোবাসা খুজতে গিয়ে,
মরনবাসায় ফুরিয়ে যাবে,
তবু সুখের কেল্লা পাবে না।
বুকের পাশে হাত রেখে দেখো,
শুধু ধংসের নিরব গর্জনে
হৃদস্পন্দন শুনতে পাবে না।-
বৃষ্টি জানে ঠিকানা,
মনের চিলেকোঠার ছাদে।
বৃষ্টিস্নাত শরীর জুড়ে
অদৃশ্য এক জলচ্ছাস।
বৃষ্টি জানে কোন গোপনে
মনকুঠুরির নিভৃতবাস।-
এ সুখের নাম মেঘপিওন।
ধবল মেঘের ভেলা,
আকাশকে আগলে রাখে সুখে।
দুঃখের বৃষ্টিসুখ,
মেশে পৃথিবীর বুকে।-