অনুভূতির কোনো ঠিকানা নেই যাযাবর জীবন তাদের,
যত্রতত্র ঘুরে ঘুরে কখনো মনের ফাঁকে মাঝে মাঝে উঁকি দেয়, তো আবার মাঝে মাঝে
একদম মনের সবটা জুড়ে জেঁকে বসে।
সে যে বড়ই চঞ্চল,
বহুরূপীও বটে, ক্ষণে ক্ষণেই সে তার রূপ বদল করে;
দেয়ালের আনাচ- কানাচে হোক বা দমকা হাওয়ায় ঝড়ে পড়া বেলী ফুলের সুমিষ্ট গন্ধ- সর্বত্রই তার যাতায়াত বিদ্যমান।
কখনো সে দুম করে মনের অগোচরে ঢুকে অট্যহাস্যে হাসিয়ে দিয়ে চলে যায়,
কখনোবা উচ্চস্বরে ক্রন্দনরত হয়ে দুঃখের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
শান্ত মনে আচমকাই প্রবেশ করে হঠাৎই অভিমানের গান শুনিয়ে চলে যায় অন্য এক আঙিনায়;
সঙ্গীহীন, একাকীত্বের মাঝে গোপনে,মনের ভেতরের রঙিন প্রাণকে চুম্বন করে
ঘটায় সুখানুভবের উপক্রমণিকা।
ঠিকানাহীন অনুভূতি মেলে-
অস্তরবির আভায়, বৃষ্টির ফোঁটায়,ডায়েরির পাতায়, গোলাপের কাঁটায়, নদীর কিনারায়, জ্যোৎস্নার মাধূর্য্যে, স্নিগ্ধ গ্রামের ঠিকানায় বা কোলাহলমুক্ত শহরে....... সর্বত্র।
আসলে ,যতই সারাদিন বাস্তবতার মুখোশ পড়ে ঘুরে বেড়ানো হোক না কেন,
দিনশেষে নিজের অজান্তেই আমরা
অনুভূতিকে আলিঙ্গন করি, আশ্রয় খুঁজি অনুভূতির কোলেই।
-