বড় কবিতা ও গদ্য কবিতা যা লিখেছি, পরবর্তীকালে বুঝেছি সেগুলি কবিতাযোগ্য হয়নি। তবে সে কবিতাগুলোর ভিতর যেই চিন্তা-ভাবনা ছিল সেগুলি বাছাই করে লিখেছি অসংখ্য ছোট লেখা/অণুকবিতা। ফলে বড় কবিতা ও গদ্য কবিতার চিন্তা-ভাবনাগুলো বেঁচে আছে আমার অণুকবিতার অসংখ্য খন্ডে।
আগেই বলেছি সময়ে পেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পেরেছি আমি ছোট লেখা/অণুকবিতা ছাড়া তেমন কিছুই লিখতে পারিনা। পারব না। একান্ত কোনো কথা বা ভাবনা প্রকাশ করার খাতিরেই মাঝেমধ্যে বড় কবিতা ও গদ্য কবিতার আশ্রয় নিয়ে থাকি। হাতেগোনা বড় কবিতার মাধ্যমে একপ্রকার কৃতজ্ঞতা জানাই নিজেরই কবিতাচর্চার পূর্বভাগের সময়টিকে।
পুরোনো বহুপ্রচলিত কথা আছে- সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় লেখা তেমন কেউ পড়ে না। নেটদুনিয়ায় ছোট লেখা পাঠক পড়ে বেশি। (বলা ভালো- ছোট লেখার ভাইরাল হাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।) কথাটি আংশিক সত্য। কারন, বর্তমানে নেটদুনিয়ায় ভালো লেখা মানুষ সময় নিয়ে পড়ে। সে বড় হোক কিংবা ছোট। ফলে ছোট লেখার পাশাপাশি বড় লেখা পড়ার প্রবণতা নেটদুনিয়ায় বেড়েছে। যা আমাকে ক্রমাগত অনুপ্রাণিত করছে বড় লেখা লিখতে।
(** ফেসবুক-ই একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে বাংলা সাহিত্য চর্চা সবচেয়ে বেশি। ফলত, সমগ্র পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছি ফেসবুকে বাংলা সাহিত্য চর্চার গতিবিধি থেকে।)
-