ঘষলে মধুচাক, চকমকি হাত আগুনের মন পড়ে,
তুলে দিও মর্সিয়াশীত গোপন দাবানলে।
জন্ম সাতেক জমবে ছায়া- রঙিন ধুলো,
আবাহনের মন্ত্র শুধুই তোমায় ছুঁলে।
নাভির নীচে খানিকদূরে, অল্প ফুঁয়ে শঙ্খ উড়ে,
ডুবিয়ে নিলো তোমায় কেবল পুণ্যিপুকুর জলে।
খুঁড়ছে শরীর ষোলকলা, ঠোঁটের ঢালে আদর ঢালা,
মধ্যমাতে সেলাই করা অন্ধপ্রজাপতি, দংশিত কলারতি।
উথালপাতাল রেশম-বদ্বীপ, জন্মদাগে বকুল আর তিল,
তোমার শেকড় অন্তবিহীন, বিরহই বিরতি।
জোনাকবাঁধা পদাবলী, খুলবেনা আর ব্যথার ঝুলি,
তোমায় জমায় শব্দঋণে মুখচোরা অনুভূতি।
ভাঙাচাঁদে টিপ পরিয়ে, ফুটলে তুমি দিন গড়িয়ে,
চোখেতে পোষ মানলে সাগর, বুকেতে সুনামি।
উঠলো ভেসে জীবনখানি নক্ষত্রশৃঙ্গারে,
অর্ধতরল জ্যোতি, উর্বর সে দেহভূমি।
বিসর্গতে নিঃস্ব কবি, বিসর্গতেই দুঃখ ফোটে,
কবিতা পেল রজঃস্বলা নাভিপলাশ, অন্তর্যামী।
-