তবুও প্রেমের অমল জলে আমি এখনও বিশ্বাসী পবিত্র তো হতেই হবে প্রতিজ্ঞাতে ভালোবাসি। যতই কলুষ হও না কেন, এক রবে না চিরদিন দিনের শেষে ফিরতে হবে, থাকবে কী আর গৃহহীন ? এই পৃথিবী জঘন্য খুব অপ্রেমঠাসা প্রতিমনে! প্রিয় তোমায় শুদ্ধা করি একটি স্নেহ চুম্বনে।— % &
নিঃস্ব মানুষটি হঠাৎ করেই উধাও হলো কোথায় কুড়েঘরটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল কবে... উঠোনে একটি উনুন ছিল তার, যা কিছু পেত, ওখানেই বানিয়ে নিত তার জীবনের রসদ।
লিলি-জঙ্গলে অগম্য হয়ে উঠছে, ওদিকে আর কেউ যায় না । আজও মাটির বুকে ওই উনুনের মাটিপোড়া কালো ছাপ দেখলে মনে পড়ে, এইখানে কেউ একদিন পরম মমতায় আগুন জ্বালিয়েছিল।
ওগো প্রিয়, ওগো প্রেমানন্দময় কেন ক্ষণিকেই এ মন এমন হয়? কিছুতেই কিছুতে আর লাগে না কো মন ম্লান মনে হয় সব বেকার ভূবন! পুরোনো মলিন প্যাস্টেল পট তরুতল ,আঁদাবন ,কচি ধান , বর্ষার বট ভেবেই পাই না কিসে ; কলমির জলে মিশে থাকে এত গন্ধ এই বাংলায় কী খুঁজে পায় জীবনানন্দ !
মেঘের নিঠুরতা কেটে যদি রোদ আসে মনে হয় যেন জোর করে হাসে আমি তার থেকে অনেক স্পর্শহীন রোদ্দুর হয় গো মলিন।
যে পাখিটি বসে আছে মাছের মৃত্যু খাবে বলে তাঁক ধরে থেকে বিলের ঘোলাটে জলে তার পালকের দেহে জীবনের কোনো বেগ কোনো গতি আমার দৃষ্টির পায়নিকো মতি।
বিষাদের কোনো এক জীব হৃদয়ের ঘরে মনমরা হয়ে তার দেহ আছে পড়ে।