শান্তি খোঁজে ছেলেটা,
তাই হয়তো ফ্লাইওভার থেকে তোমার দিকেই তাকিয়ে থাকে, টাই এর বাঁধন হাল্কা খোলা..বিশাল তাপে চোখ ঝলসে যায় তবু তাকিয়েই থাকে..
রাতের আকাশে তারা দেখতে দেখতে একটা চলমান তারা দেখতে পায় ন'বছরের ছেলেটা,,
আরে না না ওটা তো এরোপ্লেন..
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে ছেলেটা,
আকাশের দিকে যেখানে ফুটকি হয়ে মিলিয়ে যায় প্লেনটা..
মায়ের প্রেসার, বাবার Heart Operation, ওষুধ, বোনের বিয়ে, ভালোবাসার মানুষের ধোকা.. মেয়েটা আজ অনেক বড় হয়ে গেছে,
তাই হয়তো ওর কোন ওষুধ লাগেনি, শুধু জল ঝরে পড়েছে আকাশ থেকে..
পুড়তে পুড়তে একসময় পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় দেহ..আত্মীয়-স্বজন গুলো বুক চাপড়ে কাঁদে..
কিন্তু মিশবে কোথায়? তোমার কাছেই না?
দামি ডিএসএলআর এ একটা ছবি তুলতে হবে তো!,,..ওই কোনটায় দারুণ কালো মেঘ জমেছে,, ছেলেটা আকাশ দেখে..
ফুটপাতের ভিখারি গুলো বাসনপত্র নিয়ে ছোটে, আজ কোথায় মাথা গুজবে??
হ্যাঁ তারাও আকাশ দেখে..
কখনো ব্যস্ততায়,কখনো অবসরে, কখনো জীবনে, কখনো স্বপ্নে, কখনো একচিলতে,আবার কখনো পুরোপুরি ভাবে,,এই ব্যস্ত শহরে নিয়মিত তোমার চিঠি আসে..
উত্তর পাবে কিনা জানিনা,,
তবে সমস্ত রাগ, দুঃখ, ব্যথা,বেদনা, কষ্ট, ইমোশন, মনের খুব সন্তর্পনে রাখা সেই গোপন আড়ালটা আজও তোমাকেই দেখে..
শান্তির হাত বাড়ায় তোমার দিকে..
--সুপর্ণা মুখার্জী
— % &
-