QUOTES ON #DOKAN

#dokan quotes

Trending | Latest
1 JUN 2018 AT 18:39

বসুন্ধরা ভাণ্ডার

জানি তোর একটা দোকান ছিল!!
এক ঠোঙা রোদ,কিছু বৃষ্টির বাক্স,ছোট প্যাকেটে শীতের দুপুর, জোছনা মাখা চাঁদ আর সবুজ গাছের সাজানো বাগান বিক্রি করতিস।
তোর দোকানে তখন শান্তির লজেন্স বিক্রি হতো দু-আনায়।
মনে পরে??
আহত পাখির পালক বেঁচতিস তুই,
কত গলদঘর্ম ধুলো সাজানো থাকতো তোর দোকান জুড়ে,হাঁ করে গিলত ওরা সবাই।
কষ্ট তখনো ছিল,জল তখন বিক্রি হতো না..হাসির জল রাখাই থাকতো দোকানের ধারে কলসিটাতে। কত রং-বেরঙের মন-ভোলানো আড্ডা বসতো, দোকানের চাতালে।

তারপর কত যুগ পেরোলো, তোর দোকান এখন রমরমিয়ে চলে!

[বাকিটা ক্যাপশন-এ]
--দয়া করে পুরোটা পড়লে খুশি হব!

-


14 MAR 2018 AT 10:43

- আপনার দোকানে দারিদ্র আছে?
- আছে বইকি! দারিদ্র,ফেমিনিজম্,রাজনীতি,বস্তাপচা গনতন্ত্র সব আছে,ক্যাটালগ্ টা দেখুন না খালি। 
- আর ভালোবাসা?
- ভালোবাসা নেই,তবে হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসাটা আছে, নেবেন নাকি? সস্তা করে দেব!
- না থাক। ও আছে অনেক। 
- তো রক্ত নিয়ে যান না দু এক পাতা! একদম টাটকা। মাছি পর্যন্ত আসেনি এখনও। আরে যেখানেই পাঠাবেন পুরস্কার বাঁধা। রক্ত এখন ট্রেন্ডিং এ যাচ্ছে মশাই। 
- বাহ্, খুব ভালো, খুব ভালো, দিয়ে দিন এক দিস্তা রক্ত। জমিয়ে লিখি গল্পটা।
বলছি দাদা, বেশ কিছু সময় ধরে একটা পচা পচা গন্ধ পাচ্ছি, এটা কিসের? 
- বড্ড প্রশ্ন তো আপনার।থিম্ কিনতে এসেছেন, কেনা হল, এবার আসুন। 
- তবু একবার যদি বলেন। 
- ওই ড্রয়ার থেকে আসছে গন্ধটা। ওখানে এক কৌটো অক্সিটসিন, দু চারটে পায়রা, গোটা পাঁচেক হৃৎপিন্ড, আর একগোছা পদ্মফুল আছে, সবই মৃতপ্রায়, অনেকদিন আগে তুলেছিলাম ওসব, বিক্রী হয়না আজকাল আর।।

-


13 MAR 2018 AT 14:53

শ্মশানের পাশেই আমার ছোটো একটি ফুলের দোকান|বেশ ভালোই হয় রোজগারপাতি|আরও যেটা হয় সেটা হল অভিজ্ঞতার সঞ্চয়|প্রত্যেক দিনই কারো না কারো স্বজনবিয়োগ ঘটছে|দুঃখে,যন্ত্রণায় নুয়ে পড়া মুখগুলো যখন নিজেদের কাছের মানুষগুলোর জন্যে শেষবারের মতোন ফুল কিনতে আসত,তখন আমার খুব কষ্ট হত|তবে সেটা প্রথম প্রথম,এখন অবশ্য আর খারাপ লাগেনা|এখন বুঝতে পারি দাহ হয়ে গেলেই সব শেষ|গঙ্গায় স্নান করে কেবল যে সবাই নিজেদের শুদ্ধ করে তা নয়,মন থেকেও ধুঁয়ে ফেলে মৃত মানুষটির সমস্ত সংসর্গ|তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় নিজের গন্তব্যের দিকে|মাঝে মাঝে ভাবি,সত্যি কী নিষ্ঠুর পরিহাস সৃষ্টির!আজ যে অন্যকে দাহ করতে আসছে ,আমার দোকান থেকে ফুল কিনছে; একদিন তার জন্যেও কেউ শবদেহের খাট সাজাবে,ফুল কিনবে,পুড়ে ছাঁই হয়ে যাবে তার নশ্বর দেহটা|অবশ্য এই প্রতিদিনের মৃত্যুমিছিলেই আমাদের মতো শ্মশান কর্মীদের জীবনধারণের সহায়ক|শুধু তাই নয়,যে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েগুলো মরার ফুল,জামাকাপড় জোগাড় করে আবার তা বিক্রি করে;তাদেরও নতুনদিনের আশা এই মৃত শরীরগুলো|মৃত্যকে কেন্দ্র করেই আমরা বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি;মৃত্যুর জন্যই আমরা দোকানের পসড়া সাজাই,জীবনেরও........

-


13 MAR 2018 AT 13:22

তোমায় সেদিন দেখেছিলাম;
ফিকে হয়ে যাওয়া বসন্তের অন্তিম লহমায়।
যেখানে কৃষ্ণচূড়ার আগুন মিলিত হয়
শরীরের লোহিত কণিকায়,
পলাশ ফুলের সুপ্ত সুবাস আমায়
মোহিত করেছিল অকস্মাৎ!
বুঝিনি,
চার অলিন্দে তুমিই বৃষ্টি নামিয়েছিলে হঠাৎ।
তোমার চোখের বাঙ্ময়তা রচেছিল,
প্রেমের বিনি সুতোর টান,
আমার ঠোঁট প্রেম বোঝেনা,
শুধু জানে সেটা নিছকই সরল বানান।
তোমার কথায় ছিলনা, দোকানের সস্তা গোলাপের সুরভি,
ছিল মহুয়ার মাদকতা মেশানো
বোহেমিয়ান কোনো এক অ-কবি।
তবু আমার কলমের দিগন্ত রেখায়
তোমার ছবির নেশা,
তোমায় সেদিন দেখেছিলাম; নিদ্রাহীন অলক্ষ্যে।
বাস্তবের তুমি, 'আজও দেখা না দেখায় মেশা'।।
- Quote Deb's


-


13 MAR 2018 AT 20:56

ছেলেবেলার খাতায় আঁকর-বাঁকর
ইচ্ছেদোকান বন্ধ,
রঙিন গুলির পাঁচমহলায় ফিরলে
অতীতটুকুই প্রাণবন্ত।

-


13 MAR 2018 AT 22:37

অনেক পথ ঘুরেছি আমি।
যখন নীল কালো সাদা মাথার ভিড়ে,
তামাটে হয়ে যাওয়া বিকেলের ত্বকে
আর শীর্ণ হয়ে যাওয়া স্রোতের পাড়ে
আঁজলা ভরে তাকিয়ে থাকে বসন্ত;
শুধাই তারে, তুমি সখা হবে?
হাঁটব আমরা অমলিন,সময় অনন্ত।
সে কৃষ্ণচূড়ার লাল সাজিয়ে বসে,
কোকিলের তান তার ঠোঁটের আভাসে।
বুঝি, সে অনেক ব্যস্ত।
সবে শুরু বেচা কেনা,
বাক্যব্যয়ে সময় নষ্ট।
এক এক করে সব রঙ স্পর্শ করি,
নিয়ে চোখে অনেক অব্যয়।
হেসে দূর করে দেয় আমার সব চিহ্নের বিস্ময়!
কারণ সে স্বপ্নের বাজারি।
বলি, ভালোবাসা হবে? কত নেবে দাম!
একমুঠো পলাশ রাঙা গোধূলি পেলাম আমি উত্তরে,
আর কয়েক টা নাম।
তারাও আমারি মতো হেঁটে চলেছে, অনেক বসন্ত ধরে।।

-


13 MAR 2018 AT 12:55

ধনে-মানে-যৌবনে হতেই পারো বড়োলোক,
জগতজুড়ে তোমার নামে যতই জয়ধ্বনি হোক,
দিনের শেষে মনে করাই সেই কথাটি আরেকবার,
তুমিও জীবন চৌমাথাতে মনোহারী দোকানদার।
তোমার ও মন ঝাঁপের তলে ব্যবসাদারের রক্ত বয়,
তুমিও করো সওদা, শ্রেষ্ঠ জিনিস বেচার অভিনয়।
পৃথিবীকে যা বেচে আজ মোহর কটা গুনে নাও,
তুমিও জানো নয় সে খাঁটি। জানো কাকে ফাঁকি দাও?
সওদা শেষে লম্ফ জ্বেলে দৃষ্টি করো পরিষ্কার,
লাভের খাতা বন্ধ রেখে জীবন-খাতা করো বার।
বুঝবে তখন কোথায় ফাঁকি, কোথায় জমে অন্ধকার,
সুখ কিনেছো কী কী বেঁচে, মনোহারী দোকানদার !!

-


13 MAR 2018 AT 23:27

বয়সের ভারে স্বপ্নের ফেরীওয়ালা এক ছোট্ট দোকান খুলেছিল,বিশাল মাল্টিপ্লেক্সের পাশে।প্রাশ্চাত্য ঘেষা উচ্চাকাক্ষীদের চাহিদা পূরণ করত ঐ মল,আর আশেপাশের উচ্ছিস্টে দল খিদে ভোলাতে ভিক্ষের পয়সায় স্বপ্ন কিনত,স্বপ্নে ডুবত মাদক নেশায়।একদিন ঐ স্বপ্নের ফেরীওয়ালা বিদায় জানালে দোকানী হয় এক ছেলে,বড়োলোকি ঠাটবাটে মুখে লাগে ওর তালা,স্বপ্ন দেখে সে অন্য তালে।
এক গরিব ছেলে পথে বসে দেখে যায় ঐ রকমারি ছয়তলা দোকানের রমরমা।বায়না করে বাবার কাছে, পেতে চায় ঐ রংচঙে জামাকাপড়,খাবারদাবার।গরিব বাবা মেটাতে অক্ষম ছেলের চাওয়া।কেঁদে কেঁদে ফেরে সেই ছেলে।স্বপ্ন দোকানী ঝোপ বুঝে মারে কোপ,ছেলেটাকে সাথে থাকতে বলে,বলে কাজ দেবে যা করলে অনেক টাকা। রাতের আঁধারে চোরাগলির আরও পথশিশুদের নিয়ে ঐ দোকানী শুরু করে এক অজ্ঞাত যুদ্ধের শিক্ষা,শিশুগুলোর নরম হাতে তুলে দেয় কার্তুজ,দীর্ঘ অনুশীলন শেষে তাদের পাঠায় পাশের দেশে,ধ্বংসলীলায় হাত রাঙাতে। বোকা ছেলেটা মাতে খুনের নেশায়, উড়িয়ে দেয় বিরাট হোটেল,বড়ো মল।মৌলবাদী সেই ছেলেটি ধরা পড়ে শেষে,ফাঁসি হয়,ফাঁসির দড়ি গলায়ে সে কেবল বলেছিল'আল্লাহ আমায় মাফ করবে না'।এভাবেই মারা পড়ে ওরা,লোভী দোকানীগুলো চুপিসারে স্বপ্নের নীচে অস্ত্রের দোকান গড়ে,ছড়িয়ে দেয় দেশজুরে,হিংসা বেচে বিনামূল্যে,বারুদের গন্ধে ভরায় যুবকদের ফুসফুস,সন্ত্রাস ঢোকায় শিশুমনে,এরা পড়ে না ধরা,রেহাই পায় আইনের হাত থেকে॥

-


13 MAR 2018 AT 11:04

সম্পর্ক টা শুধু নামেই থাক,
বাড়তে থাকুক দূরত্ব..
অভিমান এর দোকান থেকে,
কিনুক বনাম স্বত্ব....

সে দিন তো শুধু ডাইরি পাতায়,
আর ছেড়া গোলাপের খবরে...
তোর স্বত্তা দিয়ে কেন তোর অভিমান,
জমুক আমার কবরে.....

-


13 MAR 2018 AT 7:49

এঁটো ভালোবাসার চাই না হতে অংশীদার,
স্বভাবসুলভ অবাধ্যতায় ব্যস্ত মানুষের ভিড়ে
স্বপ্ন ফেরি করে বেড়ানোই আমার কারবার....
'স্বপ্ন নেবে গো স্বপ্ন....' হেঁকে ফিরি বারেবারে।

বয়ে গেল বেলা, রইলাম বিক্রির আশায় --
জমল না দোকান, ক্রেতার যে অভাব বড়....
আজকাল রঙিন মুখোশ বিক্রির নেশায়
নিজেকে করছি দেখো কেবল সড়গড়।।

-