বাইরে তখন অঝোর ধারে বৃষ্টি।একটানা "রিমঝিম"এর মাদকতা।জানলার ধারে কফিকাপে মুখোমুখি আমি-নীললোহিত আর মুহূর্তরা।
-আজ কত্তদিন পর বর্ষা এল।এই ঠিক যেমন তুমি এলে,আমার কাছে।আজকাল আর আসো না,তবে আজ এই হঠাৎ বৃষ্টিতে তোমায় পেয়ে বুকের বাঁদিকের কম্পাঙ্ক যে বেড়ে গেছে তা অস্বীকার করব না।
-তুমি যে সাহসী,তা আমি জানি।হয়তো,অনাকাঙ্খিতের স্বাদ এরকমই লেখিকা।তোমার জীবনেও তবে অপেক্ষারা আছে,কী বলো?
-হাসালে নীললোহিত।আমিও যে তোমাদের মতোই মানুষ সেটা ভুলে গেছো কী!এমন বৃষ্টিমুখর দিনে ঝগড়া আর নাই বা করলে প্রিয়।একটা গান শোনাও তো...
-আজকাল সুর ওলটপালট হয় ভীষণ,বাঁধতে পারি না স্বর।কী করে শোনাবো গান লেখিকা?
-এভাবে কাছে এসেও কেন বারবার দূরে ঠেলে দাও নীললোহিত?দূরত্বেরা কী আমার থেকে বেশি প্রিয়?
-তুমি আজও বড় অভিমানী,লেখিকা।বুঝেও বুঝতে চাও না যেন!এসো,আমার বুকের বাঁ পাশটাতে কান দিয়ে দেখো তো,শুনতে পাও তোমার নামের সুর?
-মাঝে মাঝে তোমাকে দুর্বোধ্য লাগে ভীষণ,আবার মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি ঐ বৃষ্টির মতোই নির্মল,সহজাত।তবে,তুমি কেমন নীললোহিত?
-আমি,তুমি ঠিক যেমনটা চাও হয়তো ঠিক তেমনই,লেখিকা।আবার হয়তো তার থেকে বেশি বা কম!
-ধুর,হেঁয়ালি কোরো না প্রেমিক।আমি যে সহজ-সরল ঐ বৃষ্টির মতোই...
-তাহলে,পরখ কোরো না লেখিকা।কেবল অনুভব করো।দেখবে আমি তোমার সবখানে আছি।
তখন দু'জোড়া হাত জড়িয়ে নিয়েছে অস্তিত্ব।বৃষ্টির সঙ্গতেও যেন,"এমন দিনে তারে বলা যায়"...
-