হাসপাতালের কেবিনটা খুব পছন্দ হয়ে গেছে শ্রী-র। প্রায় তিনমাস তো হয়ে গেল, এখানে আছে সে। বিশেষ করে পুবদিকের জানলাটার বাইরে যে বাগানবিলাস গাছটার ডালটা এসে প্রায় ঘরে ঢুকে পড়তে চায়, ওই গাছটাকে তো ভীষণ পছন্দ হয়ে গেছে ওর। অবশ্য নার্স মেয়েটি প্রায়ই বলে জানলাটা বন্ধ করার কথা, কিন্তু শ্রী অনেক অনুরোধ করে ওটাকে খুলে রাখে। ওইটুকুই তো মাত্র জায়গা যেখান থেকে আকাশ দেখা যায়।
কেমন যেন নিজের মনে হয় এই কেবিন টা। ছেলের দামি ফ্ল্যাটকেও কখনো এতটা নিজের মনে হয়নি কখনো। ছেড়ে যেতে বড় মায়া হল শ্রী-র। হঠাৎ দরজা খোলার আওয়াজ শুনে দেখে, একটা বাচ্ছা মেয়ে, শ্রী-র নাতনি মিলির মত হয়ত বয়স, ওইটুকু একটা মেয়ে ভর্তি হয়েছে, এই কেবিনে থাকবে। দেখে বড় মায়া হল শ্রী-র।
ওদিকে মায়ের শবদেহ নিয়ে ততক্ষণ বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে তমাল, শ্রীময়ীর একমাত্র ছেলে। কাল রাতেই মৃত্যু হয়েছে তার মার।
-