নিশ্চুপ সেই সূর্যাস্তের আলো মেখে, গোধূলির শেষ নিঃশ্বাসের শিহরণ অনাবিল হয়েছে যে শেষ লগ্নে, রক্ত আভার সেই পদচিহ্ন ধরে, আমার স্মৃতির রিক্ত অসমীকরণ ছুঁয়ে গেছে দিগন্তের অন্তিম ভগ্নে।
মিথ্যে ছিল জানি, তবু ছিল মনের মতো, মনের মাঝে স্মৃতির কোণে যত্ন করা যত, আলতো হাসি, আর দুখানি কাজলকালো চোখে, ভাসিয়ে ছিলাম তরী আমি, ভালোবাসার বুকে। রাতের পরে স্বপ্নে মেখে, সব কবিতা জুড়ে, রাখবো আমি ভেবেছিলাম, বুকপকেটে ভরে। সেসব শুধু রয়েই গেলো, ধূসর মলাট ঢেকে, ভালোথাকাটাও এখন ঢাকি, মিথ্যে হাসি এঁকে।
না হয় এবার ঝরা পাতা হব, বসন্তের শেষে গোধূলির আলো যখন তোমায় ছুঁয়ে যাবে, হয়তো একবার ঝরে পড়বো তোমার ওপর, না হয় সেই ঝরা পাতাতেই জড়িয়ে রাখবো তোমার স্মৃতি, কিছু না বলা কথা, কিছু না শোনা গান, জড়িয়ে না হয় লিখবো আর একখানা উপাখ্যান; এবার না হয় সেই ঝরা পাতাই হব।
সেদিন আমি আবার ডানা মিলব আকাশে, থমকে যাওয়া নিঝুম, নিস্তব্ধ সেই ভোরবেলা, অলিগলি থেকে হবে আবার নতুন দিগন্তে যাত্রা, না হয় হবে আর এক বার নতুন করে উড়ে চলা।
হয়তো কোনো অজানার পথে, প্রেমিকের মতো, নয়তো বা খুঁজে পাওয়া নতুন কোনো বাসায়, আবার আমি ডানা মিলব আকাশে, নতুন করে, নিজের জন্য জমিয়ে রাখা, নিজের ভালোবাসায়।
হয়তো কোনো দিনের শেষে, সন্ধ্যে নামার পরে, আলোর রেখা হারাবে যখন, সকল অগোচরে, অন্ধকারের চাদর ঢেকে, স্মৃতির সোহাগ নিয়ে, দেখবো বসে স্বপ্ন তোমার, আবেগ ভরে দিয়ে। নুপুর যখন বাজবে তাতে, পুরনো সেই তালে, নয়তো বা সেই স্বপ্ন মাঝে উঠবে আবার বলে, রাত বিরেতের গল্পগুলো, সেই চেনা এক ঢঙে, ভরিয়ে দিয়ে রাতের আকাশ, জ্যোৎস্না-স্নাত রঙে, আবার আমি, সেই রঙেতে, শুধু তোমার হব, চক্ষু মুদে স্বপ্নে ভেসে, ভালোবাসায় রব।
আমার অপেক্ষা সেই দিগন্ত জুড়ে, যেখানে আজও বাকি রয়ে গেছে, নির্জন কিছু কাঠের প্রাসাদ বাড়ি, হয়তো, কালের মত, দীর্ঘ অবয়বে, কলমের আঁচড়ে ধরে রেখে গেছে, শেষ না হওয়া কিছু কবিতার সারি।