একটা ক্ষতকে ঢাকতে আরো একটা গভীর ক্ষত প্রয়োজন।
-
লিখতে ভালোবাসি,
তাই একটু আধটু চেষ্টা করি মাত্র!
- পুনরাবৃত্তি -
হারিয়ে খোঁজার মধ্যে এক অদ্ভুত আনন্দ মিশে থাকে। খানিকটা রোমাঞ্চ আছে বললেও খুব একটা মিথ্যে বলা হয় না। সে ডানা ঝাপটিয়ে উড়তে চায় কিন্তু ঠিক পেরে ওঠে না। নিরুত্তাপ শরীরে এক অদ্ভুত শিহরণ খেলে যায় নতুনকে আবিষ্কারের মোহে। মোহনায় এসে নদী হঠাৎ উল্টো পথে বইতে লাগল বুঝি? এও কি সম্ভব? হয় তো হ্যাঁ!-
সকল যাতনা,সকলই যতনে-
রেখেছ নিভৃতে বন্ধু;
নাই পুরাতন,সকলই নূতন -
জ্ঞানের অকূল সিন্ধু।
--মেঘালী চ্যাটার্জী(তিতির পাখী)-
"ভালো আছি?"
দুটি শব্দ;
হয়তো সারল্যে ভরা -
কিম্বা দাম্ভিক!
কিছুটা বা হাসিমাখা,
কিঞ্চিৎ ব্যঙ্গ!
আদপে রোমাঞ্চ
বাস্তবের চাদরে মোড়া!
জিজ্ঞাস্য নাকি কৌতুক?
এ যেনো ভৌতিক উপন্যাস
নতুবা খোদ অকৃত্রিম চেতনা!
পরতে পরতে শুধুই যেন
শিহরণের পরশ!
প্রতিফলক যেন প্রতিসারক
কিম্বা উল্টোটা!
কিছুটা অসার বিদ্রুপ!
মেকি হাসি -
তাও তো সত্যি!
ভালোই তো আছে সকলে
তাই না?
--মেঘালী চ্যাটার্জী(তিতির পাখী)-
সই
বালিশ রে তুই সবার থেকে বড্ড আপন, প্রিয়,
নালিশ করে আঁচড়ে দিলেও করিস নে তুই হেয়!
মেজাজ চটে,গরম দেখাই,
চোখের জলে প্রায়ই ভেজাই,
নরম তুলো আঁকড়ে ধরি,
দুমড়ে মুচড়ে একশা করি -
দারুন ব্যথায় কাতরে উঠি -
তোকে ধরেই বাঁচতে শিখি!
তোর গদিতেই ক্লান্তি এলাই -
ভয়েই থাকি, তোকে হারাই?
কেউ শোনে না যেসব কথা -
মর্মে বুঝিস আমার ব্যথা!
সান্ত্বনা দিস;আলতো স্পর্শ ;
ক্ষতের ওপর পরমাদর্শ !
কম করে কে চিনলো আমায়?
তোর মত কে চোখে হারায়?
কেউ জানে না তুই যা হরিস,
যতন করে বিলীন করিস!
তোর মত যে কেউ হবে না,আমার চির সই!
আমার জন্য রাখিস তুলে তোর যাতনার বই।
--মেঘালী চ্যাটার্জী(তিতির পাখী)-
নিছকই কাকতালীয়
পশ্চিমের রক্তিমায় যেনো কোনো এক বলিরেখার ন্যায় -
কুঞ্চিত কেশাভরনে সজ্জিত কোনো এক ললনা!
শত শত পক্ষীনির মৃদুমন্দ কূজনে মন্দ্রিত যেনো -
ভূষণে আসনে কোনো এক একাকিনী কামিনী,
যারে কামনা করা কোনো পাপ নয়,
যারে খুলে দেওয়া যায় অন্তঃকরণে যাত্রার
গোপন ও সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথ।
হে!ললনা আমি তোমারে কামনা করি,
এ যেনো এক প্রাগৈতিহাসিক গোপন গাঁথা!
আমি তোমার রূপে মুগ্ধ,তোমার শ্যামলের স্নিগ্ধ ছায়ায় -
হে কামিনী!আমি বিশ্রাম কামনা করি।
পথশ্রমে আমি যে বড়ই ক্লান্ত!
হে!ছায়াতরু,আমি আপনারে কামনা করি।
হে!প্রতিরূপ! এ কোন তঞ্চকতার শাস্তি?
কোথায় সে ললনা!ছায়া ঘেরা চপল তরু বৃক্ষচ্ছায়?
কোথা সে মধুর কলতান?
এ যে গৃধ্র সন্তানের কর্কশ আর্তনাদ!
হে! ছায়াতরু! এ কেমন ছলনা তোমার?
তবে তোমাকে কামনা করাই কি মহাপাপ?
বৃথা এ পথশ্রম!বৃথা এ দ্বিধা!
তোমার প্রতি কি বা অভিযোগ আমার?
তুমি যে নেহাতই নিরস - নিষ্প্রাণ।
এ কি তবে আমারই অপরাধ?
তাই এই শাস্তি?নাকি নেহাতই কাকতালীয়?
উত্তর তো তুমিই জানো,হে!মুৎসুদ্দি!
-মেঘালী চ্যাটার্জী(তিতির পাখী)-
আঁকড়ে ধরতে চাই আরেকটিবার
গায়ের জামাটা বড্ড ময়লা হয়েছে,বুঝলে
সেদিন বড্ড বাড়াবাড়িই হয়ে গেলো যে;
কিছুই যে বলো না!শুধু দুমড়ে মুচড়ে...
না!না!আমি বাপু কিছুই বলি নি হে!
বলছিলাম গায়ের জামাটা কিন্তু বড়োই নোংরা...
একি! কাঁদছো বুঝি?নাহ!তোমাকে নিয়ে
আর পারা গেল না যে দেখি ...
তবে সব আগলে রেখে দিতে চাও বুঝি?
বলছো কিছু?নাকি বলছো না?
কিছুই যে টের পেতে দেয় না তোমার
ওই সস্তার আস্তরণ!মেকি সবটা?
নাকি বড়োই কঠিন খোলস ওটা?
তবে বদলাবে না তুমি?বড়োই নোংরা হয়েছ বুঝলে?
চোখের জলের দাগগুলো শুকিয়ে শুকিয়ে
ছোপ পড়ে গেছে যে!রাতের বুভুক্ষু অন্ধকারে
তোমাকে জড়িয়ে ধরতে চাই যে আবার -
চাইতো!আগলে ধরে রাখি তোমায়;
চোখের সবটুকু জল তোমার নরম স্বভাবের
তুলোগুলো দিয়ে টেনে নেবে তুমি তোমার বুকে!
আবারও তোমায় টেনে নিতে চাই নিজের কাছে;
লক্ষ্মীটি শোনো,জামাটা বড্ড নোংরা হয়েছে
কাচতে দিতে হবে যে রেবতিদিকে!-
জাগবো কবে?
বলতে পারো?
কি যে এমন ভুল করেছি হেনো?
এমন যাঁতায় পিষছে দয়াল
মানছে না বাঁধ কোনো!
বলতে পারো?
কবে কোথায় পার হবে যে তরণী -
বিষের জ্বালায় ফুসছে সবাই
টলছে যে ধরণী!
বলতে পারো?
দায় কি কারো?নাকি সবই লীলা?
শতক পরেও এক হবো না?
এ কি মারণ খেলা?
বলতে পারো?
মানব জাতির কিসের হানাহানি?
বিপদ বুঝি হাতছানি দেয়
মানের বিভেদ জানি?
বলতে পারো?
এত্ত জবাব পাবো আমি কোথায়?
দয়াল কি আর খোঁজ দেবে না;
আসবে নাকো হেথায়?
-মেঘালী চ্যাটার্জী ( তিতির পাখী)-
বসন্ত নাকি উষ্ণতা?
জানো?
বসন্ত এসেছিল!
দখিনা হাওয়া,দুদ্দাড় শব্দ -
ফাগ- রঙা এক বসন্ত!
শীতের পরশতা কাটিয়ে
যেন সামান্য উষ্ণতা!
মৃত্যুপুরীতে সামান্য জীবনের ছোঁওয়া!
জানো?বসন্ত এসেছিল!
- মেঘালী চ্যাটার্জী (তিতির পাখী)-